চলমান করোনা মহামারিতে
বিশ্বজুড়ে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা আরও বেড়েছে। একইসঙ্গে আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে নতুন
শনাক্ত রোগীর সংখ্যাও। গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন এক
হাজারের বেশি মানুষ। একই সময়ে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে দেড়
লাখ।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায়
বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে জাপানে। অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির
তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রাণহানির তালিকায় এরপরই রয়েছে ব্রাজিল,
ফ্রান্স, রাশিয়া ও হংকং। এতে বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬৭ কোটি
৩৬ লাখের ঘর। অন্যদিকে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬৭ লাখ ৪৯ হাজার।
বুধবার (২৫ জানুয়ারি)
সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস
থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা
গেছেন ১০৬২ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় চারশো। এতে বিশ্বজুড়ে
মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৬৭ লাখ ৪৯ হাজার ৪৬৫ জনে।
একই সময়ের মধ্যে
ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৬৮ হাজার ৭৮৭ জনে। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায়
নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৬৭ হাজার। এতে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত
ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৭ কোটি ৩৬ লাখ ৮৯ হাজার ৭৬৩ জনে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায়
বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে জাপানে। এই সময়ের মধ্যে
দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৮১ হাজার ৫৩৫ জন এবং মারা গেছেন ৩০৭
জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩ কোটি ২১ লাখ ৭১
হাজার ৭০০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৬৫ হাজার ৯২৯ জন মারা গেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রে
নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১১ হাজার ৪১২ জন এবং মারা গেছেন ২২২ জন। করোনাভাইরাসে
সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১০ কোটি ৩৯ লাখ ৭ হাজার ৪৩৩ জন করোনায় আক্রান্ত
হয়েছেন এবং ১১ লাখ ২৯ হাজার ৬১৮ জন মারা গেছেন। একইসময়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে
আক্রান্ত হয়েছেন ১২ হাজার ২৬২ জন এবং মারা গেছেন ১০ জন।
লাতিন আমেরিকার
দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে চতুর্থ ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয়
অবস্থানে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৭৭ জন এবং নতুন
করে সংক্রমিত হয়েছেন ১৬ হাজার ৪৭২ জন। অপরদিকে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে
মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩ কোটি ৬৭ লাখ ৬৮ হাজার ৪১৬ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ৯৬
হাজার ৫৫৩ জনের।
ফ্রান্সে গত ২৪
ঘণ্টায় নতুন করে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৭ হাজার ২৬৩ জন এবং মারা গেছেন ৫৯ জন। করোনা
মহামারির শুরু থেকে এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩ কোটি ৯৪ লাখ ৯২ হাজার ৮৩৯ জন করোনায় আক্রান্ত
হয়েছেন এবং ১ লাখ ৬৪ হাজার ৮ জন মারা গেছেন। একইসময়ে মেক্সিকোতে নতুন করে করোনাভাইরাসে
আক্রান্ত হয়েছেন ৪৮৭ জন এবং মারা গেছেন ১৬ জন।
রাশিয়ায় গত ২৪
ঘণ্টায় নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ৪ হাজার ৭০২ জন এবং মারা গেছেন ৪২ জন। এছাড়া
মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২ কোটি ১৯ লাখ ৩ হাজার
৫৭৮ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৯৪ হাজার ৭৭৭ জনের। একইসময়ে পোল্যান্ডে নতুন করে করোনাভাইরাসে
আক্রান্ত হয়েছেন ৬৮৭ জন এবং মারা গেছেন ১৫ জন।
তাইওয়ানে গত ২৪
ঘণ্টায় নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ১৪ হাজার ৮৫৯ জন এবং মারা গেছেন ২৪ জন। এছাড়া
মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৯৩ লাখ ৬৮ হাজার ৪৮৩
জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১৬ হাজার ১৪৬ জনের। একইসময়ে হংকংয়ে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত
হয়েছেন ১ হাজার ৯৮৭ জন এবং মারা গেছেন ৩৬ জন।
উল্লেখ্য, ২০১৯
সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০
সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর
আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।