Logo
শিরোনাম

কুড়িগ্রামে সহকর্মীকে কুপিয়ে হত্যা, মরদেহ নিয়ে এলাকাবাসীর রাস্তা অবরোধ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩১ মে ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ নভেম্বর ২০২৩ | ১০৫০জন দেখেছেন
Image

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:

কুড়িগ্রামের পৌর শহরে জলিল বিড়ি ফ্যাক্টরিতে সহকর্মীর হাতে মাঈদুল ইসলাম বাপ্পি (২২) নামের এক বিড়ি শ্রমিকের হাতে খুন হওয়ার ঘটনায় হত্যাকারির শাস্তি ও বিচারের দাবীতে কুড়িগ্রাম-ভুরুঙ্গামারী সড়ক অবরোধ করছে এলাকাবাসী। আজ মঙ্গলবার (৩১ মে) দুপুর থেকে কুড়িগ্রাম রিভারভিউ মোড় এলাকায় অবস্থান নিয়েছে এলাকাবাসী।

রাস্তা অবরোধকারী এলাকাবাসী জানান, বাপ্পিকে হত্যা করে খোকন পালিয়ে যায়। খুন হওয়ার ২৪ ঘন্টা পার হলেও এখন পর্যন্ত আসামিকে ধরার হয় নাই। যতক্ষণ না আসামিকে ধরে বিচারের আওতায় না আনবে ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের এ সড়ক অবরোধ তুলে নেয়া হবে না।

এদিকে, বাপ্পি হত্যার ঘটনায় তাঁর মা বিউটি বেগম বাদী হয়ে অভিযুক্ত খোকনকে আসামী করে গত সোমবার রাতে কুড়িগ্রাম সদর থানায় হত্যা মামলা করেন। তবে পুলিশ এখন পর্যন্ত অভিযুক্ত আসামীকে গ্রেফতার করতে পারেনি।

নিহত বাপ্পির ছোট ভাই বেলাল হোসেন বলেন, আমার বাবা প্যারালাইজড হয়ে বিছানায় পড়ে আছে। টাকার অভাবে বোনের বিয়ের দিতে পারছি না। আমার পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারি বড় ভাইকে খোকন নির্মম ভাবে হত্যা করেছে। আমার পরিবার এখন অসহায় হয়ে পড়লো। আমি প্রশাসনকে জোড় দাবি জানাচ্ছি দ্রুত হত্যাকারি খোকনকে আইনের আওতায় এনে ফাঁসি দেয়া হোক।

উল্লেখ্য, গত সোমবার (৩০ মে) বিকেলের দিকে নিহত মাঈদুল ইসলাম বাপ্পি ও খোকন ইসলাম (৩২) দুজনে জলিল বিড়ি নামের একটি ফ্যাক্টরিতে কাজ করছিলেন। এসময় কাজ করা নিয়ে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুজনের মধ্যে ঝগড়া লাগে। এক পর্যায়ে খোকন নিহত মাঈদুলকে চুরি দিয়ে আঘাত করলেই ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। নিহত মাঈদুল ইসলাম বাপ্পি কুড়িগ্রাম আর্দশ মজিদ ডিগ্রি কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলেন। নিহত বাপ্পি পৌরশহরের মাটিকাটা মোড় এলাকার খাদেম আলীর ছেলে।

এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) গোলাম মর্তুজা জানান, অবরোধ তুলে নেয়ার বিষয়ে এলাকাবাসীর সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। আসামীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে আমাদের। আশা করছি খুব দ্রুত তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হবো।

নিউজ ট্যাগ: কুপিয়ে হত্যা

আরও খবর