
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের
আঘাতে নোয়াখালীর হাতিয়ায় ৪ শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এ সময় প্রায় ২৫ জন আহত হয়েছেন।
সোমবার বিকাল থেকে বিদ্যুৎ ও মোবাইল নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে দ্বীপবাসী। নলচিরা
নৌঘাটের দু’টি পল্টুন ভেঙে গেছে। ভাঙন দেখা
দিয়েছে নলচিরা বেড়িবাঁধে।
হাতিয়া উপজেলা
নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সেলিম হোসেন বলেন, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের তাণ্ডবে উপজেলা
হাতিয়ার ২ লক্ষাধিক মানুষ দুর্ভোগে রয়েছেন। এতে বিধ্বস্ত হয়েছে ৪৪০টি বাড়িঘর।
হাতিয়া উপজেলা
সহকারী কৃষি কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন বলেন, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ে প্রাভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে
৭ হাজার ৬ হেক্টর জমির রোপা আমান ধান নষ্ট হয়ে গেছে।
নিঝুম দ্বীপের
চেয়ারম্যান দিনাজ উদ্দিন বলেন, বেড়িবাঁধ না থাকায় ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে নিঝুম দ্বীপের
পুরো এলাকা ৬ থেকে ৭ ফুট জোয়ারে পানিতে প্লাবিত হয়েছে। নিঝুম দ্বীপের শতকরা ৮০ভাগ লোক
ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়ায় তারা বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে।