Logo
শিরোনাম

অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমাচ্ছেন ব্রিটিশ ভোক্তারা

প্রকাশিত:সোমবার ০২ জানুয়ারী 2০২3 | হালনাগাদ:শনিবার ২৫ নভেম্বর ২০২৩ | ৬৬৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

মূল্যস্ফীতি আর জ্বালানির উচ্চমূল্যের কারণে যুক্তরাজ্যে বেড়েছে জীবনযাপনের ব্যয়। এ পরিস্থিতিতে নানাভাবে খরচ কমিয়ে জীবনযাপন সহজ করার উপায় খুঁজছেন ব্রিটিশরা। নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান কেপিএমজির এক সমীক্ষা বলছে, চলতি বছর অপ্রয়োজনীয় ও জরুরি নয় এমন খরচ বর্জন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দেশটির মানুষ।

জরিপে অংশ নেয়া ৬১ শতাংশ বাইরে খাওয়া, ছুটির দিনে ঘুরতে যাওয়াসহ অতি জরুরি নয় এমন খরচ কমিয়ে ফেলার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন। জরিপে উঠে এসেছেবেঁচে থাকার জন্য অতি জরুরি যে খরচ যেমন খাদ্য, জ্বালানি, বিদ্যুৎ এবং বাড়ি ভাড়া বা বাড়ির ঋণ পরিশোধের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের জোগান দেয়াই কষ্টকর হয়ে পড়েছে। সেই সঙ্গে অর্থনীতির এ অবস্থা আর কতদিন দীর্ঘস্থায়ী হবে, তা নিয়ে নতুন উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। ১৯৮০ সালের পর এবারই প্রথম যুক্তরাজ্যে ১০ শতাংশের ওপরে উঠেছে মূল্যস্ফীতি। যুক্তরাজ্যজুড়ে পরিবারগুলো খরচ কমাতে নানা ধরনের পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে, খরচের খাত কমিয়ে আনছে। সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়তে হচ্ছে গ্যাস ও বিদ্যুতের অব্যাহত মূল্যবৃদ্ধির কারণে। তার ওপর দফায় দফায় বাড়ছে অতিপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের দাম।

আনুষ্ঠানিক পূর্বাভাস অনুযায়ী, উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে সাধারণ মানুষের গড় প্রকৃত মজুরি কমে যাবে এবং আগামী দুই বছর জীবনযাত্রার মান কমবে অন্তত ৭ শতাংশ। ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত এমন পরিস্থিতি চলতে পারে। যার মাধ্যমে আগের আট বছরের প্রবৃদ্ধির প্রভাব মুছে যাবে। পরিবারগুলোর ওপর পরিস্থিতির অসম প্রভাবের বিষয়টি উল্লেখ করে কেপিএমজির জরিপে দেখা গেছে, প্রতি ১০ জনের মধ্যে একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের কোনো সঞ্চয় নেই। কেবল ৪ শতাংশ মানুষ বলেছে যে তারা জরুরি নয় এমন খরচও চলতি বছর বাড়াবেন। অন্যদিকে এক-চতুর্থাংশই বলছে যে, অপ্রয়োজনীয় ব্যয় ২০২২ সালের মতোই কমিয়ে রাখবে তারা। যাদের সঞ্চয় আছে তাদের ৪৩ শতাংশ বলছে যে এ অর্থ প্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে বা জরুরি খাতে খরচ করবে তারা। মূল্যস্ফীতির এ প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়েছে ৮০ শতাংশের বেশি নিম্ন আয়ের পরিবারগুলোয়।

জরিপে অংশ নেয়া প্রতি ১০ জনের মধ্যে একজন ভোক্তা জ্বালানি বা বিদ্যুৎ বিলের বিষয়ে নিজেদের উদ্বেগের কথা প্রকাশ করেছে। তারা বলেছে, এপ্রিলের পর বিদ্যুৎ খচর বেড়ে যাওয়া, সরকারের প্রণোদনার পরিমাণ কমিয়ে দেয়া এবং বন্ধকি সম্পত্তির ক্ষেত্রে সুদের হার বেড়ে যাওয়াসহ নানা কারণে খরচের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে এক-তৃতীয়াংশ ভোক্তা জানিয়েছে যে ২০২৩ সালে তারা একান্ত প্রয়োজনীয় ও জরুরি পণ্যে বিনিয়োগ করবে। কেউ কেউ সব ধরনের খাতেই খরচ কমানোর কথা জানিয়েছে। সবচেয়ে বেশি যে খাতগুলোয় খরচ কমানোর কথা জরিপে উঠে এসেছে সেগুলো হলো বাইরে খাওয়া, অপ্রয়োজনীয় পোশাক এবং রেস্তোরাঁ থেকে বাড়িতে খাবার কিনে আনা।

কেপিএমজির যুক্তরাজ্যের কনজিউমার মার্কেট, রিটেইল অ্যান্ড লেজার বিভাগের প্রধান লিন্ডা ইলেট বলেন, এ মূহুর্তে ভোক্তা ব্যয় যে পর্যায়ে আছে সেটি আর কত বাড়বে সে সম্পর্কে এক ধরনের ভীতি তৈরি হয়েছে। আগামী বছর সম্পত্তি বন্ধকের হার ও জ্বালানির দাম কেমন বাড়বে সে বিষয় নিয়েও এক ধরনের অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। এসব কারণেই দুই-তৃতীয়াংশ ভোক্তা বলেছে যে চলতি বছর অপ্রয়োজনীয় খাতে খরচ কমিয়ে ভারসাম্য সৃষ্টির চেষ্টা করবে তারা। প্রত্যেক ভোক্তাই এখন এটা চিন্তা করছে যে কীভাবে, কোন খাতে খরচ কমানো যায়।

নিউজ ট্যাগ: মূল্যস্ফীতি

আরও খবর

রাশিয়া সফরে যাচ্ছেন এরদোয়ান

মঙ্গলবার ২৯ আগস্ট ২০২৩