প্রতিদ্বন্দ্বী দেশ ইরান ও সৌদি আরবের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে তেহরান তাদের প্রতিশ্রুতি মেনে চলবে কি-না সে ব্যাপারে ওয়াশিংটন সংশয় প্রকাশ করেছে। খবর এএফপি’র।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে একথা জানায় যুক্তরাষ্ট্র। সম্পর্কের বরফ গলাতে চীনের মধ্যস্থতায় সম্প্রতি দুই দেশের মধ্যে এ চুক্তি হয়। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, এ কূটনৈতিক চুক্তিকে ‘আমরা স্বাগত জানাই। উদাহরণ হিসেবে আমরা দেখতে চাই এ চুক্তি ইয়েমেনকে শান্তির দিকে নিয়ে যাক। সেখানে এ দু’টি আঞ্চলিক শক্তি বিরোধী পক্ষকে সমর্থন করে।’
কিরবি বলেন,
‘আমরা
দেখব, ইরানিরা তাদের চুক্তির পক্ষকে সম্মান করছে কিনা। আর তা সত্যিই দেখার বাকি রয়েছে।
এটি এমন কোন শাসনব্যবস্থা নয় যে সাধারণত তার কথাকে সম্মান করে।’
তিনি বলেন,
‘আমরা
ইয়েমেনে এই যুদ্ধের পরিসমাপ্তি দেখতে চাই এবং এই চুক্তি আমাদেরকে সেই ফলাফলের দিকে
নিয়ে যেতে সাহায্য করতে পারে।’
মার্কিন মিত্র
সৌদি আরব এবং চিরশত্রু ইরানকে একত্রিত করার ক্ষেত্রে চীনের অস্বাভাবিক ভূমিকা রাখার
ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে কিরবি বলেন, বিদেশে এবং অভ্যন্তরীণ অসন্তোষের কারণে চাপের
মুখে ইরানকে আলোচনার টেবিলে আনা হয়।
তিনি বলেন,
‘আমরা
অবশ্যই চীনকে পর্যবেক্ষণ অব্যাহত রেখেছি, কারণ তারা নিজেদের স্বার্থে বিশ্বব্যাপী প্রভাব
খাটানোর এবং পা রাখার চেষ্টা করে থাকে।’