অধিকৃত পশ্চিম
তীরে একটি ইহুদি বসতির কাছে ফিলিস্তিনি বন্দুকধারীদের গুলিতে চার ইসরায়েলি নিহত হয়েছে
এবং আহত হয়েছে আরও চারজন। গতকাল মঙ্গলবার বন্দুকধারীরা এলি বসতি এলাকায় রাস্তার পাশের
একটি রেস্তোরাঁ ও একটি গ্যাস স্টেশনে গুলি ছুড়লে হতাহতের ওই ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তিদের
মধ্যে একটি শিশু রয়েছে।
ফিলিস্তিনের
সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস বলেছে, জেনিন শহরে ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানের জবাবে এই হামলা
চালানো হয়েছে।
ওই হামলার পর
তারা পশ্চিম তীরে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করেছে বলে জানায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। বন্দুকধারীদের
দুজন তাদের সশস্ত্র শাখার সদস্য বলে জানিয়েছে হামাস। এই হামলাকে তারা ‘বীরোচিত জবাব’ হিসেবে অভিহিত করেছে।
ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ
জানিয়েছে, বন্দুকধারীদের একজন ঘটনাস্থলে এক বেসামরিক নাগরিকের গুলিতে নিহত হয়েছেন।
আর অন্যজন ঘটনাস্থল থেকে পালানোর সময় ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে নিহত হন।
ফিলিস্তিনি
যোদ্ধা ও ইসরায়েলি সেনাদের মধ্যে কয়েক ঘণ্টার বন্দুকযুদ্ধের পর দিন এই হামলার ঘটনা
ঘটল। গত সোমবার জেনিনের আশপাশের এলাকায় ইসরায়েলি সেনারা ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর
ঘাঁটি লক্ষ্য করে হেলিকপ্টার থেকে গুলি ছোড়েন। এতে ছয় ফিলিস্তিনি নিহত হন। ওই হামলায়
আহত হয়েছেন ৯০ জনের বেশি মানুষ। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে সাত ইসরায়েলি সেনা রয়েছে।
এ হামলার ঘটনার
নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ইসরায়েলে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত টম নিডস বলেন,
পশ্চিম তীরে গত ৪৮ ঘণ্টায় সাধারণ বেসামরিক নাগরিকের হতাহতের ঘটনায় তারা উদ্বিগ্ন।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর
অভিযান জোরদার হওয়ার কারণে গত ১৫ মাসে পশ্চিম তীরে সহিংসতা বেড়েছে।