Logo
শিরোনাম

‘শনিবার বিকেল’ মুক্তি পাক কোনও এক শুক্রবার সকালে

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ আগস্ট ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৩ | ৪৪৭০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাকিবুল হাসান

একটি ক্যাফেতে বোমা হামলার দৃশ্য। নেপথ্যে শোনা যায়, মানুষ যখন ধর্মের নামে হত্যা করে, আসলে সে ধর্মকেই হত্যা করে, মনুষ্যত্বকে হত্যা করে। গুলশানের হোলি আর্টিজান বেকারির নৃশংস জঙ্গি হামলার ঘটনা নিয়ে বলিউডের ফারাজ-চলচ্চিত্রের ফার্স্টলুক এটি। মৃত্যুর মুখেও দুই বন্ধু অবিন্তা কবির ও তারিশি জৈনের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন ২০ বছরের তরুণ ফারাজ আইয়াজ হোসেন। শেষ পর্যন্ত তাদের বাঁচাতে পারেননি, নিজেও বাঁচেননি। কিন্তু বাঁচিয়েছিলেন সাহস, বন্ধুত্ব আর মানবিকতাকে। সেই গল্প নিয়েই পরিচালক হংসল মেহতা নির্মাণ করছেন এই চলচ্চিত্রটি।

টুইটার ও ইনস্টাগ্রামে এই চলচ্চিত্রের ২৩ সেকেন্ডের একটি মোশন পোস্টার প্রকাশ করা হয়েছিল কয়েক বছর আগে। ভিডিও পোস্টে পরিচালক হংসল মেহতা লিখেছিলেন, সহিংস প্রতিকূলতার মধ্যেও মানবতার জয়!'

চলচ্চিত্রটি নিয়ে নির্মাতা ভারতীয় গণমাধ্যমকে বলেন, ফারাজ-এর গল্পটি পৃথিবীকে দেখাবো বলে অপেক্ষা করছি। ফারাজ হবে গভীর মানবিকবোধের এক গল্প। কিন্তু ছবিটি নির্মাণে আপত্তি তুলে অবিন্তা কবির ফাউন্ডেশনের পক্ষে বাংলাদেশের ল ফার্ম লিগ্যাল কাউন্সেল ছবিটির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান টি-সিরিজ, চলচ্চিত্র নির্মাতা ভূষণ কুমার, সহকারী প্রযোজক অনুভব সিনহা এবং পরিচালক হংসল মেহেতাকে উকিল নোটিশ পাঠায়। নোটিশের উল্লেখ করা হয়, এ ধরণের চলচ্চিত্র নির্মাণ করা হলে তা বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ও সুনাম নষ্ট করবে, যার নেতিবাচক প্রভাব গোটা বাংলাদেশের আর্থ সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে চরম ক্ষতির মুখে ঠেলে দেবে। তাছাড়া, এ ধরণের চলচ্চিত্র নির্মিত হলে তা বাংলাদেশকে বহির্বিশ্বে একটি সন্ত্রাসী ও জঙ্গিবাদী রাষ্ট্র হিসেবে চিত্রিত করবে, যা আদতে সত্যি নয়। আইনি নোটিশ পাঠানোর পর অবিন্তা কবির ফাউন্ডেশনের পক্ষে অবিন্তার মা মামলাও করেছেন।

২০১৬ সালের ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে পাঁচ জঙ্গি সদস্যের পরিচালিত হামলার ঘটনায় যে ২২ জন দেশি-বিদেশি নাগরিক নিহত হন, তার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে অধ্যয়নরত ২০ বছর বয়সী বাংলাদেশি তরুণ ফারাজ আহমেদও ছিলেন। তাকে কেন্দ্র করেই ফারাজ নামের চলচ্চিত্র তৈরির ঘোষণা দিয়েছিলো বলিউডের অন্যতম প্রযোজনা সংস্থা টি-সিরিজ। কিন্তু মামলার ফলে, চলচ্চিত্রটি এখনও মুক্ত হয়নি।হলি আর্টিজান হামলা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে বাংলাদেশেও মোস্তফা সরয়ার ফারুকী শনিবার বিকেল নামে একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন। দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হতে পারে অভিযোগে চলচ্চিত্রটিকে সেন্সর সনদ দেয়া হয়নি।

শনিবার বিকেল চলচ্চিত্রটি সাড়ে তিন বছর ধরে আটকে থাকার নেপথ্য ঘটনা আসলে কী? ২০১৯-এর ৯ জানুয়ারি ছবিটি দেখে সেন্সর বোর্ডের অনেকে পত্রিকায় সাক্ষাৎকার দিয়ে বলেছিলেন, ছবিটি মুক্তির সনদ দেওয়া হবে। যারা তখন বোর্ডের সদস্য ছিলেন তাদের কেউ কেউ এখনও বলছেন, সিনেমা হিসেবে ছবিটি নিয়ে তাদের কোনও আপত্তি ছিল না। ছবিটি আটকে যাওয়ার কারণ হিসেবে যা জানা গেছে, প্রথমবার ছবিটি দেখার পর সেন্সর বোর্ডের সচিব একটি নোট লিখেছিলেন। সেখানে লেখা ছিল, তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব না দেখা পযর্ন্ত যেন ছবিটি পাশ না করা হয়। পরে তখনকার তথ্য সচিব ছবিটি দেখেন। সেসময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিবও তার সঙ্গে ছিলেন। তখন ছবিটি আটকানোর পক্ষে সবাই মত প্রদান করেন। তাদের বক্তব্য ছিল, ভুলে যাওয়া একটি বিয়োগান্তক ঘটনা নতুন করে মনে করিয়ে দেয়াটা ঠিক হবে না। এতে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হতে পারে।

বিষয়টি নিয়ে আপিল করা হলে, কয়েকজন বিশিষ্ট চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্বকে ডেকে ছবিটি দেখিয়ে তাদের মতামত চাওয়া হয়। তারা আটকে রাখার মতো কোনও কিছু এই চলচ্চিত্রে পাননি বলে মতামত দেন। এরপর চলচ্চিত্রটিকে প্রদর্শনী করার অনুমতি দেয়া হবে কী না-এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়ার এখতিয়ার আপিল বোর্ডের। আপিল বোর্ডের অন্যতম সদস্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব। এখন তার সিদ্ধান্তের উপরেই নির্ভর করছে শনিবার বিকেল চলচ্চিত্রটির সেন্সর বোর্ডের সনদ পাওয়া বা না পাওয়া।

শনিবার বিকেল চলচ্চিত্রটি মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর একটা থ্রিলারধর্মী চলচ্চিত্র, যা ঢাকার গুলশানের হলি আর্টিজান হামলা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। হলি আর্টিজানে ৫ জঙ্গি কর্তৃক বিদেশি নাগরিকসহ প্রায় ৫০ জনকে জিম্মি করা এবং ২২ জনকে হত্যার ঘটনা সত্য এবং হৃদয় বিদারক। এটাও সত্য যে, ১ জুলাইয়ের জঙ্গি হামলার পর ২ জুলাই বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে অপারেশন থান্ডারবোল্ট পরিচালনার মাধ্যমে জিম্মিদের উদ্ধার করা হয়। এসময় সকল জঙ্গি নিহত হয়। সরকারের দ্রুত পদক্ষেপ এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বীরত্বপূর্ণ ভূমিকার পর এই ঘটনায় বিশ্বে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হওয়ার কোনও কারণ আমি দেখি না। কোনও চলচ্চিত্রে যদি ঘটনাকে বিকৃত করে শুধু জঙ্গি হামলা দেখানো হয় এবং জঙ্গি দমনকে না দেখানো হয়, তাহলেই ভাবমূর্তি নষ্টের প্রশ্ন উঠতে পারে। কিন্তু ফারাজ এবং শনিবার বিকেল চলচ্চিত্র দুটোর কোনওটাতেই এমনটা দেখানো হয়নি বলেই জানি।

বাংলাদেশে সেন্সর সার্টিফিকেট না পেলেও মিউনিখ, মস্কো, সিডনি, বুসান, প্যারিসসহ বিভিন্ন ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে শনিবার বিকেল প্রদর্শিত হয়েছে। বহু দেশের প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিক ছবিটি দেখেছেন এবং বাংলাদেশে সেন্সর সনদ না পাওয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। সাম্প্রতিক সময়ে দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গসহ অনেকেই ছবিটি আটকে রাখায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। যে ভাবমূর্তি নষ্টের প্রশ্ন তুলে সেন্সর বোর্ড একটা চলচ্চিত্রকে আটকে রাখে, তাদের কাছে ভাবমূর্তির সংজ্ঞা কী?

বাংলাদেশের সংবিধান, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বা অন্য কোনো আইনে দেশের ভাবমূর্তির কোনো সংজ্ঞা দেওয়া নেই। এমনকি, দণ্ডবিধিতে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অপরাধ ও রাষ্ট্রদ্রোহের অপরাধগুলোর বর্ণনায়ও রাষ্ট্রের ভাবমূর্তির কোনো উল্লেখ নেই। ফলে, আমি যদি কোনও কিছুকে ন্যায্য ও বৈধ এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতা মনে করে প্রকাশ করি, সেটিকেও একজন অভিযোগকারী দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নকারী মনে করতে পারেন। ব্যক্তিভেদে এর সংজ্ঞায়ন ভিন্ন হতেই পারে আর এই কারণেই এটা হচ্ছে একটা সমাধান অযোগ্য সমস্যা। প্রকৃত পক্ষে, একটা দেশের রাজনৈতিক ও নাগরিক অধিকার কতটা আছে, দেশের ভাবমূর্তির পরিমাপক হওয়া উচিত সেটাই। এসব অধিকারের অংশ হচ্ছে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় বহুদলীয় ব্যবস্থা এবং জনগোষ্ঠীর সব অংশের অংশগ্রহণ, সরকার পরিচালনায় স্বচ্ছতা, দুর্নীতির মাত্রা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, চিন্তা ও গবেষণার স্বাধীনতা, সংগঠনের স্বাধীনতা ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো।

ভাবমূর্তি নষ্ট হয় বড় বড় প্রকল্পের দুর্নীতিতে, বিনা বিচারে হত্যাকান্ডে, হাজার হাজার কোটি টাকা পাচারে। সত্য প্রকাশে, শিল্প চর্চায় দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয় না। এই বোধোদয় আপনাদের কবে হবে? শনিবার বিকেল মুক্তি পাক কোনও এক শুক্রবার সকালে; সেই প্রত্যাশায় রইলাম।

লেখক: শিক্ষক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা

নিউজ ট্যাগ: শনিবার বিকেল

আরও খবর

শেখ হাসিনার নেতৃত্ব এখনও অপরিহার্য

বৃহস্পতিবার ১৫ ডিসেম্বর ২০২২




মুখোশের আড়ালে দিলীপ আগরওয়ালার মাফিয়া সাম্রাজ্য

প্রকাশিত:শনিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৯৫০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

মানবিকতার ফেরিওয়ালা সেজে মুখোশের আড়ালে সোনা চোরাচালানের অপ্রতিরোধ্য নায়ক হয়ে ওঠা দিলীপ আগরওয়ালার উত্থান সিনেমার গল্পকেও হার মানায়। চুয়াডাঙ্গার সীমান্তবর্তী গ্রাম থেকে উঠে আসা সাধারণ দিলীপ আওয়ামী লীগের ক্ষমতাকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে ক্ষমতা, নারী আর সোনা চোরাচালানকে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে যান। আর এটিকেই নিজের অর্থবিত্ত আর অবৈধ সম্পদের সিঁড়ি বানিয়ে হয়ে ওঠেন অপরাধজগতের বেপরোয়া মাফিয়া। নিজেকে বড় আওয়ামী লীগার পরিচয়ে সভা-সমাবেশে, বক্তব্যে অনিয়ম-দুর্নীতি, মাদক ও চোরাচালানের বিরুদ্ধে সোচ্চার থেকে সততার বন্দনা করেছেন অবিরাম।

অথচ আড়ালে ছিলেন অন্ধকারজগতের কারিগর। গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতা হারানো আওয়ামী সরকারের মন্ত্রী-আমলাদের নাম ভাঙিয়ে গত দেড় দশকে গ্রামের সাধারণ দিলীপই হয়ে ওঠেন হাজার কোটি টাকার মালিক।

সরেজমিন চুয়াডাঙ্গা ঘুরে ও তাঁর এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্যই পাওয়া গেছে। অনুসন্ধানে জানা যায়, দিলীপ আগরওয়ালার মুখোশের আড়ালের ছবিটি সম্পর্কে তাঁরা কিছুই জানতেন না।

সবার চোখে ধুলা দিয়ে চোরাকারবারির কালো অধ্যায় গড়ে তুলেছেন র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তার ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও আওয়ামী লীগ নেতা দীলিপ কুমার আগরওয়ালা। নব্বইয়ের দশকের শুরুর দিকে বন্ধু ওয়াজ কুরুনি টিটুর সঙ্গে চুয়াডাঙ্গায় ঠিকাদারি ব্যবসা শুরু করেন দিলীপ। ঠিকাদারি ব্যবসায় সুবিধা করতে না পারলেও নারী কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে জনরোষের শিকার হয়ে পালিয়ে যান ঢাকায়। সেখানে গিয়ে তাঁর কাকা পবন আগরওয়ালার সঙ্গে সিনেমার কাজ শুরু করেন।

সেই সুবাদে তখনকার উঠতি বয়সী মডেল-নায়িকাদের সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলেন দিলীপ। সিনেমা ব্যবসার পাশাপাশি রাজধানীতে সোনার দোকান ছিল পবনের। সেই ব্যবসার কেয়ারটেকারের দায়িত্ব পান দিলীপ। চতুর দিলীপ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মিশেই সোনা ব্যবসার গোমর জেনে যান। কৌশলে বাড়তি অর্থ আয়ের পথ খুঁজে বের করেন তিনি।

সীমান্তবর্তী এলাকায় জন্ম নেওয়া দিলীপের চোরকারবারিদের সঙ্গে কৈশোর থেকেই চেনাজানা ছিল। ফলে সহজেই সীমান্তবর্তী চৌগাছা, মহেশপুর ও জীবননগরের বিভিন্ন পয়েন্টের কারবারিদের সঙ্গে সখ্য গড়ে ওঠে। প্রথম দিকে ব্যবসায় সুবিধা করতে পারছিলেন না দিলীপ। এরপর কৌশল হিসেবে উঠতি বয়সীদের নিয়ে গড়ে তোলেন সিন্ডিকেট। যারা বিনিয়োগের জন্য অর্থের সংস্থান করে। সীমান্তবর্তী এলাকায় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে ধীরে  ধীরে ব্যবসার সম্প্রসারণ করেন তিনি।

সূত্র বলছে, ব্যবসার শুরুতে পবনের দোকান থেকে দুবাই, সিঙ্গাপুর থেকে পাচার হওয়া সোনা সংগ্রহ করতেন ব্যবসায়ীরা। ধীরে ধীরে এই ব্যবসা প্রসার হতে থাকে। ২০০৫ সালের দিকে কৌশলে পবনের প্রতিষ্ঠান দখলে নিয়ে গড়ে তোলেন ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর তৎকালীন আমলা-মন্ত্রীদের সঙ্গে মধুর সম্পর্ক গড়ে তুলতে মরিয়া হয়ে ওঠেন তিনি। এমনকি তাঁদের মনোরঞ্জনের জন্য উঠতি বয়সী মডেল ও নায়িকাদের ব্যবহার করতে থাকেন। এরপর দিলীপকে আর পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি। ক্ষমতাসীনদের ছত্রচ্ছায়ায় নিজ জেলা চুয়াডাঙ্গা ছাড়াও ঝিনাইদহ, যশোর ও সাতক্ষীরা সীমান্তে গড়ে তোলেন শক্ত সিন্ডিকেট। এই সিন্ডিকেটে তৎকালীন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার, যশোরের প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা সাবেক সংসদ সদস্য শাহিন চাকলাদার, ঝিনাইদহের আওয়ামী লীগ নেতা সাইদুল করিম মিন্টু, কালীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আশরাফুল আলমসহ কয়েক উপজেলার অন্তত ২৫ জন প্রভাবশালী জনপ্রতিনিধি ছিলেন বলে অনুসন্ধানে উঠে আসে। এক পর্যায়ে দুবাই, সিঙ্গাপুরসহ কয়েকটি দেশ থেকে অবৈধ পন্থায় সোনা এনে ভারতে পাচার করতে থাকেন। এভাবেই কয়েক বছরের ব্যবধানে হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক বনে যান দিলীপ কুমার আগরওয়ালা।

মানবসেবার গাড়িতে সোনা পাচার

মানবসেবাই ধর্ম স্লোগানে দিলীপ কুমার তাঁর মা তারা দেবীর নামে চুয়াডাঙ্গা শহরে গড়ে তোলেন তারা দেবী ফাউন্ডেশন। কথিত এই মানবিক ফাউন্ডেশন জেলা সমাজসেবা কার্যালয় থেকে কোনো ধরনের অনুমোদন নেয়নি। অভিযোগ রয়েছে, ফাউন্ডেশনের আড়ালে সোনা চোরাচালান করতেন দিলীপ কুমার আগরওয়ালা। এ জন্য ফাউন্ডেশনের নামে তিনটি অ্যাম্বুল্যান্সও কেনেন। অ্যাম্বুল্যান্সগুলো মাঝেমধ্যে দিনের বেলায় জনসেবার জন্য ব্যবহৃত হলেও রাতে সোনা নিয়ে সীমান্তের দিকে ছুটে চলত বলে জানিয়েছে স্থানীয় অনেকেই।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক মানবাধিকারকর্মী জানান, এজাতীয় প্রতিষ্ঠান অনুমোদন না নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কিভাবে চলছে, সেটাই বড় প্রশ্ন। এ রকম শত শত প্রতিষ্ঠান মানবিক কর্মকাণ্ডের নামে বিভিন্ন অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। এদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক সিদ্দিকা সোহেলী রশিদ বলেন, তারা দেবী ফাউন্ডেশনের কোনো সরকারি অনুমোদন নেই। এমনকি ওই নামের প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে আমাদের কাছে আবেদনও করা হয়নি।

চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ছাত্রজীবনে অত্যন্ত ধূর্ত প্রকৃতির ছিল দিলীপ। সে সময় তার পারিবারিক সচ্ছলতা ছিল না। তার বাবা একটি সিনেমা হল পরিচালনা করতেন। হঠাৎ করেই এলাকা ছেড়ে ঢাকায় চলে যায় সে। বছর দুয়েক আগে লোকমুখে শুনি দিলীপ হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক বনে গেছে। শুনে আমার কাছে অবিশ্বাস্য লাগছিল। পরে জানতে পারলাম সোনা চোরাচালানের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে সে। এখন এলাকায় এসে সততার মুখোশ পরে মানবিক কাজকর্ম করে দানবীর হতে চাচ্ছে।

দিলীপের স্কুলজীবনের সহপাঠী শহিদুল ইসলাম বলেন, দিলীপ পড়ালেখায় তেমন ভালো ছিল না। টেনেটুনে ইন্টারমিডিয়েট ফার্স্ট ইয়ার পর্যন্ত পড়েছিল। অভাব-অনটনে পড়ে নব্বইয়ের দশকের প্রথম দিকে ঢাকায় চলে যায়। সে সময় এলাকায় আসত না দিলীপ। হঠাৎ ২০০৯ কিংবা ২০১০ সালের দিকে দামি গাড়িতে করে এলাকায় আসে। তখন তার মুখ থেকেই শুনলাম সে নাকি আওয়ামী লীগের বড় নেতা হয়েছে। বড় বড় মন্ত্রী-এমপির সঙ্গে মোবাইল ফোনে ছবি দেখাল।

তিনি আরো বলেন, পরে জানতে পারি, দিলীপ সোনা চোরাকারবারে জড়িয়ে এত অর্থবিত্তের মালিক হয়েছে। এলাকায় তারা দেবী ফাউন্ডেশন গড়ে তুলেছে। শুনেছি ওই প্রতিষ্ঠানের অ্যাম্বুল্যান্স দিয়ে অবৈধ সোনা চোরাচালান করে থাকে দিলীপ।


আরও খবর

১৫ বছরে ভুয়া কাগজে ব্যাংক লুট

বুধবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪




বিশ্বের সবচেয়ে উষ্ণতম গ্রীষ্মের রেকর্ড গড়লো ২০২৪

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ১১২০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

বিশ্বের সবচেয়ে উষ্ণতম গ্রীষ্মের রেকর্ড গড়েছে ২০২৪ সাল। ইউরোপীয় ইউনিয়নের জলবায়ু পরিবর্তন মনিটর শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) এই তথ্য জানিয়েছে। তাপমাত্রা রেকর্ড শুরু করার পর থেকে দেখা গেছে, বিশ্বের উষ্ণতম উত্তর গোলার্ধের গ্রীষ্মের তাপমাত্রা দিন দিন বেড়ে চলেছে। এতে বৈশ্বিক উষ্ণতা তীব্রতর হচ্ছে বলে সতর্ক করেছে সংস্থাটি। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই খবর জানিয়েছে।

কোপার্নিকাস ক্লাইমেট চেঞ্জ সার্ভিস (সি৩এস) তাদের মাসিক বুলেটিনে বলেছে, চলতি বছরের জুন থেকে আগস্টের বোরিয়াল গ্রীষ্মটি গত বছরের তুলনায় উষ্ণ হয়ে উঠেছে।

২০২৪ সালে তাপমাত্রার ব্যতিক্রমী এই রেকর্ড পৃথিবীর উষ্ণতম গ্রীষ্ম হিসেবে ২০২৩ সালকেও ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দিয়েছে।

সি৩এস এর ডেপুটি ডিরেক্টর সামান্থা বার্গেস বলেছেন, ২০২৪ সালের বিগত তিন মাসে পৃথিবী সবচেয়ে উষ্ণতম জুন ও আগস্ট, রেকর্ডে সবচেয়ে উষ্ণতম দিন এবং সবচেয়ে উষ্ণ বোরিয়াল গ্রীষ্মের অভিজ্ঞতা পেয়েছে।

সি৩এস এর তথ্যমতে, বিজ্ঞানীরা অন্যান্য ডেটার সঙ্গে ক্রস-চেক করে নিশ্চিত করেছেন, চলতি বছরের গ্রীষ্মটি ১৮৫০ এর প্রাক-শিল্প যুগের পর থেকে সবচেয়ে বেশি উষ্ণ ছিল।

তিনি বলেছিলেন, দেশগুলো যদি জরুরিভাবে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি হ্রাস করায় কাজ না করে তবে চরম আবহাওয়া শুধু তীব্রতরই হতে থাকবে।

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রধান কারণ হিসেবে জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানো থেকে গ্রীনহাউজ গ্যাস নির্গমনকে দায়ী করেছেন তিনি।

পৃথিবীর পরিবর্তিত জলবায়ু চলতি গ্রীষ্মে বিপর্যয়ের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখেছে। সুদানে গত মাসে ভারী বর্ষণে সৃষ্ট বন্যায় ৩ লাখেরও বেশি মানুষ প্রভাবিত হয়েছিল। ফলে যুদ্ধ-বিধ্বস্ত এই দেশটিতে কলেরার প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়।

অন্যদিকে, বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত করেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ইতালির সিসিলি দ্বীপপুঞ্জ এবং সার্ডিনিয়ায় একটি গুরুতর খরা অব্যাহত রয়েছে। এমনকি, এটি টাইফুন গেইমিকে আরও তীব্র করেছে যেটি জুলাইয়ে ফিলিপাইন, তাইওয়ান এবং চীনের মধ্য দিয়ে আঘাত হেনেছিল। এতে শতাধিক মানুষ প্রাণ হারায়।


আরও খবর



তিস্তা পানিবণ্টন চুক্তির সমাধান চান প্রধান উপদেষ্টা

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ১১১৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

তিস্তা পানিবণ্টন চুক্তি নিয়ে ভারতের সঙ্গে যে মতপার্থক্য রয়েছে, তা সমাধানে ভারতের সঙ্গে আলোচনা করবে বলে জানিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। পিটিআইয়ের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে প্রধান উপদেষ্টা এ কথা বলেছেন। ভারতের বার্তা সংস্থার ওয়েবসাইটে আজ শুক্রবার এ সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হয়েছে।

ঢাকায় তাঁর সরকারি বাসভবনে নেওয়া ওই সাক্ষাৎকারে ড. ইউনূস বলেন, বছরের পর বছর এই আলোচনা ঝুলিয়ে রেখে দুই দেশেরই কোনো লাভ হচ্ছে না।

প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, দুই দেশের মধ্যে পানিবণ্টনের বিষয়টি অবশ্যই আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী হতে হবে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের মতো ভাটির দেশগুলোর অধিকার সমুন্নত রাখার সুনির্দিষ্ট অধিকার রয়েছে।

বিষয়টি (পানি বণ্টন) নিয়ে বসে থাকার ফলে কোনো লাভ হচ্ছে না। কতটুকু পানি পাচ্ছি জানা থাকলে যদি সেই পরিমাণ নিয়ে আমি খুশিও না হই, এরপরও (চুক্তিতে) স্বাক্ষর করলে ভালো হবে। এই বিষয়টির সমাধান হতেই হবে, সাক্ষাৎকারে বলেন তিনি।

ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের ২০১১ সালে ঢাকা সফরকালে তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি স্বাক্ষর অনেকটা চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছিল। তবে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী এই চুক্তিকে অনুমোদন দিতে অস্বীকৃতি জানানোর ফলে চুক্তি আর হয়নি। তখন মমতা দাবি করেছিলেন, তাঁর রাজ্যেই পানির সংকট রয়েছে। এখনও সমাধান হয়নি এ সমস্যার।


আরও খবর

শহীদি মার্চে লাখো ছাত্র-জনতার ঢল

বৃহস্পতিবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪




ফের গাজী টায়ার কারখানায় লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ১১০৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গাজী টায়ার কারখানায় ফের লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় কারখানার বিভিন্ন মেশিনের যন্ত্রাংশ লুট করে নিয়ে যেতে দেখা গেছে দুর্বৃত্তদের। শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ৪০ থেকে ৫০ দুর্বৃত্ত কারখানায় প্রবেশ করে এ ঘটনা ঘটায়।

এর আগে, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সরকার পতনের পর প্রথম দফা লুটপাট ও আগুন লাগানো হয় এ কারখানায়। এরপর ২৫ আগস্ট সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী গ্রেপ্তারের পর দ্বিতীয় দফা লুটপাটের পর আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এরপর আজ তৃতীয় দফা লুটপাটের পর আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে।

রুপসী এলাকার বাসিন্দা জোনায়েদ আহমেদ বলেন, আগুনের ধোঁয়া দেখে দৌড়ে আসি। দেখি ৪০ থেকে ৫০ জনের মতো লোক লোহার জিনিসপত্র নিয়ে যাচ্ছে। আমরা কয়েকজনকে ধরে বেঁধে রেখেছি।

সিকিউরিটি হাফিজুর রহমান বলেন, বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে কারখানার পূর্ব পাশের কাঁটাতার ভেঙে বেশ কিছু লোক ঢুকে লোহার বিভিন্ন জিনিস নিয়ে যায়। আমরা কয়েকজনকে ধরেছি।

 


আরও খবর



ভেনেজুয়েলার বিরোধী নেতা গঞ্জালেজ দেশ ছেড়েছেন, গন্তব্য স্পেন

প্রকাশিত:রবিবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ১১০৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

ভেনেজুয়েলার বিরোধী নেতা এডমান্ডো গঞ্জালেজ দেশ ছেড়েছেন। তাঁর গন্তব্য স্পেন। তিনি স্পেনে আশ্রয় চাচ্ছেন। ভেনেজুয়েলা ও স্পেনের কর্মকর্তারা গতকাল শনিবার রাতে এ তথ্য জানিয়েছেন। গত জুলাইয়ে ভেনেজুয়েলায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয়। এই নির্বাচনে ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট নিকোলা মাদুরোর বিপক্ষে লড়েন বিরোধী প্রার্থী গঞ্জালেজ (৭৫)।

নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে বিরোধ দেখা দেয়। মাদুরোকে জয়ী ঘোষণা করে দেশটির নির্বাচন কর্তৃপক্ষ। তবে বিরোধীরা এই ফলাফল মানতে অস্বীকৃতি জানায়। তারা দাবি করে, নির্বাচনে বিরোধী প্রার্থী গঞ্জালেজ জয়ী হয়েছেন।

বিতর্কিত নির্বাচনের পর থেকে বিরোধীদের ওপর দমন-নিপীড়ন চালিয়ে আসছে মাদুরো সরকার। সম্প্রতি গঞ্জালেজের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন দেশটির একটি আদালত। তাঁর বিরুদ্ধে উসকানির অভিযোগ আনা হয়। এ ছাড়া অন্যান্য অপরাধের অভিযোগও আনা হয়। এখন তিনি দেশ ছাড়লেন।

ভেনেজুয়েলার ভাইস প্রেসিডেন্ট ডেলসি রদ্রিগেজ ইনস্টাগ্রামে পোস্টে বলেছেন, বেশ কয়েক দিন আগে রাজধানী কারাকাসের স্প্যানিশ দূতাবাসে স্বেচ্ছায় আশ্রয় নেওয়ার পর এখন গঞ্জালেজ দেশ ছেড়েছেন।

স্পেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোসে ম্যানুয়েল আলবারেস এক্সে (সাবেক টুইটার) বলেছেন, গঞ্জালেজ কারাকাস থেকে স্প্যানিশ বিমানবাহিনীর একটি উড়োজাহাজে করে স্পেনের উদ্দেশে যাত্রা করেছেন। গঞ্জালেজের কাছ থেকে আসা একটি অনুরোধে সাড়া দিচ্ছে মাদ্রিদ।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, গঞ্জালেজ এত দিন ভেনেজুয়েলায় আত্মগোপনে ছিলেন। তিন স্প্যানিশ সরকারের কাছে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছেন।

স্পেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, গঞ্জালেজকে নিরাপদে যেতে দিতে রাজি হয় কারাকাস। এরপর তিনি দেশ ছাড়েন।

স্পেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ভেনেজুয়েলার সব নাগরিকের রাজনৈতিক অধিকারের ব্যাপারে স্পেন সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

গঞ্জালেজের এক আইনজীবী বার্তা সংস্থা এএফপিকে নিশ্চিত করেছেন যে তিনি (গঞ্জালেজ) স্পেনের উদ্দেশে দেশ ছেড়েছেন। তবে এ বিষয়ে তিনি আর কোনো বিস্তারিত তথ্য জানান নি।


আরও খবর