Logo
শিরোনাম

কলেজে যাওয়ার পথে মারধর, বাড়িতে ফিরে ফাঁস নিলেন তরুণী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ নভেম্বর ২০২৩ | ৮৯০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

পাবনার বেড়ায় সুস্মিতা খাতুন (১৮) নামে এক কলেজছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুর দুইটার দিকের বেড়া পৌর এলাকার মৈত্রবাঁধা মহল্লার নিজ বাড়ি থেকে তার মরদেহ ‍উদ্ধার করা হয়।

এর আগে একই দিন সকালে সুস্মিতাকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠেছে তার প্রেমিকের বিরুদ্ধে। মারধরের পরই রক্তাক্ত অবস্থায় বাড়ি ফিরে আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ করেছেন সু্স্মিতার সহপাঠী ও পরিবারের লোকজন।

নিহত সুস্মিতা মৈত্রবাঁধা এলাকার চায়ের দোকানি জাইদুল হোসেনের মেয়ে এবং বেড়া সরকারি কলেজের ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী। আর অভিযুক্ত আশিক হোসেন (২০) সাঁথিয়া উপজেলার সোনাতলা গ্রামের বাসিন্দা।

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, আশিকের সঙ্গে সুস্মিতা প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিছুদিন ধরে তাদের মধ্যে মনোমালিন্য চলছিল। আজ (১৭ জানুয়ারি) কলেজ যাওয়ার পথে সুস্মিতাকে জোর করে রিকশায় তুলে অন্যত্রে নিয়ে যায় আশিক। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় কলেজের সামনে নিয়ে আসে। এসময় সহপাঠীরা তাকে বাড়িতে পৌঁছে দেন। বাড়ি পৌঁছানোর পরপরই ঘরের দরজা বন্ধ করে দেয় সুস্মিতা। পরে অনেকক্ষণ তার সাড়া-শব্দ না পাওয়ায় পরিবারের লোকজন দরজা ভেঙে তার মরদেহ উদ্ধার করে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সহপাঠী জানায়, সুস্মিতা কিছুদিন ধরে আশিককে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। নানা সময়ে আশিককে নিয়ে ভয়ের মধ্যে থাকতো সুস্মিতা। রক্তাক্ত অবস্থায় যখন কলেজের সামনে আশিক নামিয়ে দিয়ে যায়, তখন সুস্মিতা জানিয়েছিল সে তাকে বেধড়ক মারধর করেছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বেড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান বলেন, আমরা মরদেহ উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছি। এখনো পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।


আরও খবর