Logo
শিরোনাম

রাণী ভবানী রাজবাড়ি নাটোর রাজবাড়ি নামেই অধিক পরিচিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ নভেম্বর ২০২৩ | ৯৬৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

প্রাচীন জনপদ নাটোর জেলায় সপ্তদশ শতাব্দীতে নির্মিত রাণী ভবানী রাজবাড়ীকে বাংলাদেশ সরকার ১৯৮৬ সালে রাণী ভবানী কেন্দ্রীয় পার্ক হিসাবে ঘোষণা করে। রাণী ভবানী কেন্দ্রীয় পার্কে রয়েছে ৬ টি দীঘি এবং শ্যামসুন্দর, তারকেশ্বর শিব এবং আনন্দময়ী কালিবাড়ি নামের ৩ টি মন্দির, যেগুলাতে এককালে রাজকীয় ভাবে পূজা আর্চনার আয়োজন করা হত। রাণী ভবানী রাজবাড়ি নাটোর রাজবাড়ি নামেই অধিক পরিচিত।

রানী ভবানী রাজবাড়ী বড় তোরফ ও ছোট তরফ নামক দুটি অংশে বিভক্ত। ১২০ একর আয়তনের রানী ভবানী রাজবাড়ী কমপ্লেক্সে ছোট বড় মোট ৮ টি ভবন রয়েছে। কিছুটা মতভেদ থাকলেও নিশ্চিত ভাবে বলা যায় ১৭০৬ থেকে ১৭১০ সালের মধ্যে নাটোরের রানী ভবানী রাজবাড়ি নির্মাণ করা হয়েছিল। তৎকালীন পুঠিয়ার রাজা দর্পনারায়ণের কাছ থেকে ১৮০ বিঘা আয়তনের একটি বিল রাজা রাম জীবন দান হিসাবে গ্রহন করে এই রাজবাড়ী ও অন্যান্য স্থাপনা গড়ে তোলেন। বড় তরফ অংশের মূল কমপ্লেক্সটিই রানী ভবানীর রাজ প্রসাদ হিসাবে ব্যবহৃত হত। নাটোর রাজবাড়ি প্রতিদিন সকাল ৯ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত খোলা থাকে।

কিভাবে যাবেন: ঢাকা থেকে সড়ক ও রেলপথে নাটোর যাওয়া যায়। আর নাটোর শহর থেকে রিক্সা বা টেম্পু ভাড়া করে সরাসরি রাণী ভবানী রাজবাড়ী ভ্রমণ করতে পারবেন। ঢাকা থেকে নাটোর যাওয়ার বেশকিছু বাস সার্ভিস রয়েছে এদের মধ্যে গ্রীণ লাইন, হানিফ, দেশ, শ্যামলি এবং ন্যাশনাল পরিবহন উল্লেখ্য। এসব পরিবহণের বাসগুলো নিয়মিতভাবে ঢাকার কল্যানপুর ও গাবতলী বাস টার্মিনাল থেকে নাটোরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। ঢাকা থেকে সাধারণত রংপুর, দিনাজপুর, লালমনিরহাটগামী নিলসাগর এক্সপ্রেস, রংপুর এক্সপ্রেস, একতা এক্সপ্রেস, দ্রুতযান এক্সপ্রেস, কুরিগ্রাম এক্সপ্রেস, লালমনি এক্সপ্রেস ও পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনগুলো নাটোর স্টেশনে যাত্রা বিরতি দিয়ে গন্তব্যের পথে এগিয়ে যায়।

নাটোর কোথায় থাকবেন: নাটোরে মুটামুটি মানের কতগুলো আবাসিক হোটেল ও বোডিং রয়েছে। হোটেল ভি.আই.পি এবং হোটেল রুখসানায় সিংগেল কেবিন ২৫০ থেকে ৩০০ ও ডাবল কেবিন ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা ভাড়ায় রাত্রি যাপন করতে পারবেন।

নাটোরে কি খাবেন: উদরপূর্তির জন্য নাটোরে বেশকিছু বিভিন্ন মানের রেস্টুরেন্ট রয়েছে। নিজের পছন্দ মত যেকোন রেস্টুরেন্টে সকাল, দুপুর ও রাতের খাবার খেতে পারবেন। সমগ্র বাংলাদেশে চলনবিল এবং রানী ভবানী সুস্বাদু মাছের সুনাম ছড়িয়ে আছে। তাই নাটোর ভ্রমনকালে মাছ খাওয়ার এই সুযোগ মিস করা মোটেও ঠিক হবে না। সাথে নাটোরের বিখ্যাত কাঁচাগোল্লা খেয়ে সাথে করে নিয়েও আসতে পারেন।

নাটোরের আরও কিছু দর্শনীয় স্থান: নাটোর জেলার জনপ্রিয় ভ্রমণ স্থান গুলো হলো, উত্তরা গণভবন, দয়ারামপুর জমিদার বাড়ি, চলন বিল, চলনবিল জাদুঘর, হালতি বিল, লালপুরের পদ্মার চর, বুধপাড়া কালীমন্দির ও ধরাইল জমিদার বাড়ি।


আরও খবর

অরণ্যযাপনের আগে যে বিষয়গুলি মাথায় রাখবেন

বৃহস্পতিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩