Logo
শিরোনাম

খুলনায় বাসের পর এবার লঞ্চ চলাচলও বন্ধ, চরম ভোগান্তি

প্রকাশিত:শুক্রবার ২১ অক্টোবর ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ নভেম্বর ২০২৩ | ৯১৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

খুলনায় বিএনপির সমাবেশের আগের দিন শুক্রবার সকালে থেকে দুই দিনের পরিবহন ধর্মঘট চলছে। খুলনা জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতি ও খুলনা মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন যৌথভাবে এই ধর্মঘট ডেকেছে। এরই মধ্যে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে লঞ্চ চলাচলও। বেতন বৃদ্ধিসহ ১০ দফা দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার জন্য এ ধর্মঘট ডেকেছে নৌ-যান শ্রমিকরা।

শুক্রবার সকাল থেকে খুলনা লঞ্চ টার্মিনাল থেকে কোনো লঞ্চ ছেড়ে যায়নি। ফলে খুলনা থেকে দক্ষিণ দিকে (দাকোপ, কয়রা, সাতক্ষীরা) যাওয়ার সব লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।

বাংলাদেশ লঞ্চ লেবার অ্যাসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন ধর্মঘটের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ১০ দফা দাবিতে তারা যাত্রীবাহী লঞ্চে ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘট শুরু করেছেন। দাবি মেনে নেওয়া হলে যেকোনো মুহূর্তে ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হবে। এর সঙ্গে বিএনপির সমাবেশের কোনো সম্পর্ক নেই।

এদিকে বাস ধর্মঘটের কারণে খুলনায় কোনো যানবাহন প্রবেশ করতে পারছে না। খুলনা থেকে কোনো যানবাহন ছেড়ে যাচ্ছে না। ফলে খুলনার সঙ্গে ১৮টি রুটের বাস চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে পড়েছে। এতে দূর-দূরান্তের যাত্রীরা চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।

বিশেষ করে সমাজসেবা কার্যালয়ের ইউনিয়ন সমাজকর্মী নিয়োগ পরীক্ষা দিতে আসা ব্যক্তিদের ভোগান্তি ছিল সবচেয়ে বেশি। সব রুটে বাস চলাচল বন্ধ থাকায় সকাল থেকে ইজিবাইক, ভ্যানে করে খুলনায় এসেছেন তারা। ছুটির দিনে যারা খুলনা বা এর আশাপাশের জেলায় বেড়াতে যেতে চেয়েছিলেন, তারাও যেতে পারেননি।

এদিকে বিএনপির দাবি, শনিবার (২২ অক্টোবর) খুলনার সোনালী ব্যাংক চত্বরে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ রয়েছে। ওই গণসমাবেশ বানচাল করতে এবং বিপুল মানুষের উপস্থিতি ঠেকাতে এ ধর্মঘট ডাকা হয়েছে।

এসব অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছেন বাস মালিক সমিতির সহ-সভাপতি কাজী এনায়েত হোসেন। তিনি বলেন, সরকারের নির্দেশে বাস বন্ধ করার অভিযোগ সঠিক নয়। মহাসড়কে অবৈধ যানবাহন চলাচল বন্ধের দাবিতে এই ধর্মঘট করছেন। এছাড়া সমাবেশকে ঘিরে বাস ভঙচুর হতে পারে বলেও আশঙ্কা ছিল।

বিএনপির সমাবেশের আগে লঞ্চ ধর্মঘটের বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ লঞ্চ শ্রমিক ইউনিয়ন খুলনা জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, অনেক আগেই ওই দাবিগুলো মেনে নেওয়ার জন্য মালিক ও নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষকে আলটিমেটাম দেওয়া হয়েছিল। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তা বাস্তবায়ন না করায় ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘট শুরু করেছেন শ্রমিকেরা। এর সঙ্গে বিএনপির সমাবেশের কোনো সম্পর্ক নেই।


আরও খবর