সমঝোতা চুক্তি সইয়ের মাধ্যমে মানবিক সহায়তায় বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্ত হওয়ায় জাতিসংঘকে স্বাগত জানিয়েছেন ভাসানচরে অবস্থানরত রোহিঙ্গারা। তারা রবিবার সেখানে আনন্দ মিছিল করেছেন। এ সময় জাতিসংঘকে স্বাগত জানিয়ে তাদের হাতে বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড শোভা পায়।
স্থানীয়রা জানান, দুপুর আড়াইটা থেকে সাড়ে ৩টা পর্যন্ত রোহিঙ্গা ক্যাম্প হেড ফোকালদের নেতৃত্বে এই আনন্দ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে এক হাজারের বেশি রোহিঙ্গা নাগরিক অংশ নেন।
মিছিলটি ভাসানচরের সিআইসি অফিস (শেল্টার-০৯) থেকে হাসপাতাল রোড হয়ে ১ নম্বর রোহিঙ্গা বাজারের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
গতকাল শনিবার ভাসানচরের রোহিঙ্গাদের জন্য কাজ শুরু করতে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার (ইউএনএইচসিআর)। সচিবালয়ে সরকারের পক্ষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোহসীন এবং ইউএনএইচসিআরের পক্ষে বাংলাদেশস্থ প্রতিনিধি উহানেন্স ভন ডার ক্লাও সমঝোতা স্মারকে সই করেন। এই চুক্তির মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে ভাসানচরকেন্দ্রিক সব ধরনের দূরত্ব দূর হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এই সমঝোতার ফলে বাংলাদেশ সরকার ও ইউএনএইচসিআর যৌথভাবে ভাসানচরে রোহিঙ্গা নাগরিকদের খাদ্য ও পুষ্টি, সুপেয় পানি, পয়ঃনিষ্কাশন, চিকিৎসা, দক্ষতা প্রশিক্ষণ, মিয়ানমারের ভাষায় পাঠক্রম ও অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা এবং জীবিকায়নের ব্যবস্থা করবে।
গণহত্যা ও নির্যাতনের মুখে ২০১৭ সালের আগস্ট মাসে লাখ লাখ রোহিঙ্গা নাগরিক কক্সবাজারে এসে আশ্রয় নিতে থাকে। এর আগেও বিভিন্ন সময় দলে দলে রোহিঙ্গারা এসে কক্সবাজারে আশ্রয় নেয়। এতে প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গা নাগরিক এখন কক্সবাজারের শরণার্থী শিবিরগুলোতে অবস্থান করছে।