Logo
শিরোনাম

পাগলা মসজিদের দানবাক্সে মিললো ৩ কোটি ৭৮ লাখ টাকা

প্রকাশিত:শনিবার ১২ মার্চ ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ নভেম্বর ২০২৩ | ১১৯৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

কিশোরগঞ্জের  ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্সে ৩  কোটি  ৭৮ লাখ  ৫৩  হাজার   ২৯৫ টাকা  পাওয়া গেছে। শনিবার (১২ মার্চ) সকাল ৯টার দিকে জেলা প্রশাসন ও মসজিদ পরিচালনা কমিটির কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে দানবাক্স হিসেবে ব্যবহৃত ৮টি লোহার সিন্দুক খোলা হয়। নিচ তলায় রক্ষিত সিন্দুক থেকে টাকা বের করে প্রথমে ১৫টি বস্তায়  ভরা হয়। পরে মসজিদের দোতালায় মেঝেতে টাকাগুলো ঢেলে প্রথমে নোটওয়ারি বাছাই করা হয়।

এই কাজে অংশগ্রহণ করেন মসজিদ সংলগ্ন মাদরাসার ১২০ জন ছাত্র ও শিক্ষকবৃন্দ। পরে রূপালী ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা টাকা  গণনার কাজে অংশ নেন। রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত টাকা গণনার কাজ চলে।

লোহার সিন্দুক খোলা, টাকা বাছাই ও গণনার কাজ তদারকি করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নাজমুল ইসলাম সরকার এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব হাসান, মো. ফজলে এলাহী, শফিকুল ইসলাম, উবায়দুর রহমান সাহেল, সুশান্ত সিংহ, সাদিয়া আফরিন তারিন ও ফাতেমা-তুজ-জোহরা।

রূপালী ব্যাংকের এজিএম রফিকুল ইসলাম জানান, টাকা গণনার কাজে ব্যাংকের ৫০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী অংশগ্রহণ করেন।

পাগলা মসজিদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকতউদ্দিন ভুঁইয়া জানান, টাকা গণনার পর সমুদয় টাকা রূপালী ব্যাংকের পাগলা মসজিদের ব্যাংক হিসেবে জমা দেওয়া হবে।

সাধারণত, তিন-চার মাস পরপর লোহার সিন্দুকগুলো খোলা হয়। সর্বশেষ গত ৬ নভেম্বর পাগলা মসজিদের দানবাক্স খোলা হয়েছিল। সে সময় দানবাক্স খুলে পাওয়া গিয়েছিল সর্বমোট ৩ কোটি ৭ লাখ ১৭ হাজার ৫৮৫ টাকা।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম জানান, এখানে একটি আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন মসজিদ ও ইসলামিক কমপ্লেক্স নির্মাণ করার পরিকল্পনা গ্রহণ এবং ইতিমধ্যে প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ শুরু হয়েছে। এখানে একসঙ্গে ৩০ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করার সুযোগ থাকবে। এই মসজিদের ফান্ড থেকে জেলার বিভিন্ন মসজিদের উন্নয়ন ও সম্প্রসারণমূলক কাজে অর্থ বরাদ্দ  দেওয়া হয়। তাছাড়া জটিল রোগে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য অর্থ অনুদান দেওয়া ছাড়াও বিভিন্ন সেবামূলক কাজে অর্থ বরাদ্দ করা হয়।

দুই শতাধিক বছরের প্রাচীন ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদকে ঘিরে রয়েছে অনেক জনশ্রুতি। প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অসংখ্য ধর্মপ্রাণ মানুষ এই মসজিদে দান ও মানত করতে আসেন। তাছাড়া প্রতিদিনই লোকজন গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি প্রভৃতি নিয়ে আসে। ওইগুলো বিক্রি করে মসজিদের ফান্ডে জমা দেওয়া হয়। অন্য ধর্মাবলম্বী লোকজনও বিশ্বাসের কারণে এই মসজিদে এসে দান ও মানত করে থাকেন। 

নিউজ ট্যাগ: পাগলা মসজিদ

আরও খবর