সাভারে ব্রিটিশ-আমেরিকান
টোব্যাকোর সিগারেটের গাড়ি আটক করে চাঁদা দাবি ও বিক্রয় প্রতিনিধিকে মারধরের অভিযোগে
তাজনীন সুলতানা খুকু মণি (৪১) নামে সেই নারীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। পরে তাকে গ্রেপ্তার
করে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। শুক্রবার (১৭ জুন) দুপুরে অন্যান্য আসামির সঙ্গে তাকেও
আদালতে পাঠানো হয়।
এর আগে গতকাল
রাতে বাংলাদেশ ব্রিটিশ-আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানির সাভার জোনের ম্যানেজার মোক্তার
হোসেন বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৪-৫ জনের বিরুদ্ধে সাভার মডেল থানায়
মামলাটি দায়ের করেন। সেই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে আদালতে পাঠানো হয়।
মামলার প্রধান
আসামি হলেন সাভারের ইমান্দিপুরের চুঙ্গিরপাড় এলাকার এসএম জিতের স্ত্রী ও যুবলীগের প্রেসিডিয়াম
সদস্য আবু আহমেদ নাসিম পাভেলের ছোট বোন তাজনীন সুলতানা খুকু মণি। এ ছাড়া তার বাহিনীর
আরও ৪ সদস্যের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তবে আসামি গ্রেপ্তারের স্বার্থে বাকিদের নাম গোপন
রাখা হয়েছে। তাজনীন সুলতানা খুকু মণি ওই এলাকায় সন্ত্রাসী বাহিনী গঠন করে তার ভাই পাভেলের
ছত্রছায়ায় চাঁদাবাজি ও ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
ভুক্তভোগীরা হলেন
ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি হাকিম খাঁন (৪৩) ও ভ্যানচালক
পলাশ (৪৪)। তাদের বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি। কোম্পানির সাভার জোনের ম্যানেজার মোক্তার
হোসেন বাদী হয়ে এ ব্যাপারে মামলা দায়ের করেন।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা
জানান, গতকাল সকাল সাড়ে ১১টার দিকে গাড়িতে সিগারেট লোড করে ইমান্দিপুরের চুঙ্গিরপাড়
এলাকার দিকে সিগারেট বিক্রির জন্য যান বিক্রয় প্রতিনিধি হাকিম ও পলাশ। তারা চুঙিরপাড়
এলাকায় পৌঁছালে যুবলীগ নেতা আবু আহমেদ নাসিম পাভেলের ছোট বোন খুকু মণি তার বাহিনী নিয়ে
সিগারেট কোম্পানির একটি ভ্যান আটক করেন। এ সময় তাদের কাছে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন।
দাবিকৃত চাঁদা
না দেওয়ায় লোহার রড দিয়ে বিক্রয় প্রতিনিধিকে এলোপাতাড়ি মারধর করেন খুকুমণি ও তার বাহিনী।
তারা ওই এলাকায় সকাল সাড়ে ১১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত হট্টগোল করেন। পরে জরুরি সেবা
৯৯৯- এ কল পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে পুলিশের সাথে উগ্র আচরণসহ অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ
করেন। পরে খুকু মণিকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়
পুলিশ। একই সঙ্গে আহত বিক্রয় প্রতিনিধিদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে প্রেরণ
করা হয়।
এ ব্যাপারে সাভার
মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাহিদ বলেন, আমরা ৯৯৯ এর মেসেজ পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই।
সেখানে গিয়ে ঘটনার সত্যতা মেলে। পরে ঘটনাস্থল থেকে মূল হোতা তাজনীনকে আটক করে থানায়
নেওয়া হয়। এ ব্যাপারে ব্রিটিশ-আমেরিকান টোব্যাকো
কোম্পানির সাভার জোনের ম্যানেজার মোক্তার হোসেন বাদী হয়ে মামলা করেন। সেই মামলায় গ্রেপ্তার
দেখিয়ে তাদের আদালতে পাঠানো হয়।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (এসআই) উম্মে হানি বলেন, আসামিকে দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।