Logo
শিরোনাম

সাকার মাছ নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি

প্রকাশিত:বুধবার ২৫ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৫ নভেম্বর ২০২৩ | ৩৫৭০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

খুব দ্রুত বংশবিস্তার করা ক্ষতিকর সাকার মাছ নিষিদ্ধ করে চূড়ান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে ১১ জানুয়ারি মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মৃনাল কান্তি এ প্রজ্ঞাপন জারি করেন।

এর আগে গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর ক্ষতিকর মাছটি নিষিদ্ধ করতে প্রটেকশন অ্যান্ড কনজারভেশন অব ফিশ অ্যাক্ট, ১৯৫০-এর ১৮ নম্বর ধারা সংশোধন প্রস্তাব প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করে মন্ত্রণালয়।

এতে বলা হয়, এ বিষয়ে কারও কোনো আপত্তি বা পরামর্শ থাকলে তা লিখিতভাবে প্রজ্ঞাপন জারির দিন থেকে অনধিক দুই মাসের মধ্যে মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মৃনাল কান্তি দেকে জানানোর জন্য বলা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এই সময়ের মধ্যে এ বিষয়ে কোনো আপত্তি বা পরামর্শ না পাওয়া গেলে তা চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।

১১ জানুয়ারি মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, যেহেতু, উক্ত প্রাক-প্রকাশনায় উল্লিখিত ২ (দুই) মাস সময় ইতোমধ্যে অতিক্রান্ত হয়েছে এবং প্রস্তাবিত সংশোধনের উপর প্রাপ্ত মতামতের ভিত্তিতে সরকার উক্ত নিয়মের অধিকতর সংশোধনের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এরপর প্রজ্ঞাপনে ১৯৫০-এর ১৮ নম্বর ধারার ২ নম্বর উপধারায় বলা হয়, কোনো ব্যক্তি সাকার মাছ আমদানি, চাষ, প্রজনন, পরিবহন, বিক্রি, গ্রহণ বা প্রদান, বাজারজাতকরণ, সংরক্ষণ করতে পারবেন না।

সাকার মাছের বৈজ্ঞানিক নাম ইপসতোমুস প্লেকসতোমুস। মূলত এটি অ্যাকুরিয়াম পালন করা হয়। প্রধান খাবার জলজ পোকামাকড় ও জলজ শ্যাওলা। তবে ছোট মাছ, পোনা ও মাছের রেনুও খেয়ে থাকে তারা। ফলে দেশীয় প্রজাতির মাছের বংশবিস্তারে ক্ষতির প্রভাব ফেলে সাকার সাকার মাছ। এ ছাড়া সাকার মাছের শরীর খুব শক্ত ও পাখনা খুব ধারালো। এ মাছের আঘাতে অন্য মাছের শরীরে ক্ষত সৃষ্টি হয় ও এর বিষে মাছগুলোতে পচন ধরে মরে যায়।

সাকার মাছ দেশীয় মাছের জন্য বড় হুমকি বলে দীর্ঘদিন ধরে প্রচার করে আসছিল মৎস্য অধিদপ্তর। তুলে ধরা হয় সাকার মাছের ক্ষতিকর দিক।


আরও খবর