Logo
শিরোনাম
বেনাপোল স্থলবন্দর

মঙ্গলবার থেকে অনির্দিষ্টকাল পণ্য পরিবহন বন্ধ ঘোষণা

প্রকাশিত:সোমবার ১৬ মে ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ২৫ নভেম্বর ২০২৩ | ১২৮০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

বেনাপোল স্থলবন্দরে পর্যাপ্ত ক্রেন ও ফর্কলিফট না থাকায় পণ্য পরিবহন ব্যাহত হচ্ছে। ফলে চাহিদামতো ক্রেন ও ফর্কলিফটের দাবিতে ১৭ মে (মঙ্গলবার) থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য পণ্য পরিবহন বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে বেনাপোল ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি মালিক সমিতি।

বেনাপোল ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আজিম উদ্দিন গাজী জানান, বেনাপোল বন্দর দেশের মধ্যে বৃহত্তম বন্দর হওয়া সত্ত্বেও এখানে ভারী পণ্য ওঠানো-নামানোর জন্য পর্যাপ্ত ক্রেন ও ফর্কলিফট নেই। আর যেগুলো আছে তার মধ্যে কয়েকটা ভালো থাকলেও পণ্য খালাস করতে গিয়ে বারবার নষ্ট হয়ে যায়। এ ক্রেন ও ফর্কলিফট চালকরাও অদক্ষ। এতে বন্দরে আমদানীকৃত ভারী পণ্য খালাস করতে দীর্ঘদিন সময় লেগে যাচ্ছে। এতে ব্যবসায়ীরা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে এ বন্দর থেকে। এ বিষয়ে বেনাপোল স্থলবন্দরের উপপরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবির তরফদারকে চিঠি দিয়ে জানালেও তিনি বিষয়টি আমলে নেননি। বাধ্য হয়ে ১৭ মে থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য পণ্য পরিবহন বন্ধের ঘোষণা দেয়া হয়েছে।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন জানান, বেনাপোল বন্দরে জায়গা না থাকায় প্রবেশের অপেক্ষায় প্রায় ৭ হাজার ট্রাক পণ্য নিয়ে এক মাস ধরে ভারতের বনগাঁ কালিতলা পার্কিংয়ে দাঁড়িয়ে আছে। ট্রাকপ্রতি প্রতিদিন ৩ হাজার রুপি লোকসান গুনতে হচ্ছে। স্থলবন্দরের উপপরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবির তরফদার বলেন, বন্দরের উন্নয়নকাজ চলমান রয়েছে। তবে এসব শেষ হতে আরো দুই বছর সময় লাগবে।

বেনাপোল বন্দরে ক্রেন ও ফর্কলিফট সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ব্ল্যাক বেঙ্গল এন্টারপ্রাইজের ম্যানেজার মিল্টন খন্দকার জানান, বেনাপোল বন্দর দিয়ে বর্তমানে অধিক পরিমাণে পিডিপি (বিদ্যুৎ টাওয়ারের মালামাল) অ্যাঙ্গেল আমদানি হচ্ছে। এতে এ টিটিবি অ্যাঙ্গেল ওঠাতে ও নামাতে গিয়ে তাদের বেশকিছু ক্রেন ও ফর্কলিফটের যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়েছে।


আরও খবর