Logo
শিরোনাম

নতুন বছরে ব্যবসার ১০টি ট্রেন্ড

প্রকাশিত:বুধবার ২৮ ডিসেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ নভেম্বর ২০২৩ | ৮২০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

কয়েক দিন পরেই শুরু হবে নতুন বছর। নতুন আশা নতুন উদ্দীপনা নিয়ে হাজির হচ্ছে ২০২৩ সাল। তবে অতীতের কিছু ক্ষত বয়ে নিতে হবে তাকেও। ২০২২র মতো ইউক্রেন যুদ্ধ ও করোনাভাইরাস মহামারি থাকবে আগামী বছরেও। ভোগ্যপণ্যের চড়া দামে উৎপাদকরা উপকৃত হলেও খাদ্য অনিশ্চয়তা বাড়বে। বৈশ্বিক জিডিপি বৃদ্ধির হার ২০২৩ সালে ১ দশমিক ৬ শতাংশে নেমে আসবে। মূল্যস্ফীতির হার ছয় শতাংশের ওপরে থাকায় ক্ষতির মুখে পড়ে বহু অর্থনীতি। দেখে নেওয়া যাক ২০২২ সালে ঘটে যাওয়া এমন ১০টি ঘটনা বা বিষয়, যা ২০২৩ সালে বৈশ্বিক অর্থনীতির সম্ভাব্য গতিনির্ধারক হয়ে উঠতে পারে-

১. ২০২২ সালে মূল্যস্ফীতি মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভসহ পশ্চিমা কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো সুদের হার বাড়িয়েছে। তবে আর্থিক নীতি শিথিল রেখেছিল চীন।

২. মূল্যস্ফীতি সংকট ক্রেতা ও খুচরা বিক্রেতাদের ক্ষতি করেছে, এমনকি ই-কমার্স খাতের প্রবৃদ্ধিতেও স্থবিরতা নেমেছে। সার্বিক বেচাকেনায় অনলাইনের অংশ বেড়ে ১৪ শতাংশে পৌঁছেছে, যা ২০১৯ সালের তুলনায় ১০ শতাংশ বেশি।

৩. করোনাভাইরাস আরও অনেকের প্রাণ নিয়েছে। কিন্তু এর সংখ্যা ফ্লুতে মৃতের সংখ্যার চেয়ে অর্ধেকেরও নিচে নেমে এসেছে।

৪. এশিয়ার ক্রমবর্ধমান জ্বালানি ক্ষুধা বিশ্বব্যাপী তেলের চাহিদা ১ দশমিক ৫ শতাংশ বাড়িয়ে প্রাক-মহামারির মাত্রা ছাড়িয়ে যেতে সাহায্য করেছে। ওপেক নামমাত্র উৎপাদন বাড়ানোয় দামও কিছুটা কমেছে।

৫. মন্দার ঝুঁকি এবং সুদের হার বৃদ্ধি সত্ত্বেও প্রযুক্তি খাতে ব্যয় ছয় শতাংশের বেশি বেড়েছে। যন্ত্রাংশ বিক্রি হতাশ করলেও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বাজার ফুলেফেঁপে ৫০ হাজার কোটি মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে।

৬. নতুন সাবস্ক্রাইবার পাওয়া দুঃসাধ্য এবং প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা কঠিন হয়ে উঠলেও স্ট্রিমিং কোম্পানিগুলো কন্টেন্ট তৈরিতে মোটা অংকের বিনিয়োগ অব্যাহত রেখেছে। যেমন- নেটফ্লিক্স বার্ষিক ১ হাজার ৭০০ কোটি ডলার খরচের পরিকল্পনায় অনড় ছিল।

৭. ২০২২ সালে নতুন গাড়ি বিক্রি বেড়েছে মাত্র এক শতাংশ। কিন্তু বৈদ্যুতিক গাড়ি বিক্রির হার বেড়েছে ২৫ শতাংশ।

৮. প্রতিরক্ষা খাতে বিশ্বের বৃহত্তম খরুচে দেশ যুক্তরাষ্ট্র ২০২২ সালে বাৎসরিক ব্যয় ৮০ হাজার কোটি ডলারে উন্নীত করেছে, যা চীনের তুলনায় তিনগুণ বেশি। কিন্তু মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য করতে গিয়ে সংকুচিত হয়েছে মার্কিনিদের বাজেট।

৯. নিত্যপণ্যের দামে ঊর্ধগতি থেমেছে। এটি বহু কোম্পানির পাশাপাশি বিশ্বের ৮০ কোটি ক্ষুধার্ত মানুষকে কিছুটা হলেও স্বস্তি দিয়েছে।

১০. আন্তর্জাতিক আগমন ৩০ শতাংশ বেড়ে যাওয়ায় আকাশভ্রমণ লাভজনক হয়ে উঠেছে। কিন্তু এখনো তা প্রাক-মহামারি মাত্রার নিচে। অনেক ব্যবসায়িক ভ্রমণকারী সশরীরে যাওয়ার পরিবর্তে অনলাইনে সাক্ষাৎ পদ্ধতি বেছে নিয়েছেন।

নিউজ ট্যাগ: করোনাভাইরাস

আরও খবর

রাশিয়া সফরে যাচ্ছেন এরদোয়ান

মঙ্গলবার ২৯ আগস্ট ২০২৩