Logo
শিরোনাম

যুক্তরাষ্ট্রে চার দশকের সর্বোচ্চ উচ্চতায় মূল্যস্ফীতি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৩ অক্টোবর ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ নভেম্বর ২০২৩ | ৭৭৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

চার দশকের সর্বোচ্চ উচ্চতায় মূল্যস্ফীতি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আগ্রাসীভাবে সুদের হার বাড়াচ্ছে ফেডারেল রিজার্ভ। ঋণের ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে ভোক্তা ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোর। সব মিলিয়ে আগামী বছর যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি মন্দায় পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। আবার মার্কিন খুচরা বিক্রেতাপ্রতিষ্ঠানগুলো মূল্যছাড় দিয়ে ভোক্তাদের আগাম কেনাকাটায় প্ররোচিত করছে। এ অবস্থায় চলতি বছরের ছুটির মৌসুমে অনলাইন কেনাকাটায় ব্যয় কমে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। নতুন একটি সমীক্ষা অনুসারে, নভেম্বর ও ডিসেম্বরে দেশটির অনলাইন বিক্রি অন্তত সাত বছরের সর্বনিম্ন গতিতে বাড়বে।

সিএনবিসির খবর অনুসারে, মার্কিন ক্রেতারা কয়েক দশকের সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি ও ক্রমবর্ধমান সুদহারের চাপ অনুভব করছেন। এ কারণে ছুটির মৌসুমে ব্যয়ের ক্ষেত্রে তারা সতর্কতা অবলম্বন করছেন। তথ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান অ্যাডোব অ্যানালিটিকস জানিয়েছে, চলতি বছরের শেষ দুই মাসে অনলাইন বিক্রি ২০ হাজার ৯৭০ কোটি ডলারে পৌঁছবে। এ বিক্রি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় মাত্র ২ দশমিক ৫ শতাংশ বেশি। যদিও গত বছর একই সময়ে বিক্রি বাড়ার হার ছিল ৮ দশমিক ৬ শতাংশ। এখন আরো বেশি মানুষ সরাসরি দোকানে গিয়ে কেনাকাটা করতে পছন্দ করছে এবং অনেকে রিটেইল সংস্থাগুলোর মূল্যছাড় পেয়ে অক্টোবরেই কেনাকাটা সেরে ফেলছেন। এদিকে পণ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ফেডএক্সও একই ধরনের পূর্বাভাস দিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি আশঙ্কা করছে, চলতি বছর গ্রাহকদের ছুটির পণ্য সরবরাহের পরিমাণ কমে যাবে। গত মাসে মাস্টারকার্ডের স্পেনডিংপ্লাস প্রতিবেদনেও ছুটির মৌসুমে কেনাকাটায় মন্দার পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে।

যদিও বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতি মূল্যস্ফীতির ক্রমবর্ধমান প্রবণতা কিছুটা ধীর হয়েছে। গত জুনে ভোক্তা পর্যায়ে পণ্যের দাম বাড়ার এ হার ৯ দশমিক ১ শতাংশে উন্নীতের পর একটু শ্লথ হয়েছে। জুলাই ও আগস্টে যথাক্রমে এ হার ৮ দশমিক ৫ ও ৮ দশমিক ৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। মার্কিন ভোক্তারা কেনাকাটায় লাগাম টানায় মূল্যস্ফীতি ধীর হয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক আক্রমণাত্মকভাবে সুদের হার বৃদ্ধি করায় মার্কিন নাগরিকদের ব্যয় সক্ষমতায় আরো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। অ্যাডোব ডিজিটাল ইনসাইটসের জ্যেষ্ঠ পরিচালক টেইলর শ্রাইনার বলেন, কভিড মহামারীসহ অতীতে যেকোনো বিপর্যস্ত পরিস্থিতির তুলনায় এটি পুরোপুরি ভিন্ন একটি বছর। খাদ্য ও গ্যাসের মতো মৌলিক জিনিসগুলোর খরচ বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোক্তারা অনেক বেশি মূল্যসচেতন ক্রেতা হয়ে উঠছেন। এ পরিস্থিতি গ্রাহকদের ডিসকাউন্টের জন্য অপেক্ষা এবং মৌসুমে আরো একটি সতর্কতার সঙ্গে কেনাকাটা করার পরিকল্পনাকে প্রভাবিত করছে।

মার্কিন খুচরা বিক্রেতাপ্রতিষ্ঠানগুলো চলতি বছর অতিরিক্ত মজুদ কমাতেও হিমশিম খাচ্ছে। উচ্চমূল্যস্ফীতির কারণে অতিপ্রয়োজনীয় নয় এমন পণ্যে ব্যয় কমিয়ে দিয়েছেন ভোক্তারা। ফলে পোশাক ও গৃহস্থালি সামগ্রীর বিক্রি ব্যাপকভাবে কমে গিয়েছে। অন্যদিকে বেড়ে গিয়েছে সংস্থাগুলোর মজুদের পরিমাণ। এ অবস্থায় মজুদ কমাতে মূল্যছাড় দিয়ে পণ্য বিক্রিতে বাধ্য হচ্ছে প্রতিষ্ঠানগুলো। অ্যাডোব আশা করছে, চলতি ছুটির মৌসুমে ইলেকট্রনিক পণ্যের মূল্যছাড় প্রায় ২৭ শতাংশ হবে। গত বছর এ হার ৮ শতাংশ ছিল।

অ্যাডোবের তথ্যানুসারে, চলতি বছর ব্ল্যাক ফ্রাইডেতে অনলাইন বিক্রি এক বছর আগের তুলনায় মাত্র ১ শতাংশ বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। পাশাপাশি সাইবার মনডেতে বিক্রি ৫ দশমিক ১ শতাংশ বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।

নিউজ ট্যাগ: মূল্যস্ফীতি

আরও খবর

রাশিয়া সফরে যাচ্ছেন এরদোয়ান

মঙ্গলবার ২৯ আগস্ট ২০২৩