গার্মেন্টকর্মী
রিবা আক্তারকে (১৫) সাংবাদিক বানানোর প্রলোভন দেখিয়ে বিয়ে করেন আব্দুর রাজ্জাক মণ্ডল
(৬০) নামে এক বৃদ্ধ। বিয়ের দুই মাস পর ভাইকে ফাঁসাতে রিবা আক্তারকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে
ওই বৃদ্ধের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় বুধবার
বিকালে আব্দুর রাজ্জাককে গাজীপুর থেকে গ্রেফতার করে ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।
এর আগে গত ১৫ মার্চ রিবা আক্তারের লাশ ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার টাংগাটি গ্রাম থেকে
উদ্ধার করে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার সকালে
জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আহমার উজ্জামান বলেন, দুই মাস পূর্বে গাজীপুরে নরসিংদী জেলার
মাধবপুর উপজেলার খিলগাঁও গ্রামের অটোচালক দুলাল মিয়ার মেয়ে গার্মেন্টকর্মী রিবা আক্তারের
পরিচয় হয় আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে। পরে আব্দুর রাজ্জাক তাকে সাংবাদিক বানানোর প্রলোভন
দেখিয়ে বিয়ে করে। বিয়ের পর আব্দুর রাজ্জাকের গাজীপুরের গাছা রোড এলাকায় ভাড়া বাসায়
তরুণীর যাতায়াত ছিল।
ময়মনসিংহের ধোবাউড়া
উপজেলার টাংগাটি মধ্যপাড়ার বাসিন্দা আব্দুর রাজ্জাক ও তার ভাই আমিনুল ইসলামের সঙ্গে
দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলছিল। আমিনুল ইসলামকে ফাঁসাতে গত ১৪ মার্চ রিবাকে
বাড়িতে বেড়ানোর কথা বলে ধোবাউড়া গোয়াতলা কংশ নদীর তীরে এনে অপেক্ষমাণ দুই সহযোগীসহ
দলবেঁধে ধর্ষণের পর হত্যা করে আমিনুল ইসলামের বাড়ির পাশে লাশ ফেলে রাখে।
লাশের সঙ্গে আমিনুল ইসলামের ছেলে শহীদুল্লাহর জন্মনিবন্ধনের ফটোকপিও রেখে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় ১৬ মার্চ ধোবাউড়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। অন্য আসামিদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।