Logo
শিরোনাম

স্কুলছাত্র রাজিন হত্যায় ১৭ আসামির কারাদণ্ড

প্রকাশিত:সোমবার ২৩ মে ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ২৫ নভেম্বর ২০২৩ | ৯৯০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

খুলনা পাবলিক কলেজের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র ফাহমিদ তানভীর রাজিন হত্যার দায়ে ১৭ আসামিকে ৭ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (২৩ মে) দুপুরে খুলনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ ও শিশু আদালতের বিচারক মো. আব্দুস ছালাম খান এ রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে ৩০২/৩৪ ধারায় আসামিদের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। তবে যেসব আসামির বয়স ১৮ বছরের নিচে তাদের সংশোধনাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী খুলনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ ও শিশু আদালতের স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট ফরিদ আহমেদ।

কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মঞ্জুরুল ইসলাম ওরফে সাব্বির হাওলাদার (১৬), বিএম মাজিব হাসান রয়েল (১২), শাহারিয়ার জামান তুর্য্য (১৭), রিয়ান শেখ ওরফে রেফাত (১২), ফাহিম ইসলাম মনি (১৪), সানি ইসলাম ওরফে আপন (১৩), জিসান খান (১৫), তারিন হাসান ওরফে রিজভী (১৩), শাকিব খান শিমুল (১৭), অন্তর কুসার দাস (১৫), মো. হাকিম (১৭), সৈকত (১৬), শেখ সাকিব (১৭), আসিফ প্রান্ত আলিফ (১৫), শেখ তামিম (১৬), সাকরান সালেহ ওরফে মিতুল (১২) এবং মোস্তফিজুর রহমান নাঈম (১৪)।

আদালত সূত্র জানায়, ২০১৮ সালের ২০ জানুয়ারি সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে কনসার্ট দেখার জন্য খুলনা পাবলিক কলেজের উদ্দেশে রওনা হয় রাজিন। রাতে অনুষ্ঠানস্থলে বসাকে কেন্দ্র করে আসামি তামিমের সঙ্গে রাজিনের হাতাহাতি হয়। রাত ৯টার দিকে তারা রাজিনকে অনুষ্ঠানের মঞ্চের পেছনে নিয়ে গিয়ে চড় থাপ্পড় মারতে থাকে। একপর্যায়ে সাব্বির বলে, আমার কাছে চাকু আছে। অনেকদিন চাকুটি রক্ত খায় না। মামলার অন্য আসামিরা রাজিনের হাত চেপে ধরে। আর সাব্বির চাকুটি রাজিনের পেটে ঢুকিয়ে দিলে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এরপর আসামিরা পালিয়ে যায়।

আদালত সূত্রে আরও জানা যায়, গুরুতর আহত অবস্থায় রাজিনকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এরপর নিহতের পিতা শেখ জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে ৬ জন আসামির নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১০ জনের বিরুদ্ধে নগরীর খালিশপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। একই বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি খালিশপুর থানার এসআই মো. মিজানুর রহমান ১৭ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

রায় ঘোষণার পর দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের আদালত থেকে কারাগারে নেওয়ার সময় আসামিরা পুলিশ ও সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে অশ্লীল এবং মারমুখি আচরণ করে।

এদিকে রায় ঘোষণার পর নিহত রাজিনের মা খুলনা পুলিশ লাইন স্কুলের শিক্ষিকা রেহানা খাতুন অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, শিশু আইনে সর্বোচ্চ ১০ বছরের সাজার কথা বলা হলেও আদালত সেটা না করে আসামিদের ৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে।’ এ ছাড়া, আসামিরা রায় ঘোষণার পর কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে সাজা শেষে কারাগার থেকে বেরিয়ে তাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।

তবে, রায় ঘোষণার পর রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট ফরিদ আহমেদ আসামিদের ৭ বছরের কারাদণ্ড দেওয়ায় আদালতের প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করেন।

নিউজ ট্যাগ: কারাদণ্ড খুলনা

আরও খবর