Logo
শিরোনাম

নার্সের পরিবর্তে টিকা দিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২১ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | ১৮১৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডাক্তার, নার্স উপস্থিত থাকা সত্বেও এক সাংবাদিকসহ তিনজনের শরীরে টিকা পুশ করেছেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মান্নান খান। পরে ওই টিকা পুশ করার ছবি ও ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হলে সমালোচনার ঝড় উঠে।

হাসপাতালের চিকিৎসক ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, বেলা ১১টার দিকে কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনুষ্ঠানিকভাবে করোনার টিকা প্রদান শুরু হয়। এ সময় সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক, প্রশিক্ষিত নার্স ও স্বেচ্ছাসেবী উপস্থিত থাকা সত্বেও উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান খান নার্সের হাত থেকে সিরিঞ্জ হাতে নিয়ে তিনজনের শরীরে টিকা পুশ করেন।

অভিযোগ অস্বীকার করে কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আকুল উদ্দিন জানান, চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান খান সিরিঞ্জ হাতে ধরে ছিলেন কিন্তু তিনি ভ্যাকসিন পুশ করেননি। তবে ভিডিওতে পরিষ্কারভাবেই তিনি টিকা পুশ করছেন সেই চিত্র উঠে এসেছে।

এ বিষয়ে কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন ডাক্তার এইচএম আনোয়ারুল ইসলাম জানান, করোনা টিকা পুশ করার জন্য প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট নার্সদের দক্ষতা বাড়ানো হয়েছে। প্রশিক্ষিত নার্স ব্যতীত করোনার টিকা কেউ পুশ করতে পারবেন না। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ওই উপজেলা চেয়ারম্যান স্থানীয় এক সাংবাদিক, সমাজসেবা কর্মকর্তা ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মচারীর শরীরে টিকা পুশ করেন।

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছ থেকে টিকা গ্রহণের বিষয়ে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী জানান, টিকা পুশ করার সময় আমি চোখ বন্ধ করে অন্যদিকে তাকিয়ে ছিলাম। পরে শুনেছি আমার শরীরে টিকা পুশ করেন নার্সের পরিবর্তে উপজেলা চেয়ারম্যান। তবে টিকা নেওয়ার পর তিনি কোনো অসুবিধা বোধ করছেন না।

এ বিষয়ে চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান খানের বক্তব্য জানতে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি কারো শরীরে টিকা পুশ করিনি। তবে নার্স যখন টিকা পুশ করেন তখন আমি সিরিঞ্জটি হাত দিয়ে ধরেছিলাম।


আরও খবর