Logo
শিরোনাম

ভাঙ্গায় দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে পুলিশসহ আহত ৩০

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২২ মার্চ 20২২ | হালনাগাদ:শনিবার ২৫ নভেম্বর ২০২৩ | ১২০৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ইউনিয়নের বালিয়াচরা ও সোনাখোলা গ্রামবাসীর মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার সকালে দুই গ্রামবাসী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। প্রায় ৩ ঘণ্টাব্যাপী চলা সংঘর্ষে পুলিশসহ কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছে। এ সময় পাঁচটি বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে।

এদিকে সংঘর্ষ চলাকালে বালিয়াচরা গ্রামের দুইটি বসতবাড়ির পাটকাঠির মাচায় আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এছাড়া ক্ষেতের ফসলসহ বসতবাড়ির বিভিন্ন গাছপালা কেটে ফেলা হয়। খবর পেয়ে ভাঙ্গা থানা পুলিশ ও ভাঙ্গা ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

সংঘর্ষে আহতরা হলো- রুবেল, জালাল, সালেহা বেগম, খোকন মুন্সি, রাজ্জাক শেখ, ওমর আলী মোল্লা, ইমরান মাতুব্বর, এনামুল শেখ, লালন হরকরা, রমজান শেখ, হিট মাতুব্বর, মিজানুর মুন্সি, বোরহান শেখ, জাকির ও বিল্লাল হোসেনকে স্থানীয় জনতা উদ্ধার করে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

এলাকাবাসী জানায়, দুই সপ্তাহ আগে আলগী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কাউসার ভূঁইয়ার একটি জমিতে বালিয়াচরা গ্রামের ছেলেরা খেলাধুলা করলে সোনাখোলা গ্রামের কিছু ছেলে তাতে বাধা দেয়। এ সময় ২ গ্রামের যুবকদের মধ্যে মারামারি হয়। সেসময় ২ গ্রামের মিরাজ, আলামিন, শাওন, হাসিবুল, সাঈদ ও নাঈম আহত হয়।

বিষয়টি নিয়ে সোনাখোলা ও বালিয়া চড়া গ্রামের মাতব্বররা সালিশ বৈঠক করে মীমাংসার চেষ্টা করেন। কিন্তু মীমাংসার আগেই রোববার বিকালে সোনাখোলা কয়েকজন যুবক বালিয়াচরা গ্রামের মিরাজকে পেয়ে মারধর করে আহত করে। তারই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার সকালে মিরাজ হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরে গ্রামের লোকজনকে ডেকে একত্রে করে সংঘর্ষের ঘোষণা দেয়। মাইকে ঘোষণা দিয়ে সোনাখোলা ও বালিয়াচরা গ্রামের শত শত লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ফসলের মাঠে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

সংঘর্ষ চলাকালে বালিয়াচড়া গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার মোল্লা, হান্নান মিয়া, গফফার ও হাবলু মাতুব্বরের বসতঘরে ব্যাপক ভাঙচুরসহ মালামাল লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভাঙ্গা থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দুটি গ্রামের মোড়ে মোড়ে অবস্থান করছে।

ভাঙ্গা থানার ওসি সেলিম রেজা জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। পরবর্তীতে জেলা সদর থেকে অতিরিক্ত পুলিশ এনে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই। এ সময় ৩ পুলিশ সদস্য আহত হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ভাঙ্গা থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা দুটি গ্রামের মোড়ে মোড়ে অবস্থান করছে।


আরও খবর