ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ঘরের উপর গাছচাপা পড়ে সানজিদা আফ্রিদি নামে ১১ মাসের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন শিশুটির মা আমেনা বেগম (২৫)। সোমবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে উপজেলার পূর্ব চরবাটা গ্রামের হাবিবিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে সিত্রাংয়ের
প্রভাবে উপকূলীয় সদর, সুবর্ণচর, কোম্পানীগঞ্জ ও হাতিয়ায় ঘূর্ণিঝড়ে ৫ শতাধিক গাছ লণ্ডভণ্ড
ও জেলায় বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এছাড়া অসংখ্য ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত ও জোয়ারের
পানিতে ভেসে গেছে।
চরজব্বর থানার
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেব প্রিয় দাশ বলেন, শিশুটি মায়ের সাথে নিজ শয়ন কক্ষে ঘুমিয়ে
ছিল। রাত আনুমানিক ৩টার দিকে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে ভারী বাতাসে বসত ঘরের পাশে
থাকা একটি গাছ উপড়ে এসে তাদের ঘরের ওপর পড়ে। এতে ঘরটি দুমড়ে মুচড়ে গিয়ে ঘরে থাকা স্নেহা
ও তার মা চাপা পড়ে। এ ঘটনায় ঘটনাস্থলে মারা যায় শিশুটি।
এদিকে বেড়িবাঁধ
না থাকায় হাতিয়ার নিঝুমদ্বীপ, বয়ার চরের পূর্ব ইসলামপুর, চানন্দী ইউনিয়ন, জনতা বাজার,
ভূমিহীন বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় অতিরিক্ত জোয়ারের পানি হাজার হাজার মানুষের ঘরে ঢুকে
ঘর বাড়ি বিধ্বস্ত ও জোয়ারে ভেসে গিয়েছে। তারা অতিদ্রুত বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি জানান।
এদিকে ক্ষতিগ্রস্তরা এখন পর্যন্ত কোনো ত্রাণ সামগ্রী ও সহযোগিতা পাননি বলে জানিয়েছেন।
এছাড়া আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা।
এ ব্যাপারে নোয়াখালী
জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান জানান, ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে তাদেরকে সহযোগিতা
করা হবে। এ ব্যাপারে ইউএনওদেরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।