Logo
শিরোনাম

শরীয়তপুরের জাজিরায় বেড়েছে সরিষার আবাদ

প্রকাশিত:রবিবার ২৫ ডিসেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ নভেম্বর ২০২৩ | ৭৪০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

দেশের ভোজ্য তেলের ঘাটতি কমাতে বর্তমান কৃষি বান্ধব সরকারের মহা পরিকল্পনার অংশ হিসেবে শরীয়তপুর জেলার জাজিরা উপজেলায় বেড়েছে সরিষার আবাদ। উপজেলা কৃষি বিভাগ ও কৃষকের সমন্বয়ে গত মৌসুমের তুলনায় ৪১৫ হেক্টর জমিতে আগের জাতের চেয়ে অধিক তেল উৎপাদনশীল উফশী জাতের সরিষা আবাদ করেছেন। এর মাধ্যমে কৃষকরা নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে বিক্রিও করতে পারবেন।

উপজেলা কৃষি বিভাগ বলছে, ২০২৫ সালের মধ্যে বর্তমান সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী ৪০ শতাংশ ভোজ্য তেল উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে ঘাটতি কমিয়ে আনতে মাঠ পর্যায়ে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে।

জাজিরা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো: জামাল হোসেন বলেন, বর্তমান কৃষি বান্ধব সরকারের ঐকান্তিক প্রচেষ্টার ফলশ্রুতিতে ভোজ্য তেলের ঘাটতি কমাতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করে যাচ্ছি আমরা।  তেল উৎপাদন বাড়াতে প্রণোদনা কর্মসূচি, তেল জাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্প, রাজস্ব কর্মসূচি ও এনএটিপি-২ প্রকল্পের মাধ্যমে প্রদর্শনী স্থাপন করে বৃদ্ধি করা হয়েছে সরিষার আবাদ। মাঠ পর্যায়ে ব্লক ভিত্তিক বোরো শস্য বিন্যাসের মাধ্যমে আগাম জাতের অন্তর্ভুক্তি করে সরিষার আগের জাতের চেয়ে অধিক তেল উৎপাদনকারী জাত আবাদ প্রক্রিয়া করা হয়েছে গতিশীল। ইতোমধ্যে জাজিরায় বারি-১৮, বারি-১৪, বারি-১৭,  বিনা-৪ ও বিনা-৯ জাতের সরিষার আবাদ ১৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। আশা করছি আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার মধ্যদিয়ে ২০২৫ সালের মধ্যে সরকারের লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও অধিক তেল ফসল উৎপাদনে সক্ষম হবে জাজিরা উপজেলা। এবছর জাজিরায় ২ হাজার ৫শ ৩০ হেক্টরে সরিষা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে আবাদ হয়েছে ২ হাজার ৯শ ১৫ হেক্টরে।

জাজিরা উপজেলার সেনেরচর ইউনিয়নের কৃষক চুন্নু আকন বলেন, গত মৌসুমে আমি এক বিঘা জমিতে বারি-১৪ জাতের সরিষা আবাদ করে ৮ মণ ফলন পেয়েছি। ভোজ্য তেলের দাম বৃদ্ধির ফলে এবার ৭ বিঘা জমিতে বারি-১৪ জাতের সরিষা আবাদ করেছি। আবহাওয়া ভালো থাকায় ফলনও হয়েছে বেশ ভালো। আশা করছি বিঘায় ফলন ৮ মণের কম হবে না।

একই উপজেলার বিকেনগর ইউনিয়নের কৃষক গিয়াস উদ্দিন মোল্লা বলেন, দুই বছর আগে তিন বিঘা জমিতে মাঘি জাতের সরিষা আবাদ করে ১৩ মণ ফলন পেয়েছিলাম। গত বছর থেকে কৃষি বিভাগের পরামর্শে তিন বিঘা জমিতে উফশী জাতের বারি-৪ জাতের সরিষা আবাদ করে ২৩ মণ ফলন পেয়েছি। মাঘি জাতের সরিষার এক ঘাইনে (১০) কেজি সাড়ে তিন কেজি তেল পেতাম। এখন বারি-১৪ জাতের সরিষায় এক ঘাইনে তেল সাই সাড়ে ৪ কেজি। এতে ফলনও বেশি, তেলও বেশি। এখন আর বাজার থেকে বেশি দাম দিয়ে খাবার তেল কিনতে হবে না, বিক্রিও করতে পারব।


আরও খবর

শখের নার্সারিতে সফল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মনির

মঙ্গলবার ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

জয়পুরহাটে ৮৫৫ হেক্টর জমিতে ভুট্টার চাষ

মঙ্গলবার ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩