Logo
শিরোনাম

লঞ্চের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু সোমবার

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ এপ্রিল ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ২৬ নভেম্বর ২০২৩ | ১৪৪৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষের সুবিধার জন্য ঢাকা-বরিশাল নৌপথে চলাচলকারী বেসরকারি কোম্পানির লঞ্চের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু হবে সোমবার থেকে।২৫ এপ্রিল পর্যন্ত আগাম টিকিট বিক্রি করা হবে। ঢাকা থেকে বরিশাল আসা এবং বরিশাল থেকে ঢাকায় যাওয়ার জন্য উভয় প্রান্তের টিকিট ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত পাওয়া যাবে।

এ তথ্য নিশ্চিত করে ঢাকা-বরিশাল নৌপথে চলাচলকারী সুরভী শিপিং লাইন্সের অন্যতম পরিচালক রিয়াজ উল কবির বলেন, আগাম টিকিট পাওয়ার জন্য ১০ রমজানের পর থেকে যাত্রীদের কাছ থেকে টিকিটের চাহিদাপত্র নেওয়া হয়েছে।

বিআইডব্লিউটিএর যুগ্ম পরিচালক এবং বরিশাল নৌবন্দর কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান রোববার দুপুরে বলেন, সরাসরি ও  ভায়াসহ ২৮ থেকে ২৯টি নৌযান বরিশাল বন্দরে যাত্রী পরিবহন করে। ঈদে ঘরমুখো মানুষের নিরাপত্তায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বরিশাল নৌবন্দরে। এজন্য বন্দর সমন্বয় কমিটি গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

সোমবার থেকে আগাম টিকিট বিক্রি শুরু হলেও ঢাকা-বরিশাল নৌপথে বেসরকারি লঞ্চের বিশেষ সার্ভিস (স্পেশাল ট্রিপ) কবে নাগাদ শুরু হবে সে ব্যাপারে এখনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

তবে সুরভী শিপিং লাইন্সের পরিচালক রিয়াজ উল কবির বলেছেন, ২৮ এপ্রিল থেকে শুরু হতে পারে বিশেষ সার্ভিস। অপরদিকে সুন্দরবন নেভিগেশনের অন্যতম পরিচালক এবং বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌচলাচল যাত্রী পরিবহন সংস্থার কেন্দ্রীয় সহসভাপতি সাইদুর রহমান রিন্টু বলেছেন, গার্মেন্টস ছুটি হওয়ার ওপর নির্ভর করছে লঞ্চের বিশেষ সার্ভিস।

সাইদুর রহমান রিন্টু বলেন, ঢাকা-বরিশাল নৌরুটে ঈদের আগে ও পরে কেবিনের চাহিদা বেশি থাকে। বিশেষ করে ভিআইপি কেবিনের চাহিদা বেড়ে যায়। যাত্রীর তুলনায় কেবিনের সংখ্যা কম হওয়ায় লটারির মাধ্যমে যাত্রীদের মধ্যে আগাম টিকিট দেওয়া হয়। সোমবার থেকে এই রুটে চলাচলকারী লঞ্চগুলোর ঢাকা ও বরিশালের কাউন্টার থেকে চাহিদাপত্র দেওয়া যাত্রীরা টিকিট সংগ্রহ করতে পারবেন।

সুন্দরবন নেভিগেশনের পরিচালক সাইফুল ইসলাম পিন্টু বলেন, এ বছর ঈদের আগে এবং পরে দীর্ঘ ছুটি থাকার কারণে যাত্রীদের চাপ খুব একটা হবে বলে মনে হচ্ছে না। তাছাড়া বরিশাল-ঢাকা নৌরুটে লঞ্চের সংখ্যাও বেড়েছে। এ কারণে এ বছর অতীতের মতো যাত্রী চাপ না হওয়ার আশঙ্কা বেশি। এজন্য বিশেষ সার্ভিস পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিতে বিলম্ব হচ্ছে।

একাধিক লঞ্চ মালিক বলেন, ঈদের সময় কেবিনের চেয়ে ডেকের যাত্রী বেশি হয়। ডেকের অধিকাংশ যাত্রীরাই গার্মেন্টসের চাকরিজীবী। তাই বিশেষ সার্ভিসের জন্য গার্মেন্টস ছুটির জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে। তবে ২৫ এপ্রিলের পর নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, বিআইডব্লিউটিএ এবং লঞ্চ মালিকদের যৌথ সভার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত হবে কবে থেকে বিশেষ সার্ভিস চলাচল শুরু হবে।

বিআইডব্লিউটিএর যুগ্ম পরিচালক এবং বরিশাল নৌবন্দর কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ঈদের সময় যাত্রী চাপ বেড়ে যায়, সেজন্য বরিশাল নৌবন্দরের গ্যাংওয়েগুলো মেরামত করা হচেছ। টার্মিনালের অভ্যন্তরে যাত্রীদের জন্য পর্যান্ত নিরাপত্তা-ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বিশেষ সার্ভিস শুরু হলে ঢাকা থেকে লঞ্চগুলো যাত্রী নিয়ে রাত ২টার মধ্যে বরিশাল নৌবন্দরে পৌঁছায়। গভীর রাতে আসা যাত্রীরা যাতে নিরাপদে বন্দরে অবস্থান করতে পারে এজন্য অতিরিক্ত যাত্রী ছাউনির ব্যবস্থা করা হবে।


আরও খবর