Logo
শিরোনাম

নারায়ণগঞ্জে বেদম পিটুনিতে আইসিইউতে ২ ছাত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ জুলাই ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ নভেম্বর ২০২৩ | ১২৭০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে স্কুলের ভেতরে জরি (চমকি) নিয়ে খেলা করায় তানজিলা আক্তার (১৪) ও নিশী চৌধুরী (১৪) নামে সপ্তম শ্রেণির দুই শিক্ষার্থীকে বেদম পিটিয়ে গুরুতর আহতের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বরপা হাজী নুর উদ্দিন আহম্মেদ উচ্চ বিদ্যালয়ে অভিযুক্ত শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্কুল পরিচালনা কমিটি।

শনিবার (২ জুলাই) দুপুরে উপজেলার বরপা এলাকার হাজী নুরুদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। রবিবার (৩ জুলাই) অভিযুক্ত শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক জওহর লাল ঘোষ। স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিউ) আহত দুই শিক্ষার্থী বর্তমানে চিকিৎসাধীন।

শিক্ষার্থী তানজিলার মা মিনু বেগম ও নিশীর মা বিউটি আক্তার অভিযোগ করে বলেন, উপজেলার তারাব পৌরসভার বরপা এলাকার হাজী নুরুদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক জসিম মাষ্টার এক উগ্র প্রকৃতির মানুষ। সে প্রায় সময় শিক্ষার্থীদের বেধড়ক মারধর করে থাকেন। আগামী দুই একদিনের মধ্যেই স্কুল ঈদের জন্য বন্ধ দিয়ে দেওয়ার কথা রয়েছে।

স্কুল বন্ধ হয়ে যাওয়ার খুশিতে শনিবার দুপুরে সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী তানজিলা ও নিশীসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী চুমকি দিয়ে খেলা করছিল। চুমকি নিয়ে খেলার বিষয়টি শিক্ষক জসিম উদ্দিন দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে তানজিলা ও নিশী আক্তারকে অফিস কক্ষে ডেকে পাঠান। এসময় জসিম উদ্দিন লাঠি দিয়ে দুইজনকে বেধড়কভাবে পেটাতে থাকেন।

এসময় জসিম উদ্দিন দুই শিক্ষার্থীকে লাথি ও চুলের মুঠি ধরে অমানুষিক নির্যাতন চালান। পরে দুই শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়লে জসিম উদ্দিন তাদের অভিভাবকদের না জানিয়ে তাদেরকে স্থানীয় একটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান। পরে দুই শিক্ষার্থীর অবস্থার অবনতি হলে জসিম উদ্দিন অভিভাবকদের খবর দেন।

পরে অভিভাবকরা হাসপাতালে শিক্ষার্থীদের মুখ থেকে নির্মম ঘটনার বর্ণনা জানতে পারেন। পরে রাত সাড়ে ৮ টার দিকে তানজিলা ও নিশীর অবস্থা খারাপের দিকে গেলে তাদের হাসপাতালের আইসিউতে নেওয়া হয়। বর্তমানে তারা আইসিউতে রয়েছেন।

এ ব্যাপারে শিক্ষার্থী  নিশী ও শিক্ষার্থী তানজিলা আক্তারের পরিবার থেকে থানায় অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।এ ব্যাপারে শিক্ষক জসিম উদ্দিনের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তারা ব্যবহৃত ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম সায়েদ বলেন, এ ঘটনায় এখনও কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি।

 


আরও খবর