জামালপুরের মেলান্দহে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণে
৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে ৬ষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রী। এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক মো.
বিলাসকে (২০) আটক করেছে পুলিশ। শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে উপজেলার আদ্রা ইউনিয়নের
টনকিপাড়া গ্রাম থেকে বিলাস (২৬) নামের ওই শিক্ষককে আটক করা হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রী
তার বিরুদ্ধে মেলান্দহ থানায় মামলা করেছে।
অভিযুক্ত বিলাস ওই এলাকার আজগর আলীর ছেলে।
তিনি স্থানীয় আদ্রা জিনিয়াস স্কুলের সহকারী শিক্ষক।
পুলিশ জানিয়েছে, উপজেলার আদ্রা ইউনিয়নের
জিনিয়াস স্কুলের শিক্ষক বিলাস ওই ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। বিয়ের প্রলোভন
দেখিয়ে এক বছর ধরে শিশুটিকে ধর্ষণ করেন তিনি। একপর্যায়ে ছাত্রীটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে
পড়ে। ঘটনাটি জানাজানি হলে পুলিশ শনিবার রাতে স্কুলশিক্ষক বিলাসকে আটক করে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ছাত্রী বাদী হয়ে মেলান্দহ
থানায় মামলা করেছে।
ছাত্রীর মা জানান, তার স্বামী এক ছেলে
ও মেয়ে রেখে অনেক আগেই চলে গেছেন। তিনি জামালপুর শহরের বিভিন্ন বাসাবাড়িতে কাজ করে
মেয়েকে নানির কাছে রেখে কষ্ট করে পড়ালেখা করাচ্ছেন। শিক্ষক বিলাস তার মেয়েকে বিয়ের
প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করেন। এতে তার মেয়ে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। তিনি অভিযুক্তের
দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন।
মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা
(ওসি) এস এম ময়নুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করেছে। ছাত্রীটিকে
বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে মর্মে ওই ছাত্রী নিজেই বাদী হয়ে মামলা দিয়েছে।
অভিযুক্তকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।