পার্বত্য এলাকায়
সন্ত্রাসবিরোধী যৌথ অভিযান পরিচালনা এবং পর্যটকদের ভ্রমনে নিরাপত্তার স্বার্থে বান্দরবানে
আগামীকাল (১৮ অক্টোবর) সকাল থেকে রুমা ও রোয়াংছড়ি উপজেলায় পর্যটকদের ভ্রমনে অনির্দিষ্টকালের
নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।
১৭ অক্টোবর (সোমবার)
সন্ধ্যায় মৌখিকভাবে এইতথ্য নিশ্চিত করেছেন বান্দরবানের জেলা প্রশাসক ইয়াছিমন পারভীন
তিবরীজি ।
জেলা প্রশাসক
ইয়াছিমন পারভীন তিবরীজি জানান, গত কয়েকদিন ধরে পার্বত্য জেলা বান্দরবানের রুমা ও রোয়াংছড়ি
উপজেলার বিভিন্নস্থানে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে পুলিশ,র্যাব,সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযান
পরিচালনা করা হচ্ছে, আর এই সময়ে যাতে সেসকল স্থানে ভ্রমনে গিয়ে কোন পর্যটক কোন সমস্যার
সম্মুখীন না হয় সেজন্য আগামী মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) থেকে দুই উপজেলায় সকল পর্যটকদের
ভ্রমনে অনির্দিষ্টকালের নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। তবে স্থানীয় জনসাধারণ স্বাভাবিক নিয়মে
চলাচল করতে পারবে।
জেলা প্রশাসক
বলেন, স্থানীয়রা ভৌগলিকভাবে তাদের এলাকা সর্ম্পকে পরিচিত কিন্তু পর্যটকরা কিছু না চিনেই
পাহাড়ের অনেক গভীরে চলে যায় আর এতে সকল পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হয় না,আর
এই মহুর্তে পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে আমরা প্রশাসন এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি।
তিনি জানান,জরুরী
ভিত্তিতে রাতেই মৌখিকভাবে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করে সকল পর্যটকবাহী যানবাহন সমিতিকে জানানো
হয়েছে এবং আগামীকাল গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে,পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবার এই অনির্দিষ্টকালের
নিষেধাজ্ঞা উঠানো হবে বলে জানান জেলা প্রশাসক।
এদিকে বান্দরবানের
পর্যটকবাহী জীপ,কার, মাইক্রোবাস মালিক সমিতির সভাপতি মো.নাছিরুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত
করে বলেন,পর্যটকদের নিরাপত্তা জনিত কারনে রুমা উপজেলা এবং রোয়াংছড়ি উপজেলার পর্যটন
স্পটে ভ্রমণের নিষেধাজ্ঞা দেয়ার ফলে পর্যটকবাহী সকল গাড়ীর বুকিং বাতিল করেছি। কাল থেকে
আমাদের পর্যটকবাহী কোন গাড়ী ওই দুই উপজেলায় কোন পর্যটকদের নিয়ে ভ্রমনে যাবে না।
প্রসঙ্গত: বান্দরবানের
রুমা উপজেলার মুনলাইপাড়া,রিঝুক ঝর্ণা,বগালেক,কেওক্রাডং এবং রোয়াংছড়ি উপজেলার দেবতাখুমসহ
অসংখ্য পর্যটনস্পট রয়েছে,আর প্রতিদিনই এইসকল স্পটসমুহে অসংখ্য দেশি বিদেশী পর্যটক ভ্রমনে
যায়।
এদিকে এক সপ্তাহ
যাবৎ বান্দরবানের দুই উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় সন্ত্রাসীদের ধরতে যৌথ অভিযান পরিচালনা
করার কারণে ১৮ অক্টোবর থেকে পর্যটকদের ভ্রমনে অনির্দিষ্টকালের নিষেধাজ্ঞা দেয় প্রশাসন।