Logo
শিরোনাম

মুশতাককে কেউ পিটিয়ে মারেনি, তার স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে: রেজাউল করিম

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২১ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ নভেম্বর ২০২৩ | ১৬৪০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image
মুশতাকের মৃত্যুর পর ডিজিটাল আইন নিয়ে অনেকে অনেক কথা বলছে, আমি বলতে চাই কেউ মুশতাককে পিটিয়ে মারেনি, তার স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। আমিও তার মৃত্যুতে কষ্ট পেয়েছি

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে চলমান আলোচনা আর বিতর্কের মাঝেই আইনটি পর্যালোচনা করার সুযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন মৎস ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। তিনি বলেন, আলোচনা করে আইনের অনাকাঙ্খিত ধারাগুলো সংশোধন করা সম্ভব।

শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ নিয়ে আয়োজিত ভার্চুয়াল সেমিনারে অংশ নিয়ে মন্ত্রী বলেন, কোন আইনই সম্পূর্ণ নয়, নয় বিতর্কের উর্ধ্বে । আইনের যথাযথ প্রয়োগ যেমনি আছে তেমনি আছে অপ্রয়োগ। আর তাই প্রয়োজনে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটির প্রয়োজনীয় সংশোধন করে সংস্কার করা যেতে পারে।

কারাগারে লেখক মুশতাকের মৃত্যুকে দুঃখজনক ও অনাকাঙ্খিত উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, 'মুশতাকের মৃত্যুর পর ডিজিটাল আইন নিয়ে অনেকে অনেক কথা বলছে, আমি বলতে চাই কেউ মুশতাককে পিটিয়ে মারেনি, তার স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। আমিও তার মৃত্যুতে কষ্ট পেয়েছি। '

সেমিনারে বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক আইনটির অধিকাংশ ধারায় জামিন অযোগ্যতা, পরোয়ানা ছাড়াই পুলিশের তল্লাশি, জব্দ ও গ্রেফতারের ক্ষমতা থাকাকে এ আইনের দুর্বলতা হিসেবে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, জনগণের মতপ্রকাশ ও বাকস্বাধীনতা সুরক্ষায় সরকাররে দ্রুত আইনের ২১, ২৫, ২৮ ও ৩৫ এ চারটি ধারা সংশোধনের উদ্যোগ নিতে হবে।

আলোচনা সভায় সিজেএস এর পরিচালক ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরী জানান, পুলিশ সদর দফতর থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী গেল বছরের পহেলা জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের ২৫ ফেব্রুযারি পর্যন্ত সারা দেশে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে ৭৮৩টি মামলা দায়ের হয়েছে। যার মধ্যে ঢাকা বিভাগ শীর্ষে রয়েছে। যেখানে মামলা হয়েছে ১১২টি। তবে এসময় দেশের ৫টি জেলায় এ আইনে কারো বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়নি। মামলা শূন্য ৫টি জেলা হলো- চাপাঁইনবাবগঞ্জ, নীলফামারি, কুড়িগ্রাম, রাজবাড়ী ও শরীয়তপুর।

সেন্টার ফর গর্ভন্যান্স স্টাডিজের নিজস্ব সমীক্ষায় আরো বলা হয়, এখন পর্যন্ত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে যাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে তাদের মধ্যে শীর্ষে আছেন সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মীরা। জরিপে বলা হয়েছে ১৩ দশমিক ৬৮ শতাংশ মামলা হয়েছে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে, রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ১৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ, শিক্ষার্থীদের ২ দশমিক ৯১ শতাংশ, শিক্ষক ২ দশমিক ৯১ শতাংশ, বেসরকারি চাকুরিজীবী ২ দশমিক ১৮ শতাংশ, ব্যবসায়ি ২ দশমিক ১৮ শতাংশ, সরকারি চাকুরিজীবী ১ দশমিক ৭৫ শতাংশ ও আইনজীবী শূণ্য দশমিক ৪৪ শতাংশ। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা দায়েরের পরিমাণ ২৬ দশমিক ২৮ শতাংশ বলেও তুলে ধরা হয়।

এদিকে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে মানুষের জন্য জরুরি আইন বলে মন্তব্য করেন ডাক যোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক সংসদীয় কমিটির সদস্য জাকিয়া পারভীন খানম। তিনি বলেন, ডিজিটাল মাধ্যমে অপরাধ কমাতেই সরকার আইনটি পাস করেছেন।


আরও খবর