Logo
শিরোনাম

জ্যাককে বাঁচানোর উপায় ছিল না ক্যামেরনের

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২০ ডিসেম্বর ২০22 | হালনাগাদ:রবিবার ১২ নভেম্বর ২০২৩ | ৬৪০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

টাইটানিক মুক্তির পর থেকে একটা প্রশ্ন বারবার অস্বস্তিতে ফেলেছে জেমস ক্যামেরনকে। সিনেমার শেষ দৃশ্যে মরতে হয়েছে জ্যাককে। কিন্তু দর্শক মনে করে জ্যাককে বাঁচানো যেত। প্রশ্নটা প্রথমে ছিল আবেগের। এমন একটি আবেগি ও রোমান্টিক দৃশ্যে জ্যাকের মৃত্যু মানতে চাননি তারা। দ্বিতীয় প্রসঙ্গটি বিশ্লেষণী। শেষ দৃশ্যে জ্যাক ও রোজ যে কাঠের পাটাতন অবলম্বন করে ভেসে ছিল, সেখানে অনায়াসে জ্যাকেরও জায়গা হতো, অংক করেও অনেকে তা দেখিয়েছেন। কিন্তু তবু মরতে হলো জ্যাককে। আর দোষটা গিয়ে পড়ল ক্যামেরনের ঘাড়ে। তিনি জ্যাককে মেরে ফেলেছেন। কিন্তু সেই অংক বা দর্শকের আপত্তির জায়গায় ক্যামেরনের নিজস্ব মত রয়েছে। তিনি মনে করেন এ মৃত্যুই স্বাভাবিক ছিল। বিষয়টি তিনি গবেষণা করেই বের করেছেন।

বিষয়টি নিয়ে টরন্টো সানকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ক্যামেরন বলেন, আমরা একটি বৈজ্ঞানিক গবেষণার মধ্য দিয়ে গিয়েছি। প্রথেমে এটাকে ভাসতে দিয়েছি। নিজের মতো চলতে দিয়েছি। এরপর পানির ওপর এর ভেসে চলা, ভর নেয়ার ক্ষমতা সম্পর্কেও নিশ্চিত হতে হয়েছে। কেট ও লিওর সমভরের দুজন স্টান্ট ম্যান নিয়ে আমরা পরীক্ষা করে দেখেছি। এক্ষেত্রে বরফ শীতল পানিতে রেখে তাদের শরীরে সেন্সর বসিয়ে জানার চেষ্টা করেছি তাদের পক্ষে বাঁচা সম্ভব কিনা। আমরা দেখেছি দুজনের পক্ষে বেঁচে থাকা কোনোভাবেই সম্ভব ছিল না।

জেমস ক্যামেরন সবসময়ই তার সিনেমা নির্মাণের আগে নিশ্চিত হয়ে নেন। সেক্ষেত্রে তার গবেষণা সম্পর্কে প্রশ্ন তোলার সুযোগ নেই। কিন্তু তক্তার ভেলায় জ্যাককে কেন তুলল না কেট, সে কথা স্পষ্ট হলো না। যদিও এর আগে একবার ক্যামেরন বলেছিলেন তার সিনেমার শিল্পের প্রয়োজনে তিনি এ মৃত্যুর ক্ষেত্রে কোনো বদল আনতে অক্ষম ছিলেন। ধরে নেয়া যায় সিনেমার শেষ দৃশ্যে আবেগ তৈরির জন্য তিনি এটি করেছিলেন। কিন্তু অন্যদিকে বিষয়টি যুক্তিগ্রাহ্য করার ক্ষেত্রেও তার নজর ছিল সে কথা অস্বীকার করার উপায় নেই।

এদিকে দৃশ্যটি নিয়ে সম্প্রতি কথা বলেছেন  উইন্সলেট। তিনি প্রথমে বিষয়টি নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে আগ্রহী হননি। পুরোপুরিই এড়িয়ে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু এরপর তিনি বলেন, আমি আসলে জানি না। তবে দুজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির স্থান হতো না এখানে। হ্যাঁ, কাঠের দরজাটিতে তুলে দিলে তাদের দুজনেরই হয়তো জায়গা হতো কিন্তু সেটা স্থির নাও থাকতে পারত। আমার মনে হয় না এটা কোনো ভালো বুদ্ধি।

মুক্তি পেয়েছে জেমস ক্যামেরনের অ্যাভাটার: দ্য ওয়ে অব ওয়াটার। সিনেমাটি আশা জাগিয়েছে, তবে যথেষ্ট ব্যবসা আনতে পারছে না। এদিকে ক্যামেরন ঠিক করেছেন টাইটানিক আবার নতুন করে ‌ ফোর কে সংস্করণে মুক্তি দেবেন ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে।

নিউজ ট্যাগ: টাইটানিক

আরও খবর