Logo
শিরোনাম

প্রধানমন্ত্রীর কাছে ময়মনসিংহবাসীর একগুচ্ছ দাবি

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৫ নভেম্বর ২০২৩ | ৮৩০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

চার বছর পর আবার ময়মনসিংহে আসছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। আজ শনিবার ঐতিহাসিক সার্কিট হাউস ময়দানে আওয়ামী লীগের বিভাগীয় মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। তার আগমন ঘিরে ময়মনসিংহ সেজেছে অপরূপ সাজে। নগরীর প্রতিটি সড়ক ও মহাসড়কজুড়ে শোভা পাচ্ছে অসংখ্য তোরণ। আর প্রধানমন্ত্রীর কাছে একগুচ্ছ দাবি নিয়ে অপেক্ষায় রয়েছেন ময়মনসিংহবাসী।

জানা যায়, জেলার সার্বিক উন্নয়নে বিভিন্ন দাবি জানিয়ে প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি এবং রাজনৈতিকনেতাদের কাছে লিখিত আবেদন জমা দিয়েছে রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক সংগঠনগুলো।

এরই মধ্যে ময়মনসিংহ জেলা নাগরিক আন্দোলন ও উন্নয়ন সংগ্রাম পরিষদ ২৩ দফা দাবিতে জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে। সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা নূরুল আমিন কালাম বলেন, আমাদের দাবিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো ময়মনসিংহ-ঢাকা রুটে সকাল-বিকাল দুই জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন চালু করা; যাতে প্রতিদিন সকালে উভয় দিকের মানুষ অফিস করে বাড়ি ফিরতে পারেন। ময়মনসিংহ নগরীর ভেতর থেকে রেললাইন স্থানান্তর, শেরপুর জেলার সঙ্গে রেল যোগাযোগ স্থাপন, ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর, ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালকে পাঁচ হাজার শয্যায় উন্নীত করা, একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, একটি টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, এসকে হাসপাতালকে ৫শ বেডবিশিষ্ট ইনফেকসিয়াস হাসপাতালে রূপান্তর, নারী উদ্যোক্তা পল্লী অথবা ব্যবসায়ী জোন গড়ে তোলা, ময়মনসিংহ বিভাগীয় শহর স্থাপনের প্রয়োজনীয় অবকাঠামোর কাজ দ্রুত শুরু করা এবং কাজের সমাপ্তির তারিখ ঘোষণা করা। বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিক উদ্দিন ভুইয়া স্টেডিয়ামকে আন্তর্জাতিক মানের করা, ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর আরও একাধিক সেতু নির্মাণ, বিভাগীয় শহরের সঙ্গে জেলাগুলোর মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করা। ময়মনসিংহ বিভাগের স্থলবন্দরগুলোকে ইমিগ্রেশন সুবিধা দিয়ে পরিপূর্ণ স্থলবন্দরে উন্নীত করা।

এদিকে ময়মনসিংহ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সহ-সভাপতি শংকর সাহা প্রধানমন্ত্রী বরাবর একটি স্মারকলিপি জমা দেন। সেখানে তিনি উল্লেখ করেন, ময়মনসিংহে এক হাজার শয্যার হাসপাতালটি চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। এ হাসপাতালে গাজীপুর, সিলেট, কিশোরগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, টাঙ্গাইল, শেরপুর, জামালপুর, কুড়িগ্রাম, গাইবান্দা, সিরাজগঞ্জ ও নেত্রকোনা জেলার রোগীরা চিকিৎসা নেন। তাই জনসাধারণের উন্নত চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে পাঁচ হাজার শয্যার একটি জেনারেল হাসপাতাল স্থাপন প্রয়োজন।

এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রীর আগমন ঘিরে সংবাদ সম্মেলন করে ১৮ দফা প্রস্তাব পেশ করেছে জন উদ্যোগ নামে আরেকটি সামাজিক সংগঠন। তাদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- বিমানবন্দর, আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়াম, ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজকে মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তর, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন। জন উদ্যোগের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম চুন্নু বলেন, সরকারের উন্নয়ন প্রক্রিয়া ও পরিকল্পনার সঙ্গে আমরা ১৮টি প্রস্তাব দিয়েছি। এগুলো জনগণের প্রাণের দাবি।

এর আগে সর্বশেষ ২০১৮ সালের ২ নভেম্বর ময়মনসিংহ সার্কিট হাউস ময়দানে জনসভায় ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দীর্ঘ চার বছর পর আবার প্রিয় নেত্রীর আগমনে উৎসাহ-উদ্দীপনার যেন শেষ নেই ময়মনসিংহবাসীর। সবার দৃষ্টি এখন ঐতিহাসিক সার্কিট হাউস ময়দানে। তাদের আশা, আজ প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে ময়মনসিংহবাসীর বেশির ভাগ দাবি পূরণের ঘোষণা দেবেন।


আরও খবর