Logo
শিরোনাম

শেরপুরে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ জুন ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ নভেম্বর ২০২৩ | ৯৮৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

শেরপুরে যৌতুক না দেওয়ায় নির্যাতন করে স্ত্রীকে হত্যার মামলায় এমদাদুল হক লালু (৪৫) নামে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড ও এক হাজার টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আখতারুজ্জামান একমাত্র আসামির উপস্থিতিতে ওই রায়  পড়ে শুনান।

এমদাদুল হক সদর উপজেলার চরমুচারিয়া ইউনিয়নের মুকসুদপুর এলাকার মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে। রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি এ্যাডভোকেট গোলাম কিবরিয়া বুলু।

মামলা ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত ২০১০ সালে দন্ডপ্রাপ্তের সাথে সদর উপজেলার কামারিয়া ইউনিয়নের ছয়ঘড়িপাড়া এলাকার আব্দুর রশিদের মেয়ে রোখসানা খাতুনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর রোখসানার পিতা আসবাবপত্র, নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার দিয়েছিলেন। বিয়ের সময় এমদাদ বেসকারি একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন।

বিয়ের পাঁচ বছর পর এমদাদ চাকরি ছেড়ে বাড়ি চলে আসে। বেকার এমদাদ এক পর্যায়ের যৌতুকের জন্য স্ত্রীর উপর নির্যাতন শুরু করে। বারবার টাকা এনে দিতে অস্বীকার করায় ২০১৭ সালের ৬ সেপ্টেম্বর মারধর করলে রোখসানা গুরুতর আহত  হয়। আহত স্ত্রীর মুখে বিষ ঢেলে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে স্বামী নিজেই। পরদিন ৭ সেপ্টেম্বর রোখসানা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। ওই ঘটনায় প্রথমে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হলেও ময়নাতদন্ত ও ভিসেরা রিপোর্টে দেখা যায়, বিষ খেয়ে নয় রোখসানার মৃত্যু হয়েছে মারপিটের কারণে।

পরে ওই ঘটনায় নিহতের ভাই ডা. গোলাম মোস্তফা বাদী হয়ে এমদাদসহ আরও ৯ জনকে অভিযুক্ত করে ২০১৭ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। তদন্ত শেষে ২০১৮ সালের ১ ফেব্রুয়ারি একমাত্র এমদাদুল হক লালুর বিরুদ্ধে তদন্ত কর্মকর্তা সদর থানার তৎকালীন পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আব্দুল্লাাহ আল মামুন আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আদালত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে আনিত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় এই রায় দেন।

এই রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এ্যাডভোকেট গোলাম কিবরিয়া বুলু ও মামলার বাদী নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. গোলাম মোস্তফা। তবে রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদারতে যাবেন বলে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া দিয়েছে অভিযুক্ত পক্ষের লোকজন।

 


আরও খবর