Logo
শিরোনাম

ত্রিশালের সড়ক দুর্ঘটনা: ট্রাকচালকের ছিলো না লাইসেন্স

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ জুলাই ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ নভেম্বর ২০২৩ | ১৪২০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

চাঞ্চল্যকর ও আলোচিত ময়মনসিংহের ত্রিশালে মহাসড়কে বেপরোয়া ট্রাকের চাপায় পিষ্ট হয়ে বাবা-মাসহ এক সন্তানের নির্মম মৃত্যুর ঘটনায় ঘাতক ট্রাকচালক মো. রাজু আহমেদ ওরফে শিপনের ছিলো না লাইসেন্স।

মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) দুপুরে কারওয়ান বাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

ট্রাকটির ধারণ ক্ষমতা সাতটন হলেও দুর্ঘটনার সময় গাড়িটির ওজন ছিল সাড়ে ১৩ টন। এছাড়া চালকের হালকা যানের লাইসেন্স থাকলেও ছিল না ভারি যানবাহন চালানোর লাইসেন্স। গাড়িটির বর্তমানে ট্যাক্স টোকেন ও ফিটনেস সার্টিফিকেটের মেয়াদউত্তীর্ণ ছিল।

র‌্যাব জানায়, দুর্ঘটনার আগে ট্রাকের হেলপার ঘুমাচ্ছিলেন। এ সময় পেছন থেকে আসা একটি বাসকে সাইড দিতে গিয়ে বামে চাপলে রাস্তার ওপর দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় ট্রাকটি তাদের ওপর উঠিয়ে দেয় চালক রাজু। রাজু ২০০২ সালে যশোরেরও দুর্ঘটনার শিকার হয়।

ওই দুর্ঘটনায় তার বাম পা মারাত্মকভাবে জখম হওয়ার ফলে চালক প্রায় ৬ বছর গাড়ি চালায়নি। তার এখনও বাম পায়ে সমস্যা রয়েছে। সে গত ১০ বছর ধরে নিয়মিত বিরতিতে ট্রাক চালাচ্ছে।

র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, গত ১৬ জুলাই দুপুরে ত্রিশাল উপজেলার রায়মনি গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম তার আট মাসের অন্তঃসত্তা স্ত্রী ও তার এক কন্যা সন্তানকে নিয়ে রাস্তা পারাপারের জন্য মহাসড়কের পাশে অবস্থানকালীন ময়মনসিংহগামী একটি ট্রাক বেপরোয়া গতিতে তাদের চাপা দেয়।

দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই নিহত হয় মো. জাহাঙ্গীর আলম (৩৫), তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী রত্না বেগম (২৬) ও তার তিন বছর বয়সী কন্যা সন্তান সানজিদা আক্তারকে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে মৃত্যুবরণ করে। দুর্ঘটনার সময়, অন্তঃসত্ত্বা রত্না বেগমের ওপর দিয়ে ট্রাক চলে যাওয়ায় চাকার চাপে গর্ভে থাকা কন্যা সন্তান ভূমিষ্ঠ হয়। ভূমিষ্ঠ শিশুটিকে আহত অবস্থায় স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়।

পরে চিকিৎসার জন্য তাকে ময়মনসিংহ সদরের একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। নিহত জাহাঙ্গীর আলমের বাবা বাদী হয়ে ময়মনসিংহের ত্রিশাল থানায় সড়ক পরিবহন আইনের ৯৮/১০৫ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-১৮। 


আরও খবর