Logo
শিরোনাম

শীতলক্ষ্যার দূষণে ভেসে উঠা মাছ ধরতে সাধারণ মানুষের ভীড়

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৩ এপ্রিল ২০২১ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ নভেম্বর ২০২৩ | ১৮৭৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

শ্রীপুর ( গাজীপুর ) প্রতিনিধি :

গাজীপুরের শ্রীপুরে শীতলক্ষ্যার দূষণে ভেসে উঠা মাছ ধরতে নদীর পাড়ে সাধারণ মানুষের ভীড়। শিল্পকারখানার দূষণে বর্তমানে শীতলক্ষ্যা নদীটি ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। স্থানীয় বিভিন্ন শিল্পবর্জ্য নিয়মিত ফেলা হচ্ছে । তাই স্বচ্ছ জলের শীতলক্ষ্যা ঐতিহ্য নিয়ে বেঁচে থাকা দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতির মাছ বিলুপ্ত হওয়ার পথে।

স্বচ্ছ জলের পরিবর্তে কালো ও দুর্গন্ধযুক্ত পানিতে সয়লাব হয়ে পড়েছে শীতলক্ষ্যা নদী। শান্ত ও স্বচ্ছ জলের শীতলক্ষ্যার আগের  রূপ আর এখন নেই। দূষণে সে হারিয়েছে তার স্বকিয়তা। এখন হারানোর পথে তার বুকে নিরাপদে বসতি স্থাপন করা জলজ প্রাণিগুলো। গত কয়েকদিন ধরে শীতলক্ষ্যার বুকে ভেসে উঠছে মাছসহ জলজপ্রাণি। এ খবরে স্থানীয়দের মধ্যে মৎস্য আহরণের যেন উৎসব শুরু হয়েছে।

গাজীপুরের শ্রীপুরের বরমী এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেলেও স্থানীয়দের মধ্যে দেশীয় মৎস্য সম্পদ ধ্বংসের এ চিত্রে হতাশাও তৈরি হয়েছে।  গাজীপুরের ঐতিহ্যবাহী শীতলক্ষ্যাকে শিল্পকারখানার দূষণ থেকে বাঁচাতে জরুরিভাবে উদ্যোগ নিতে হবে।

স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, পুরাতন ব্রহ্মপুত্র ও বানার নদী থেকে গাজীপুরে শীতলক্ষ্যার উৎপত্তি। জেলার শ্রীপুর ও কাপাসিয়া উপজেলার বুক চিরে বয়ে গেছে এই নদী। আবহমান কাল থেকে শীতলক্ষ্যা গাজীপুরের অন্যতম প্রাণের স্পন্দন। এ নদী ঘিরেই এলাকার কৃষি, ব্যবসা বাণিজ্য ও গ্রামীণ অর্থনীতি পরিচালিত হচ্ছে।

দেশীয় মাছের অন্যতম ভাণ্ডার ছিল এই শীতলক্ষ্যা নদী। বেশ কয়েক বছর ধরে পার্শ্ববর্তী ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা উপজেলার শিল্পকারখানার বিষাক্ত তরল বর্জ্য ক্ষিরু ও মাটিকাটা নদীর মাধ্যমে বানার ও শীতলক্ষ্যা দূষিত হচ্ছে।

বরমী সোসাইটির এডমিন সোহাগ মোড়ল  বলেন , ভালুকার শিল্পকারখানার রাসায়নিক পানি এই নদীতে প্রতি বছরই ছেড়ে দেয়, যার কারণে নদীর বিভিন্ন প্রজাতির মাছ প্রাই বিলুপ্তির পথে।

সোহাগ বলেন, পানি দূষিত হয়ে যাওয়ার কারণে, নদীর মাছ সব একটু শুদ্ধ শ্বাস নেওয়ার জন্য তীরে চলে আসছে, সাধারণ জনগণ মাছ ধরার জন্য মরিয়া হয়ে গেছে।

গাজীপুর জেলা মৎস্য অফিসের দেয়া তথ্য মতে, দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতির মাছের উৎস ছিল এই নদী। এই নদীকে ঘিরে প্রায় এক হাজার জেলে পরিবার জীবিকা চালাত। সরকারি হিসাবে এই নদীর গাজীপুর অংশ থেকে প্রতিবছর ৫০০ মেট্রিক টন মাছের সরবরাহ পাওয়া যেত।

গাজীপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন বলেন, শিল্পকারখানার দূষণে বর্তমানে শীতলক্ষ্যা নদীটি ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। স্থানীয় বিভিন্ন শিল্পবর্জ্য এর জন্য দায়ী। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মাছের দুর্দশা দেখেছি। এভাবে চলতে থাকলে শীতলক্ষ্যায় ঐতিহ্য নিয়ে বেঁচে থাকা দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতির মাছ বিলুপ্ত হয়ে যাবে।


নিউজ ট্যাগ: শীতলক্ষ্যা নদী

আরও খবর