Logo
শিরোনাম

অ্যাম্বুলেন্সে করে মদ আনছিলেন জাবি শিক্ষার্থী

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৫ নভেম্বর ২০২৩ | ৮২৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোগী পরিবহণের নামে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) অ্যাম্বুলেন্স বরাদ্দ নিয়ে মদ আনার সময় শিক্ষার্থীসহ ৪ জনকে আটক করা হয়েছে।

শনিবার বিকালে বংশাল থানার ঢাকা ব্যাংকের সামনে থেকে দুই শিক্ষার্থী, মদ কেনাকাটায় একজন সহযোগীসহ অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভারকে আটক করা হয়।

আটক ব্যক্তিরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের ৪৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী রিপন সাহা (২৮), সাভার বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের শিক্ষার্থী জুয়েল আহমেদ (২৭), কেনাকাটায় সহযোগী জীবন (২৮) এবং ড্রাইভার আসাদুল্লাহ দুলাল (৩৭)।

পুলিশ জানায়, জুয়েল আহমেদ প্রথমে জাবির ৪৪ ব্যাচ পরিচয় দিলেও পরবর্তী জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় জুয়েল জাবির ৪৪ ব্যাচে ভর্তি হলেও পড়াশোনা শেষ করতে পারেনি। পরবর্তীতে সাভার বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে ভর্তি হয়। পড়াশুনার পাশাপাশি জুয়েল জাবির নাটকসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোতে জড়িত এবং সে আবাসিক হলে থাকে। তার বাবার নাম আব্দুর রহমান, মাতা সাজেদা বেগম। রিপন এবং জুয়েলের সহযোগী অপরজনের নাম জীবন। তার বাড়ি সাভার এলাকায়।

বংশাল থানার সহকারী পুলিশ পরিদর্শক জয়নাল আবেদীন বলেন, জাবির অ্যাম্বুলেন্সে মদ পরিবহণকালে দুই শিক্ষার্থী, তাদের একজন সহযোগী এবং ড্রাইভারকে আটক করে থানায় দিয়ে দিয়েছি। তারা শিক্ষা সমাপনী অনুষ্ঠান-র‌্যাগ ডের জন্য মদ কিনতে এসেছে। আমার ডিউটির সময় শেষ হওয়ায় বিস্তারিত বলতে পারছি না।

জাবির একটি সূত্র জানিয়েছে, কয়েকদিন পরেই জাবির ৪৩তম ব্যাচের শিক্ষা সমাপনী উৎসব (র‌্যাগ ডে) উদযাপন করা হবে। অনুষ্ঠান উপলক্ষে বংশাল এলাকায় মদ কেনার পরিকল্পনা করা হয়। পরিকল্পনা অনুযায়ী রোগী আনার কথা বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রের অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহার করে মাদক কেনা শেষে ক্যাম্পাসের উদ্দেশ্যে ফিরছিলেন তারা। পথে ঢাকা ব্যাংকের কাছে পৌঁছানোর পর পুলিশ মাদক বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সটি আটক করে।

এ বিষয়ে বংশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মজিবুর রহমান বলেন, দুইজন ছাত্র, ড্রাইভার এবং মদ কেনাকাটায় এক সহকারীকে মদসহ আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হচ্ছে। রোববার তাদেরকে কোর্টে তুললে তাদের পরিচয় পুরোপুরি জানা যাবে।

জাবি মেডিকেলের কর্মরত ডা. নিং তম সিং বলেন, ৪৩ ব্যাচের ফার্মেসি বিভাগের অনিক নামে এক শিক্ষার্থী অ্যাম্বুলেন্স বরাদ্দ নিয়েছে। ইসলামি ব্যাংক হাসপাতালের কাকরাইল শাখা থেকে রোগী পরিবহণের কথা বলে তারা গাড়িটি নিয়ে যায়।

অ্যাম্বুলেন্স বরাদ্দ তালিকায় থাকা নাম্বারে কল দিলে অনিক বলেন, আমি অ্যাম্বুলেন্সে আছি। ঢাকা থেকে ক্যাম্পাসে ফিরছি। ড্রাইভারের ফোন বন্ধ কেন? জিজ্ঞেস করতে তিনি জানান, ড্রাইভার গাড়ি চালাচ্ছেন তাই ফোন বন্ধ- এই বলে অনিক ফোন কেটে দেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারের প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. শামসুর রহমান বলেন, মদসহ ২ শিক্ষার্থী ও ড্রাইভার আটকের বিষয়টি জেনেছি। সঙ্গে সঙ্গে রেজিস্ট্রার ম্যামকে অবহিত করেছি।

৪৩তম ব্যাচের শিক্ষা সমাপনী উৎসবের (র‌্যাগের) আহ্বায়ক ইতিহাস বিভাগের ৪৩ ব্যাচের শিক্ষার্থী প্রীতম আরিফ বলেন, আমি এ বিষয়ে কিছু জানি না। আজকে রাজা-রানী প্রার্থীদের প্রোগ্রাম চলছে। এ বিষয়ে তারা ভালো বলতে পারবে।

এ বিষয়ে প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, অ্যাম্বুলেন্স যেহেতু চিকিৎসা কেন্দ্রের অধীনে, তারা এই বিষয়টি দেখবে। আমি এই বিষয়ে কিছু জানি না।এ বিষয়ে চুক্তিভিত্তিক রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজকে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।


আরও খবর