Logo
শিরোনাম

শেখ হাসিনার বিকল্প নাই এটা বাংলাদেশে প্রমানিত: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ২৫ নভেম্বর ২০২৩ | ৭৫০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এমপি বলেছেন, প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বুদ্ধিজীবী হত্যাকারীদের মন্ত্রী বানিয়ে পুরষ্কৃত করেছেন। আর অন্যদিকে এসকল চিহ্নিত রাজাকার ও খুনিদের বিচারের মুখোমুখি করে আদালতের রায় কার্যকর করেছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাজনীতিতে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে সমালোচনা হতে পারে।

রেজাউল করিম বলেন আমি মন্ত্রী, আমার সমালোচনা হতে পারে। দলগত ভাবে আওয়ামী লীগের সমালোচনা হতে পারে। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে প্রতিষ্ঠিত করা, মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানিত করা, শহিদদের সম্মানিত করা, অসম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মান করা, শহিদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা এই জায়গায় যদি আসি, তাহলে কিন্তু শেখ হাসিনার বিকল্প নাই। এটা ৫১ বছরে বাংলাদেশে প্রমানিত।

মন্ত্রী আজ দুপুরে পিরোজপুরের জেলা প্রশাসন আয়োজিত শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, মনে রাখতে হবে রাজাকারের আদর্শ ধারণ করে যে মানুষ গুলো ওদের নতুন প্রজন্ম রাজাকারের নতুন ভার্সন। ওদের থেকে সতর্ক থাকতে হবে। কারা চিৎকার করে বিদেশে বসে ফেসবুক-ইউটিউবে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে বিকৃত করে? কারা বলে মুক্তিযোদ্ধারা ধর্ষক ছিলো, ডাকাতি করছে..! এই প্রজন্ম দেশে দেশের বাইরে কিন্তু ৭১ এর পরাজিত শক্তি নতুন অধ্যায়ের সৃষ্টি করতে চাচ্ছে। ওরা মানুষিক ভাবে রাজাকার, ওরা মানুষিক ভাবে ধর্ষক। ওরা মানুষিক ভাবে খুনি। ওরা মানুষিক ভাবে সাম্প্রদায়িক। এই গোষ্ঠির থেকে আমাদে প্ররিত্রাণ পেতে হলে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।

জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের শহীদ আব্দুর রাজ্জাক- সাঈফ মিজান স্মৃতি মিলনায়তনে উপস্থিত বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন মহান মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তোমরা জানলে তোমাদের মধ্যে দেশপ্রেম সৃষ্টি হবে এবং তোমরা ভবিষ্যতে এদেশ পরিচালনার জন্য নিজেদের যোগ্য নাগরিক হিসেবে তৈরী করতে পারবে।  মন্ত্রী বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেইসকল অপরাধীদের বিচারের ব্যবস্থা করেছেন যারা মুক্তিযুদ্ধের সময় জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের এদেশের স্বাধীনতাকামী মানুষদের হত্যা করেছে- বর্বর দখলদার বাহিনীর হাতে তুলে দিয়েছে। তিনি শুধু বিচারের রায় কার্যকর করেই ক্ষান্ত হননি, বীরাঙ্গনাদের, যুদ্ধ শিশুদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার পথ সুগম করে দিয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধে যারা শহীদ হয়েছে, তাদের সম্মানিত করার, তাদের পরিবার- পরিজনদের সমাজে স্বচ্ছল করে চলার ব্যবস্থা করার ক্ষেত্রে শেখ হাসিনার কোন বিকল্প নেই। সন্তান হারানো মা-বাবার যে বেদনা সেটি একমাত্র শেখ হাসিনাই অনুভব করেন।

মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি বিভাজিত হলে আমাদের সকল অর্জন মেলান হয়ে যেতে পারে। যুদ্ধাপরাধী ও বঙ্গবন্ধুর খুনিরা একই সুতোয় গাঁথা। তাদের দাম্ভিকতা চূর্ণ করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আলি আহসান মুজাহিদ, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী, কাদের মোল্লা, গোলাম আজম, আব্দুল আলিমদের কু-কীর্তি ঢেকে ফেলার অপচেষ্টা করেছিল জিয়াউর রহমানের বিএনপি। জয় বাংলা শ্লোগান ছিল মুক্তিযুদ্ধের প্রাণ সঞ্চারী শ্লোগান। সেই শ্লোগান দেয়া জিয়াউর রহমান নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল। তার পরিবর্তে পাকিস্তানী ভাব ধারার বাংলাদেশ জিন্দাবাদ শ্লোগানের পরিবর্তন করা হয়েছিল। তিনি বলেন আইয়ুব খানের দোষর মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতাকারী খান এ সবুর, শাহ আজিজদের কবর ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে রয়েছে। সেখানে স্মৃতিসৌধ করা হয়েছে- আর জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান  বুদ্ধিজীবিদের দেয়া হয়েছে মাটিচাপা।

পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান পিপিএম সেবা, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সালমা রহমান হ্যাপী, সিভিল সার্জন ডাঃ হাসনাত ইউসুফ জ্যাকি, বীর মুক্তিযোদ্ধা গৌতম নারায়ন রায় চৌধুরী। এছাড়া অন্যান্যের মধ্যে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি অনিরুজ্জামান অনিক, ইমাম সমিতির সভাপতি ফারুক আবদুল্লাহ, জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোপাল বসু, মৎস্যজীবিলীগের আহ্বায়ক সিকদার চান, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক রেজাউল করিম শিকদার মন্টু, জেলা মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান রুহিয়া বেগম হাসি, জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার যুগ্ম পরিচালক মোঃ আব্দুল কাদের। এরপর মন্ত্রী সার্কিট হাউজ প্রাঙ্গণে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণতহবিলের কম্বল শীতার্তদের মাঝে বিতরণ করেন।

নিউজ ট্যাগ: শ ম রেজাউল করিম

আরও খবর