পঞ্চগড় প্রতিনিধি:
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় পশুর চিকিৎসা দিতে গিয়ে স্থানীয়দের হাতে আটক হয়েছে আব্দুর রহিম (২২) নামে এক যুবক। এসময় তার কাছে প্রাণিসম্পদের কোন প্রাতিষ্ঠানিক সনদ না থাকায় ভ্রাম্যমান আদালতে ৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একই সাথে তার কাছে থাকা কিছু ঔষুধ জব্দসহ ভুয়া ভিজিটিংক কার্ড জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে।
সোমবার (২২ আগষ্ট) দুপুরের উপজেলা পরিষদ চত্বরে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে ভুয়া পশু চিকিৎসক আব্দুর রহিমকে জরিমানা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সোহাগ চন্দ্র সাহা।
জানা যায়, দণ্ডপ্রাপ্ত আব্দুর রহিম উপজেলার শালবাহান ইউনিয়নের ডাহুকগুচ্ছ গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে।
এদিকে ভ্রাম্যমান আদলাত সূত্রে জানা যায়, সোমবার দুপুরে উপজেলার ভজনপুর ইউনিয়নে ভিজিটিং কার্ড দেখিয়ে আব্দুর রহিম নিজেকে পশু ডাক্তার হিসেবে পরিচয় দেন। এসময় এক বাড়িতে পশুর চিকিৎসা দিতে গেলে গ্রামবাসির সন্দেহ হয়। পরে তাকে আটক রেখে উপজেলা প্রাণি সম্পদ অফিসে জানালে একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উপজেলা পরিষদ চত্বরে নিয়ে যায়। সেখানে তার কাছে পাওয়া স্টেরয়েড, এন্টিবায়োটিক ওষুধ জব্দ করে ভিজিটিং কার্ড গুলো জ্বালিয়ে দেয়া হয়। এর আগে অভিযুক্তের সব বিষয়ে যাচাই-বাছাই শেষে তাকে জরিমানা করেন ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক।
তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহাগ চন্দ্র সাহা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আব্দুর রহিম নামের ওই যুবককে উপজেলা পরিষদ চত্বরে নিয়ে আসলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। একই সাথে তার প্রাতিষ্ঠানিক সনদ দেখতে চাইলে প্রাণি সম্পদের তেমন কোন সনদ দেখাতে পারেননি তিনি। তবে তিনি যুব উন্নয়নের প্রশিক্ষণের বিষয়টি জানান। একই সাথে তার কাছে অনেকগুলো পশু চিকিৎসক পরিচয়ে ভিজিটিং কার্ড পাওয়া যায়। যেহেতু তার প্রাণী সম্পদের কোন সনদ নেই এ জন্য ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ওই যুবককে ভেটেরিনারি কাউন্সিল আইনে ভুয়া চিকিৎসক হওয়ার দায়ে ৩ হাজার টাকা অর্থদন্ড করা প্রদান করা হয়েছে।