Logo
শিরোনাম

পাবনায় নৌকা ও বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধসহ আহত ১০

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ নভেম্বর ২০২১ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ নভেম্বর ২০২৩ | ১৬২০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে পাবনার সুজানগর উপজেলার মানিকহাট ইউনিয়নে নৌকা ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে ৩ জন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষই একে অপরকে দোষারোপ করেছে।

গত রোববার রাতে ইউনিয়নের বনখোলা বাজারে চেয়ারম্যান প্রার্থীর দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। হামলার ঘটনায় গুলিবিদ্ধ ৩ জনকে সুজানগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও তিনজনকে পাবনা জেনারেল ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, রাত দশটার পরে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী তাঁর সমর্থকদের নিয়ে নিজ ইউনিয়নের বনখোলা বাজারের নির্বাচনী সভা করছিলেন। এ সময় নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকেরা তাদের প্রচার মাইক নিয়ে ওই এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা হয়। প্রাণ ভয়ে সকলে দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়। হামলাকারীদের লাঠির আঘাতে বেশ কিছু মানুষ আহত হয় বলেও জানান তারা। 

নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. শফিউল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, আমি তখন রায়পুর বাজারে ছিলাম। ঘটনাস্থল থেকে আমার বাড়ি প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে। ওই এলাকাতে আমার নৌকার প্রচার মাইক নিয়ে কর্মীরা নির্বাচনী প্রচার কাজ করছিল। বিদ্রোহী প্রার্থীর লোকজন আমাদের প্রচার মাইকসহ নৌকা পুড়িয়ে দিয়েছে। গুলি করেছে। এতে আমাদের বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। আমাদের লোকজন তাদের ওপর হামলা করেনি। তারা হামলা করে উল্টো আমাদের ওপর দোষ চাপাচ্ছে।

ঘটনার বিষয়ে আ. লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. আব্বাস আলী মল্লিক অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,  প্রথমে তারা আমাদের ক্লাবের ওপর গুলি চালায়। পরে তারা শতাধিক মোটরসাইকেল ও ট্রাকযোগে আমাদের বনখোলা হাটের ওপরে নির্বাচনী অফিসের ওপর হামলা চালিয়েছে। শহর থেকে গুন্ডা ভাড়া করে অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে তারা আমাদের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ওপরে অর্তকিত হামলা চালিয়েছে। নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর করেছে। আমাদের নামে মিথ্যা মামলা দেওয়ার জন্য তারা চেষ্টা করছে।

সুজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত সেটি তদন্ত হচ্ছে। ঘটনা শোনার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের পুলিশ ফোর্স সেখানে পাঠানো হয়েছিল। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। উভয় পক্ষের চেয়ারম্যান ও স্থানীয়দের সঙ্গে আমরা কথা বলছি। সংঘর্ষের ঘটনায় আমরা তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব। তবে এ ঘটনায় কোনো পক্ষ অভিযোগ দেয়নি।

প্রসঙ্গত আগামী ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত হবে পাবনা সুজানগর উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন।


আরও খবর