Logo
শিরোনাম

সাংবাদিক আমির খসরুর মাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা

প্রকাশিত:সোমবার ১৬ মে ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | ১১৪৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

পিরোজপুরে নিজ বাসা থেকে ভয়েস অব আমেরিকার বাংলাদেশ প্রতিনিধি আমির খসরুর মায়ের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরিবারের অভিযোগ, রাতের কোনো এক সময় শ্বাসরোধ করে তাঁকে হত্যা করে ফেলে রাখা হয়েছে।

আজ সোমবার সকাল ১০টায় পিরোজপুরের সিআইপাড়া এলাকার নিজ বাস ভবন থেকে আমির খসরুর মা সিতারা হালিমের মরদেহ উদ্ধার করে থানা পুলিশ।

সিতারা হালিম (৭৪) পিরোজপুর সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক মৃত আব্দুল হালিম হাওলাদারের স্ত্রী।

সিতারা হালিমের মেয়ে সালমা আরজু জানান, তাঁদের নিজেদের বাসভনের দ্বিতীয় তলায় মা একা থাকতেন। গতকাল রোববার রাতে সর্বশেষ মায়ের সঙ্গে তাঁর কথা হয়। আজ সকালে বাসায় রং করার জন্য আব্দুল কুদ্দুস নামের একজন রংমিস্ত্রি গিয়ে ডাকাডাকি করেন। ভেতর থেকে কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে তিনি নিচ তলার ভাড়াটিয়ার কাছে বিষয়টি জানান। অনেক সময় পরও দরজা না খুললে ভাড়াটিয়া ও রং মিস্ত্রি পেছনের দরজা দিয়ে ডাকতে গেলে তাঁরা দেখতে পান দরজাটি খোলা। তখন বাসায় ঢুকে দেখেন সিতারা হালিম মেঝেতে পড়ে আছেন।

নিচ তলার ভাড়াটিয়া বিষয়টি সালমা আরজুকে ফোনে জানান। তিনি ও তাঁর স্বামী দ্রুত বাসায় এসে দেখতে পান ঘরের মেঝেতে মা পড়ে আছেন। তাঁর গলায় আঘাতের চিহ্ন। ঘরের আলমারি ভাঙা এবং আসবাবপত্র এলোমেলোভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। তাঁরা তখন পুলিশে খবর দেন। তৎক্ষণাৎ পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

পিরোজপুর জেলা হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. স্বাগত হালদার বলেন, মৃত অবস্থায় সিতারা হালিম নামে এক বয়স্ক নারীকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তাঁর গলায় চিকন কোনো কিছুর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

পিরোজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) থান্দার খায়রুল হাসান বলেন, সকালে খবর পেয়ে পুলিশ সিতারা হালিমের মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে শ্বাসরোধ করে রাতের কোনো এক সময় তাঁকে হত্যা করে ঘরের মেঝেতে ফেলে রাখা হয়েছিল। এ বিষয়ে পুলিশ তদন্ত করে দেখছে।


আরও খবর