Logo
শিরোনাম

হাতীবান্ধায় বিজিবি'র নিকট থেকে গরু ছিনিয়ে নিল চোরাকারবারিরা

প্রকাশিত:রবিবার ০২ জানুয়ারী 2০২2 | হালনাগাদ:শনিবার ২৫ নভেম্বর ২০২৩ | ৩৪১৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডের (বিজিবি) থেকে ভারতীয় ৪টি গরু ছিনিয়ে নিয়েছেন চোরাকারবারিরা এ সময় চোরাকারবারিরা দেশীও অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বিজিবি'র উপর হামলা চালায়।

এ ঘটনায় শনিবার (১ জানুয়ারি) রাতেই বিজিবি'র পক্ষ থেকে হাতীবান্ধা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিষয়টি হাতীবান্ধা থানার ওসি (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে শুক্রবার (৩১ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার শ্যামের বাজার ( পূর্ব বেজগ্রাম) এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, শুক্রবার ভোরে চোরাকারবারিরা ভারত থেকে চোরাই পথে গরু বাংলাদেশে নিয়ে আসেন এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার পূর্ব বেজগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে অভিযান চালিয়ে চারটি ভারতীয় গরু উদ্ধার করে গেন্দুকুড়ি বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা। উদ্ধারকৃত গরুগুলি নছিমন-ভটভটিতে করে বিজিব ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়ার পথে কেতকিবাড়ি শ্যামের বাজার এলাকায় দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে গরু ছিনতাই করে নিয়ে যায় চোরাকারবারিরা। উপজেলার গোতামারী ইউনিয়নের দইখাওয়া এলাকার আফতাব উদ জামান আলিফ ও ইসমেত দোহা সিজানের নেতৃত্বে এই গরু ছিনতাইয়ে ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

এ বিষয়ে গেন্দুকুড়ি বিজিবি ক্যাম্পের সুবেদার লিয়াকত হোসেন বলেন, গরু ছিনতাইয়ের ঘটনায় ৩০-৪০ জনের নামে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত চোরাকারবারি আফতাব উদ জামান আলিফ গরু ছিনিয়ে আনার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, বিজিবি'র সদস্যরা গরু আনতে না দিলে আমরা কি আনতে পারি? তারা গরু আনা বাবদ লাইন নেয়। তাহলে তারা গরু আটক করবে কেন? তাই গরুগুলো তাদের কাছ থেকে নিয়ে আসা হয়েছে। তবে কোন ছিনতাই বা হামলার ঘটনা ঘটে নাই।

ইসমেত দোহা সিজান এ ঘটনায় কোন মন্তব্য করতে চান না, তবে সাক্ষাতে বিষয়টি খুলে বলবেন বলে জানান।

হাতীবান্ধা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম বলেন, গরু ছিনতাইয়ের ঘটনায় বিজিবি থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। যাতে ৩০ থেকে ৪০ জনের নাম উল্লেখ করেছেন বিজিবি। সেই সাথে মামলার তদন্তের স্বার্থে অভিযুক্তদের নাম প্রকাশ করা যাবে না বলে জানান।

নিউজ ট্যাগ: লালমনিরহাট

আরও খবর