Logo
শিরোনাম

রাবির সাবাশ বাংলাদেশ ভাস্কর্য

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৫ ডিসেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | ৯৯০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

মুক্তিযুদ্ধে যারা জীবন উৎসর্গ করেছেন তাদের স্মৃতিকে ধরে রাখতে দেশের বিভিন্ন জায়গায় নির্মিত হয়েছে বিভিন্ন ভাস্কর্য। এসব ভাস্কর্য মুক্তিযুদ্ধের কথা বলে, তুলে ধরে গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস, দেশ গঠনে সাহস যোগায় তরুণ প্রজন্মকে। দেশজুড়ে নির্মিত এমন ভাস্কর্যগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি ভাস্কর্য হচ্ছে সাবাস বাংলাদেশ। ভাস্কর্যটি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) অবস্থিত। শিল্পী নিতুন কুন্ডের শৈল্পিক হাতের ছোয়ায় এই ভাস্কর্যটি বাংলাদেশের অন্যতম এক ভাস্কর্য হয়ে উঠেছে। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বাংলাদেশে যে কয়টি প্রতীকি ভাস্কর্য রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম নান্দনিক ভাস্কর্য এটি। 

১৯৬৯ এর গণ-অভ্যুত্থানে রাবির ভূমিকা ছিলো অনন্য। ৬৯ এর ১৮ ফেব্রুয়ারি ছাত্রদের বাঁচাতে শহীদ হন বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. শামসুজ্জোহা। এরপর ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ঘাটি স্থাপন করে রাবিতে।  ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের সময় শহীদ হন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক হবিবুর রহমান, সুখরঞ্জন সমাদ্দার, মীর আবদুল কাইউমসহ আরো অনেকে। যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতিকে চির অম্লান করে রাখতে উদ্যোগ নেয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনের দক্ষিণ পাশে সাবাস বাংলাদেশ ভাস্কর্যটি নির্মাণ করা হয়। নির্মাণ কাজ শেষ হলে ১৯৯২ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি কংক্রিটে তৈরি ভাস্কর্যটির উদ্বোধন করেন   জাহানারা ইমাম।

মূল ভাস্কর্যটি ৪০ বর্গফুট মাপের একটি বেদির উপর অবস্থিত। ভাস্কর্যটিতে রাইফেল হাতে দুই জন মুক্তিযোদ্ধাকে দেখা যায়। দুজনকেই খালি গায়ে উপস্থাপন করা হয়েছে। একজন লুঙ্গি পরা এবং মাথায় গামছা বাঁধা গ্রামীণযুবা- কৃষক সমাজের প্রতিনিধি যার এক হাতে রাইফেল ধরা, মুষ্টিবদ্ধ দৃঢ়প্রতিজ্ঞ অন্য হাতটি উপরে উত্থিত। প্যান্ট পরিহিত অন্য যুবকটি শহুরে যুবকের প্রতিনিধি- দুই হাত দিয়ে ধরে রয়েছে রাইফেল, কোমরে গামছা বাঁধা, বাতাসের ঝাপটায় চুলগুলো পেছনের দিকে সরে গেছে। সিড়ির উপরে মঞ্চের পিছনের দেয়াল গাত্রে নারী-পুরুষ, শিশু, বৃদ্ধ সমাজের সকল বয়সী মানুষের মিছিলের দৃশ্য। রাইফেল হাতে যুবক-যুবতী, একতারা হাতে বাউল, গেঞ্জিপরা এক কিশোর তাকিয়ে আছে পতাকার দিকে।

সব মিলিয়ে বাংলার জনজীবনের ছবি এঁকেছেন শিল্পী, বুঝিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধে গণমানুষের সম্পৃক্ততার কথা। মূল ভাস্কর্যের পেছনে রয়েছে ৩৬ ফুট উঁচু একটি স্তম্ভ যার ভেতরে ৫ ফুট ব্যাসের গোলাকার শূণ্যতা যা স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকার প্রতীক। সরাসরি রনাঙ্গনে ঝাঁপিয়ে পড়ার দৃশ্যরুপ যেনো এই ভাস্কর্যটি। প্রতিদিন অনেক দর্শনার্থী ভাস্কর্যটি দেখতে আসেন। 

নিউজ ট্যাগ: সাবাশ বাংলাদেশ

আরও খবর