Logo
শিরোনাম

ঠাকুরগাঁওয়ে বিএনপির নিজ দলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২২ মার্চ 20২২ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ নভেম্বর ২০২৩ | ১২৮৫জন দেখেছেন
Image

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:

ঠাকুরগাঁওয়ে জেলা বিএনপির কার্যালয়ের মেইন গেটে তালা দিয়ে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদককে মারধর অভিযোগ নিজ দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।

ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির কার্যালয়ের মেইন গেটে তালা দিয়ে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ড. টিএম মাহবুবর রহমানকে মারধর করেছে নিজ দলের নেতাকর্মীরা। মারধরের সময় জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমিনসহ জেলার শীর্ষ বিএনপি নোতারা কার্যালয়ের ভেতরেই ছিলেন।

মঙ্গলবার দুপুরে বালিয়াডাঙ্গীস্থ নিজ বাসায় ভুক্তভোগী মাহবুবর রহমান সাংবাদিকেদের এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন,উপজেলা বিএনপির সম্মেলনের বিষয়ে জেলা কার্যালয়ে আলোচনার জন্য আহ্বায়ক কমিটিকে ডাকেন জেলার শীর্ষ নেতারা। সেখানে আলোচনার পর সকলেই বেরিয়ে আসার সময় আমাকে যুবদলের জাহিদ নামে এক নেতা পুরনায় কার্যালয়ের ভেতরে ডাকেন। আমি কার্যালয়ের প্রবেশ করা মাত্র গেটে তালা ঝুলিয়ে দেয়। এরপর দেয়ালে মাথা ঠেকায় দিয়ে আমাকে এলোপাতাড়ি মারপিট, কিলঘুষি ও লাথি মারে। যারা মারধর করেছে তাদের নাম ও পদবি না জানলেও দেখলে চিনতে পারবো।

তিনি বলেন, এ ঘটনা দেখে জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমান, উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সৈয়দ আলমসহ অন্যান্যরা এগিয়ে এসে রক্ষার চেষ্টা করলেও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমিন চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়ানওনি। পরে রক্তাক্ত শরীর নিয়ে ঘটনার বিষয়ে বলতে গেলেও তিনি ফিরে তাকাননি। পরে উপজেলার নেতাকর্মীরা গিয়ে কার্যালয় থেকে উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান।

মারধর কেন এবং কি কারণে করা হলো, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, চলমান কাউন্সিলে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ভানোর ইউনিয়নের আহ্বায়ক কমিটি গঠনে জেলা ও উপজেলা কমিটির দ্বিমত এবং উপজেলা বিএনপির মূল নেতৃত্ব নির্বাচনে আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতেই আমার ওপর এমন জঘন্য ঘটনা ঘটিয়েছে। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আমাকে একাধিকবার ফোন দিয়ে ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।

আহ্বায়ক কমিটির অন্যান্যদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, কাউন্সিলকে ঘিরে আলোচনা সভায় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমিনের সাথে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ড. টিএম মহাবুবর রহমানের বাকবিতণ্ডা হয়েছিল। এর সূত্র ধরেই এমন ঘটনা ঘটেছে।

এদিকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ভাই জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হওয়ায় সরাসরি তার বিরুদ্ধে অভিযোগ শিকার না করলেও উপজেলার বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতার্মীরা ঘটনাটির দ্রুত তদন্ত এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।

উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি জুলফিকার আলী জানান, আমরা এমনিতেই আওয়ামী লীগের লোকজনের নানা নির্যাতনের শিকার। এখন নিজেদের দলীয় কার্যালয়েও নিজেদের নিরাপদ মনে হচ্ছে না। দলীয় কার্যালয় যদি টর্চার সেল হয়, তাহলে নেতাকর্মীরা যাবে কোথায়।

তবে অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমিন বলেন, ঘটনাটি কোথায় ঘটেছে আমার জানা নেই। পরে শুনেছি আমি। আমার প্রতি কোনো অভিযোগ থাকলে তাহলে সেটা দলকে জানাতে হবে। সাংবাদিকদের বলে লাভ নেই। ঘটনার সাথে আমি জড়িত এমন অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। তাছাড়া আহত হওয়ার পর তিনি (টিএম মহাবুবর রহমান) আমার কাছে আসেননি বরং আমরাই তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছি।


আরও খবর