Logo
শিরোনাম

পুরান ঢাকায় চলছে সাকরাইন উৎসব

প্রকাশিত:শনিবার ১৪ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৪ নভেম্বর ২০২৩ | ৫৮০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

পুরান ঢাকায় চলছে ঐতিহ্যবাহী সাকরাইন উৎসব। শনিবার (১৪ জানুয়ারি) সকাল থেকেই ছাদে ছাদে শুরু হয় ঘুড়ি ওড়ানোর উন্মাদনা। নারী-পুরুষ, ছোট-বড় সবার অংশগ্রহণে মুখরিত হচ্ছে প্রতিটি বাড়ির ছাদ, চলছে ঘুড়ির সাম্যবাদ। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে উৎসবের জৌলুস আর আকাশে বাড়ছে ঘুড়ির সংখ্যা। সকালের তুলনায় বিকেলে এ উন্মাদনা পূর্ণতা পায়। ছাদের ওপর চলে গানবাজনা, আর খাওয়া-দাওয়া। সে সঙ্গে আনন্দ আরও এক ধাপ বাড়িয়ে দেয় ঘুড়ির কাটাকাটি খেলা। এছাড়া ঘরে ঘরে তৈরি হয় মুড়ির মোয়া, বাখরখানি আর পিঠা।

পুরান ঢাকার রুপলাল দাস লেন, শ্যাম বাজার, গেণ্ডারিয়া, মুরগীটোলা, ধূপখোলা, দয়াগঞ্জ, যাত্রাবাড়ী, সূত্রাপুর, কাগজিটোলা, বাংলাবাজার, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা, কলতাবাজার, ধোলাই খাল, শাঁখারি বাজার, রায়সাহেব বাজার, তাঁতী বাজার, সদরঘাট এবং লালবাগ এলাকার মানুষ এ উৎসবে দিনব্যাপী ঘুড়ি উড়ান। আকাশে শোভা পায় নানা রঙ আর বাহারি আকারের ঘুড়ি। এছাড়াও আগুন নিয়ে খেলা, আতশবাজি ফোটানো এ উৎসবের অন্যতম অনুষঙ্গ। তবে সকালের তুলনায় বিকেলে এ উৎসব আরও বেশি মুখরিত হয়।

সাকরাইন বাংলাদেশের বৃহত্তম উৎসব। এ উৎসবকে বাংলাদেশে পৌষ সংক্রান্তিও বলা হয়। এ উৎসবে অংশ নেন সব ধর্ম, পেশার বিভিন্ন বয়সের মানুষ।

বর্তমানে সাকরাইন উদযাপনে আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে। সন্ধ্যার পর থেকেই শুরু হয়ে যাবে আতশবাজি ও ফানুস ওড়ানো। সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত এসব এলাকায় চলবে আতশবাজির খেলা। সাকরাইনে পুরান ঢাকায় শ্বশুরবাড়ি থেকে জামাইদের নাটাই, বাহারি ঘুড়ি উপহার দেওয়া এবং পিঠার ডালা পাঠানো একটি অবশ্য পালনীয় অঙ্গ। ডালা হিসেবে আসা ঘুড়ি, পিঠা আর অন্যান্য খাবার বিলি করা হয় আত্মীয়-স্বজন এবং পাড়ার লোকদের মধ্যে।


আরও খবর