Logo
শিরোনাম

‘খালেদা জিয়ার যে চিকিৎসা দরকার তা ভারতীয় উপমহাদেশে নেই’

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ নভেম্বর ২০২১ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | ৩১৭৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার লিভার সিরোসিন সনাক্ত হয়েছে। এ রোগের চিকিৎসার জন্য এ মুহূর্তে যে প্রযুক্তি দরকার তা ভারতীয় উপমহাদেশে নেই বলে জানিয়েছেন মেডিকেল বোর্ডের প্রধান প্রফেসর ডা. এফ এম সিদ্দিকী। এসমস্ত চিকিৎসা যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও জার্মানিতে সম্ভব বলে জানান তিনি।

রবিবার (২৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় বর্তমান অবস্থা নিয়ে ব্রিফিং করেন বিএনপির নেত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা। এ সময় তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে তাদের সাধ্যের মধ্যে সর্বোচ্চ চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার লিভার সিরোসিসের কারণে ব্লিডিং হচ্ছে জানিয়ে তার চিকিৎসায় গঠিত দলের মেডিক্যাল বোর্ডের চিকিৎসকরা যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র বা জার্মানির বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসার সুপারিশ করেছেন।

তারা জানিয়েছেন, বিএনপি নেত্রীর যকৃত বা লিভারে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। একবার এই রক্তক্ষরণ সামাল দেওয়া গেছে। তবে এখন তার যে অবস্থা, সেটি দ্বিতীয়বার সামাল দেওয়া কঠিন হবে।

বাংলাদেশে দুই থেকে তিন বার রক্তক্ষরণ সামাল দেওয়ার কারিগরি সুযোগ নেই দাবি করে যত দ্রুত সম্ভব তাকে দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেছে মেডিকেল বোর্ড। ব্রিফিংয়ে বিএনপি নেত্রীর রোগ নিয়ে প্রাথমিক একটি বর্ণনা দেন ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও দলের গঠন করা মেডিক্যাল বোর্ডের প্রধান এফ এম সিদ্দিকী।

সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পেট থেকে চাকা চাকা রক্ত যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি জানান, ইউনাইটেড হাসপাতালে একবার রক্ত দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া গেছে। কিন্তু এই ধরনের রোগীকে বারবার রক্ত দেওয়া সম্ভব নয়।

তিনি বলেন, আশঙ্কা করছি, আবার যদি ব্লিডিং হয় তাহলে এটাকে কন্ট্রোল করা সাপোর্ট করা যাবে না। ব্লিডিং হয়ে মৃত্যুঝুঁকি আরও বেড়ে যাবে।

ইন্টারভ্যানশনাল গ্যাস্ট্রো অ্যানালিস্ট চিকিৎসক আরেফিন সিদ্দিক লিভারে রক্তক্ষরণ ঠেকাতে চিকিৎসা পদ্ধতি তুলে ধরে বলেন, এটা একটা হাইলি টেকনিক্যাল কাজ। বাংলাদেশে টিপস করা কোনো রোগী আমরা দেখি না যার দুই থেকে তিনবার এটা করা হয়েছে।

তাহলে কোথায় এই চিকিৎসা করা যায়-এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এটা আমেরিকা বা ইউরোপ বেজড, বিশেষ করে ইউকে, জার্মানি ইউএসএতে কিছু সেন্টার আছে। সেটাও পুরা দেশ জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে নেই দুই একটি সেন্টার আছে।


আরও খবর