
দৈনিক যুগান্তরের পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলা প্রতিনিধি ও নাজিরপুর প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি লাহেল মাহমুদকে হত্যার হুমকীর প্রতিবাদ ও হুমকীদাতা চাঞ্চল্যকর লোকমান হত্যা মামলার আন্যতম আসামী যুবদল নেতা অনুপ শিকদারসহ ছাত্রদল ও শিবির ক্যাডারদের গ্রেফতারের দাবীতে নাজিরপুরে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (১৮ অক্টোবর) উপজেলা পরিষদ গেটে ওই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। ওই দিন বেলা সাড়ে ১১টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত ওই মানববন্ধনে নাজিরপুর প্রেস ক্লাবের ও উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিকসহ ওই সন্ত্রাসীদের হাতে নির্যাতিত ভুক্তভোগী স্থানীয়রা অংশ নেন।
জানাগেছে, গত ১২ অক্টোবর দৈনিক যুগান্তরের সাংবাদিক লাহেল মাহমুদকে উপজেলার শ্রীরামকাঠী ইউনিয়নের নৈলতলা গ্রামের চাঞ্চল্যকর লোকমান হত্যা মামলার অন্যতম আসামী যুবদল ক্যাডার অনুপ শিকদার, ছাত্রদল ক্যাডার শফিকুল ইসলাম সোহেল, ছাত্র শিবিরের ক্যাডার মশিউর রহমান ও জাহিদ হোসেন হত্যার হুমকী দেয়। তারা এলাকায় সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত রয়েছে। সন্ত্রাসী অনুপ শিকদার ওই ইউনিয়নের দক্ষিণ জয়পুর গ্রামের মৃত অমল কৃষ্ণ শিকদারের ছেলে। এছাড়া ছাত্রদল ক্যাডার শফিকুল সোহেল একই ইউনিয়নের চৌঠাইমহল গুচ্ছ গ্রামের (আদর্শ গ্রাম) হাবিববুর রহমান খানের ছেলে। এ ছাড়া শিবির ক্যাডার মশিউর রহমান ওই ইউনিয়নের মধ্য জয়পুর গ্রামের সালাম খলিফার , জাহিদুর রহমান জাহিদ একই গ্রামের আজাহার আলী শেখের ছেলে। আর হাসান তালুকদার উপজেলা বিলডুমুরিয়া গ্রামের লতিফ তালুকদারের ছেলে।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন নাজিরপুর প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি যুগান্তর প্রতিনিধি এইচ এম লাহেল মাহমুদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক শেখ মোস্তাফিজুর রহমান লাভলু, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মো. তৌফিকুল ইসলাম দেলোয়ার, সমকাল প্রতিনিধি মুহাম্মদ তাওহীদুল ইসলাম, দৈনিক কালের কণ্ঠ প্রতিনিধি মো. অহিদুজ্জামান চঞ্চলপ্রমুখ। এ ছাড়া খুনি অনুপ সিকদারের নিজ এলাকার ভুক্তভোগী শিক্ষক শ্যামল মাতা, প্রদী পহালদার প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, ওই সব যুবদল, ছাত্রদল ও শিবিরক্যাডাররা এক হয়ে এলাকার বিভিন্ন বাড়িতে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজিসহ রাস্তার গাছ কেটে নেন । তাদের এমন অপরাধে এলাকার সাধারণ মানুষ অতিষ্ট হয়ে উঠেছে। তাদের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে পারছেনা। কেউ কোন প্রতিবাদ করলে হত্যার হুমকীসহ বিভিন্ন ভাবে হয়রানী করে। অভিলম্বে তাদের গ্রেফতারসহ দৃষ্টিান্তমূলক শাস্তির দাবী করছেন বক্তরা।