রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের জবাবে পশ্চিমা
জোটের সম্প্রসারণ একধাপ এগিয়ে নিতে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মঙ্গলবার ফিনল্যান্ড এবং
সুইডেনের ন্যাটোতে প্রবেশে আনুষ্ঠানিক অনুমোদন চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন।
বাইডেন বলেন, মার্কিন নেতৃত্বাধীন ট্রান্স
আটলান্টিক জোটে পারস্পরিক প্রতিরক্ষার জন্য ‘পবিত্র প্রতিশ্রুতির’ মাধ্যমে উত্তর
ইউরোপিয়ান দেশ দু’টি শক্তিশালী, অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য সক্ষম
নতুন মিত্র হয়ে উঠবে।
এ মাসের শুরুর দিকে মার্কিন সিনেট নরডিক
দেশ দুটির ন্যাটোতে যোগদানের পক্ষে ৯৫-১ ভোটে অনুমোদন দেয়। ৩০টি ন্যাটো দেশের মধ্যে
এই স্বীকৃতি প্রদানে যুক্তরাষ্ট্র ২৩ তম দেশ, নতুন সদস্য হওয়ার জন্য সকল সদস্য দেশের
সমর্থন প্রয়োজন।
সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশ্বব্যাপী
সম্পর্ক জোরদারের উদ্যোগের পর জো বাইডেন ট্রাম্পের নীতি অনুসরণ করে মার্কিন জোট পুনরুদ্ধারকে
তার প্রশাসনের ভিত্তি বানিয়েছেন। বাইডেন ‘আমেরিকার নিরাপত্তার
ভিত্তি হিসেবে’ ন্যাটোর প্রশংসা করে বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র
ন্যাটো জোটের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’।
বাইডেন ফিনল্যান্ড এবং সুইডেনের প্রশংসা
করে বলেছেন যে, উভয়েরই ‘শক্তিশালী গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান, শক্তিশালী
সামরিক বাহিনী এবং শক্তিশালী ও স্বচ্ছ অর্থনীতি’ রয়েছে যা এখন
ন্যাটোকে শক্তিশালী করবে।
বাইডেন বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির
পুতিনের রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করে ‘ইউরোপের শান্তি
ও নিরাপত্তা ভেঙে দিয়েছে’। ‘পুতিন ভেবেছিলেন
যে, তিনি আমাদের আলাদা করতে পারবেন পরিবর্তে তিনি যা চাননি ঠিক তাই পাচ্ছেন।’
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের
আগে বাইডেন টেলিফোনে সুইডিশ প্রধানমন্ত্রী ম্যাগডালেনা অ্যান্ডারসন এবং ফিনল্যান্ডের
প্রেসিডেন্ট সাউলি নিনিসটোর সাথে কথা বলেছেন।
হোয়াইট হাউস বলেছে, ‘প্রেসিডেন্ট বাইডেন,
দেশ দু’টির ন্যাটোতে
যোগদান প্রোটোকলের দ্বিপক্ষীয় অনুমোদনের জন্য মার্কিন সিনেটের দ্রুত পদক্ষেপের জন্য
তাদের অভিনন্দন জানিয়েছেন এবং ফিনল্যান্ড ও সুইডেনকে ন্যাটো মিত্র হওয়ার জন্য এক ধাপ
এগিয়ে যাওয়াকে স্বাগত জানিয়েছেন।’