Logo
শিরোনাম

হাওরে চায়না জালে ধ্বংস হচ্ছে দেশীয় মাছ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১২ মে ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ নভেম্বর ২০২৩ | ১১৪৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

নেত্রকোনার খালিয়াজুরীর হাওর অঞ্চল দেশীয় মাছের অভয়াশ্রম হিসেবে পরিচিত। কিছু অসাধু মাছ শিকারি অতিলোভে চায়না জাল ব্যবহার করে দেশীয় প্রজাতির মাছের প্রজনন ব্যাহত করছেন। এসব চায়না জাল দিয়ে মাছ শিকারের ফলে ছোট, বড় এমনকি মাছের পোনা পর্যন্ত রেহাই পাচ্ছে না। বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ মাসে হাওরে মাছের প্রজননের একমাত্র সময়। শোল, টাকি, গজার মাছ হাওরের বিল-ডোবায় ডিম ছাড়ে। ওই রেনু ধীরে ধীরে বড় হয় পোনা থেকে মাছে রূপান্তর হয়। এ সময় মৎস্য কর্মকর্তা ও প্রশাসন যদি একটু সক্রিয় হয় তাহলেই পোনাগুলো বড় হওয়ার সুযোগ পাবে। কিন্তু এ সর্বনাশা চায়না জাল দিয়ে পোনা মাছ ধরে মাছের অস্তিত্ব বিলীন করছে।

স্থানীয় জেলেরা জানান, মানুষের মাঝে সচেতনা বৃদ্ধি ও চায়না জাল দিয়ে মাছ ধরা নিরুৎসাহিত করতে পারলেই দেশীয় মাছের প্রজনন রক্ষা করা সম্ভব। বাজারেও দেদার বিক্রি হচ্ছে শোল, টাকি ও গজারের পোনা। মাছের পোনা খেতে সুস্বাদু বলে সবারই এ পোনা মাছের প্রতি আকর্ষণ বেশি। প্রশাসন ও মৎস্য কর্মকর্তার সক্রিয় ভূমিকার মাধ্যমেই সম্ভব মা মাছ ধরা থেকে তাদের নিরুৎসাহিত করা। মা মাছ এসব চায়না জাল দিয়ে নিধন করলে দেশীয় প্রজাতির মাছ বিলীন হয়ে যাবে।

মৎস্য আহরণকারী মো. সাহেদ মিয়া জানান, চায়না জালে এমন কোনো মাছ নেই ধরা পড়ে না। ছোট থেকে বড় সব প্রকার মাছ এতে ধরা পড়ে। মাছের পোনা থেকে শুরু করে রক্ষা পায় না যেকোনো ধরনের মা মাছ। চায়না জালে ধরা পড়া মাছ বেশিক্ষণ জীবিত থাকে না। কিছুক্ষণের মধ্যেই মাছে পচন দেখা দেয়। মাছের প্রজনন মৌসুম হওয়ায় মাছ নরম হওয়ায় তাড়াতাড়ি পচন ধরে নষ্ট হয়। ফলে আড়তদাররা এ মাছ কিনতে আগ্রহ হারায়। পচনশীল মাছ নদীতে ফেলে দেওয়া হয়। লাখ লাখ মা মাছ পচে নদীতে ভাসতে দেখা যায়। ব্যাপকহারে মা মাছ নষ্ট হওয়ায় মাছের প্রজনন ব্যাহত হচ্ছে।

এ বিষয় উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার অফিসে যোগাযেগ করলেও তাকে পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে খালিয়াজুরী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এএইচএম আরিফুল ইসলাম সরকারি কাজে দেশের বাইরে থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

চায়না জালের ক্ষতিকারক দিক সম্পর্কে জানতে চাইলে মো. তানভীর আহম্মদ (অতিরিক্ত দায়িত্ব) বলেন, চায়না চাইগুলো কারেন্টের জালের চেয়েও ভয়ংকর। ওই চাঁইয়ে সাপ, ব্যাঙ, পোনা মাছসহ কোনোকিছুই রেহাই পায় না। তবে আমি অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে খালিয়াজুরীতে আছি। যত দ্রুত সম্ভব আমি খালিয়াজুরীতে এসে ইউএনও স্যার, এসিল্যান্ড স্যারকে নিয়ে মোবাইল কোর্টের আওতায় আনার ব্যবস্থা করব।

নিউজ ট্যাগ: নেত্রকোনা

আরও খবর