মার্কিন রাষ্ট্রদূত
পিটার ডি হাসের নিরাপত্তার কোনও ঘাটতি ছিল না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান
খান কামাল। রবিবার (১৮ ডিসেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সভা শেষে
একথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন,
মার্কিন রাষ্ট্রদূতের নিরাপত্তার কোনও ঘাটতি ছিল না। আমাদের পুলিশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা
এত শক্ত যে, প্রত্যেকটা ওয়ার্ডে বিট পুলিশ রয়েছে। খবর শোনার পর স্থানীয় থানার ওসি
ড্রেস না পরেই সেখানে দৌড়ে গিয়েছেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বলেন, মার্কিন রাষ্ট্রদূত যে একটি বাড়িতে গিয়েছিলেন, সেই তথ্য কীভাবে ফাঁস হলো আমরা
জানি না। তার অফিস থেকেও ফাঁস হতে পারে। সেখানে কীভাবে খবর পেয়ে কিছু লোক তাদের একটা
দাবি নিয়ে গিয়েছিলেন। জিয়াউর রহমানের আমলে কিছু লোককে বিচারবহির্ভূতভাবে হত্যা ও
ফাঁসি দেয়ার বিষয়ে তারা জানাতে গিয়েছিলেন বলে শুনেছি।
বলপ্রয়োগে বাস্তুচ্যুত
মিয়ানমার নাগরিকদের নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলার বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা
ক্যাম্পগুলোর ভেতরে ও বাইরে যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে, সেগুলো যাতে আর না ঘটে
সেজন্য আমরা গোয়েন্দাদের নজরদারি বাড়াতে বলেছি। এছাড়া সেখানকার ক্যাম্পগুলোকে কেন্দ্র
করে যে অপরাধীদের নেটওয়ার্ক গড়ে উঠেছে সেগুলো নজরদারি করার জন্য আমরা একটা কমিটি করে
দিয়েছি। সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেপ্তারের জন্য ইতোমধ্যে ক্যাম্পগুলোতে বিশেষ
অভিযান শুরু হয়েছে।
তিনি বলেন,
রোহিঙ্গাদের নেতা, যাদের মাঝি বলা হয়, তাদের অনেককে হত্যার দৃশ্য আমরা ইতোমধ্যে দেখেছি।
এ বিষয়ে আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোকে আরও সতর্ক অবস্থানে থাকার জন্য
নির্দেশনা দিয়েছি।’
তিনি আরও বলেন,
ক্যাম্পগুলোর চারপাশে নিরাপত্তা বেষ্টনীর নির্মাণের জন্য সেনাবাহিনীকে দায়িত্ব দেওয়া
হয়েছিল, সেটারও ৯৯ ভাগ কাজ শেষ হয়ে গেছে। শুধু মনিটরিংয়ের জন্য যে ক্যামেরাগুলো বসানো
হয়েছে, সেগুলোর মনিটরিং রুমের কাজ বাকি রয়েছে।
রোহিঙ্গাদের
ফেরত নেয়া প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ আমরা
সবাই কাজ করছি। যাতে তারা দ্রুত তাদের দেশে ফিরে যেতে পারে। আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়াসহ
কয়েকটি দেশ অল্প কয়েকজনকে তাদের দেশে নিয়েছে। যা একেবারেই হাতে গোণা (সংখ্যায় কম)।
আমরা সবার কাছে অনুরোধ জানিয়েছি, রোহিঙ্গাদের হারানোর আর কিছু বাকি নেই। সেজন্য ষড়যন্ত্রকারীদের
যে কোনও খপ্পরে তারা পড়তে পারে। সন্ত্রাসী কার্যক্রমসহ যে কোনও অপরাধমূলক কাজে জড়িয়ে
পড়তে পারে।