Logo
শিরোনাম

পদ্মার তীব্র ভাঙন: হুমকির মুখে কুষ্টিয়া-ভেড়ামারা মহাসড়ক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ জুলাই ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ নভেম্বর 2০২3 | ৯৪০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

কুষ্টিয়া-ভেড়ামারা মহাসড়ক এখন হুমকির মুখে। দিন দিন পদ্মা নদীর ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করছে। বহলবাড়ী এলাকায় পদ্মা নদীর ভাঙন কুষ্টিয়া-ভেড়ামারা মহাসড়কের এক কিলোমিটারের মধ্যে পৌঁছে গেছে।

উপজেলার বাহিরচর ইউনিয়নের ১২ মাইল এলাকার মোসলেমপুর, টিকটিকি পাড়া ও মুন্সীপাড়ায় পদ্মা নদীর ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। বাহিরচর ইউনিয়নের মসলেমপুর থেকে মুন্সীপাড়া পর্যন্ত ছয় কিলোমিটার এলাকার ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। ভাঙন থেকে মাত্র ২০০ মিটার দূরে ঝুঁকিতে রয়েছে প্রায় ৬ হাজার পরিবারের বাড়িঘর। অন্যদিকে বহলবাড়ীয়া ও তালবাড়ীয়া ইউনিয়নের বেশকিছু এলাকায় পদ্মার ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে কয়েক শ একর ফসলি জমি।

ভেড়ামারার ১২ মাইল এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত হাফিজুর রহমান জানান, পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় পদ্মায় ভাঙনের তীব্রতা বেড়েছে। ইতিপূর্বে আউশ ধান, কলা, পেঁয়াজ, রসুন, করলাসহ সবজির মাঠ নদীতে চলে গেছে। ১৫০ একর জমি পদ্মা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এর আগেও ভেঙেছে। এখন বাড়িঘর ভাঙনের মুখে। নদী এখন ২০০ মিটার দূরে রয়েছে। ভাঙন রোধ করা না হলে সব নদীগর্ভে চলে যাবে। আমরা ভিটা ছাড়া হব।

ভেড়ামারা বাহিরচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রওশন আরা সিদ্দীক বলেন, গত বছর নদীভাঙনের সময় থেকেই আমরা ভাঙন প্রতিরোধে কার্যক্রম নেওয়ার জন্য সোচ্চার ছিলাম। পাউবো ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়েও কোনো পদক্ষেপ নেননি। এবারও আমরা তাদের জানিয়েছি। তারা আশ্বাস দিয়েছে, কিন্তু এখনো কোনো কাজ করেনি।

আব্দুল আলিম স্বপন বলেন, যথাযথ মাধ্যমে ভাঙন সম্পর্কে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবহিত করা হয়েছে। পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী পরিদর্শন করে গেছেন। তিনি পদ্মা থেকে নদী থেকে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবি জানান। বহলবাড়ীয়া এলাকার বাসিন্দা হাসান বলেন, পদ্মা নদীতে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। প্রতিদিনই নদীর পাড় ৬০ থেকে ৭০ মিটার নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে।

কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আব্দুল হামিদ বলেন, নির্বাহী প্রকৌশলী ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করে সমীক্ষা করেছেন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। অনুমোদন পেলেই ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর