Logo
শিরোনাম

ঘুষ না দেয়ায় চাকরিচ্যুত হওয়ার অভিযোগ নৈশ প্রহরীর

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ জুন ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ নভেম্বর ২০২৩ | ১০৪৫জন দেখেছেন
Image

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি:

টাঙ্গাইলের কালিহাতী লাঙ্গলজোড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরী চানমাহমুদ তালুকদারের চাকরিচ্যুত হওয়ার অভিযোগ।

খবর নিয়ে জানা যায় লাঙ্গলজোড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরী চানমাহমুদ তালুকদার নিয়োগ কমিটির চাহিদা মতো চার লাখ টাকা দিতে না পারায় তার পদে তাদের মনোনীত প্রার্থীকে নিয়োগ দেওয়ার পায়তারা করছে বিদ্যালয়ের সভাপতি আখতারুজ্জামান এবং প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম। 

চানমাহমুদ তালুকদার জানায়, কালিহাতী উপজেলার লাঙ্গলজোড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের তৎকালীন প্রধান শিক্ষক ছিলেন মো. আব্দুল কদ্দুস,  ২০০০ সালে দুই জন সহকারী শিক্ষক ও একজন নৈশ  প্রহরী পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে প্রতিষ্ঠানটি। ২৭ মে ২০০০ ইং আবেদনের প্রেক্ষিতে ৮ জুন ২০০০ ইং তারিখে নির্বাচনী বোর্ড  সম্মতিক্রমে বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরী পদে ১৫ জুন উক্ত বিদ্যালয়ে  আমি সশরীরে  যোগদান করে ২০০০ সাল থেকে নিয়মিত বিদ্যালয়ের কাজ করে বেতন পেয়ে  আসতেছি। করোনাকালীন সময় থেকে আমার বেতন বন্ধ করে দিয়েছে প্রধান শিক্ষক। হঠাৎ করেই ২০২২ সালের জানুয়ারী মাস থেকে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আখতারুজ্জামান এর নির্দেশে প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম আমাকে কর্মচারি হাজিরা খাতায় সাক্ষর দিতে নিষেধ করেছে। এবং আমাকে বিদ্যালয়ে প্রবেশ না করতে নিষেধ করে। আনুমানিক ছয় মাস আগে আমি  সভাপতি আখতারুজ্জামান সাহেবের বাসায় যাই সাক্ষর আনতে তখন আমার কাছে চার লক্ষ টাকা দাবি করেন সভাপতি। আমি দরিদ্র মানুষ সভাপতির চাহিদা মতো চার লক্ষ  টাকা দিতে না পেরে চাকরিচ্যুত হচ্ছি। তাই আমি দরিদ্র মানুষ হিসাবে  দেশবাসীর নিকট সহযোগীতা চাচ্ছি। আমার চাকরিটা স্থায়ী হলে পরিবার নিয়ে কোনো রকম ডাল ভাত খেয়ে বেচে থাকার অবস্থা হবে।

তৎকালীন নিয়োগ কমিটিতে সভাপতি এবং  সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আব্দুস সামাদ তালুকদার ও প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল কদ্দুস তালুকদার নিয়োগ বোর্ডের দায়িত্ব পালন করেন।

প্রতিবেশী আব্দুল জব্বার বলেন, শুনেছি টাকার জন্য নাকি চান মাহমুদ তালুকদারের চাকরি হচ্ছে না, তার চাকরি যদি না হয় আমরা খুব কষ্ট পাবো নিশ্চয়ই এখানে কোনো  অনিয়ম হয়েছে। আমরা এই সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে যারা অনিয়মের সাথে যুক্ত তাদের বিচারের  দাবি জানাচ্ছি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক জানান, নৈশ প্রহরী চানমাহমুদ তালুকদার প্রতিষ্ঠা শুরু থেকে অদ্যবধি কাজ করে আসছে আমি চাই তাকে তার নৈশ প্রহরী পদে  বহাল রাখা হোক।

বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল কদ্দুস তালুকদার বলেন, নিয়োগের সময় চানমাহমুদ তালুকদারকে নিয়ম নিতি অনুযায়ী ঐ সময় নিয়োগ দেওয়া হয়ে ছিলো। আমি যখন ছিলাম নৈশ প্রহরী চানমাহমুদ তালুকদারের কাগজ পত্রে কোনো ভূল ছিলো না। তাছাড়া আমি ৭বছর আগে চলে আসছি বর্তমান প্রধান শিক্ষক এবং সভাপতি কি ভাবে কি করছে তাতো আমার জানা নেই।

নিয়োগ কমিটির সভাপতি ও প্রতিষ্ঠাতা আব্দুস সামাদ তালুকদারের দাবি চানমাহমুদ তালুকদার অত্যন্ত পরিশ্রমী মানুষ প্রতিষ্ঠান শুরু থেকেই দায়িত্ব পালন করে আসছে এখানে তারা অগ্রাধিকার আছে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শফিকুল ইসলাম জানান, নৈশ প্রহরী চানমাহমুদের সকল কাগজ পত্র ভূয়া তার বয়স বেশি হয়ে গেছে সে এমপিওতে টিকবে না। আর টাকার বিষয় সম্পন্ন মিথ্যা কথা। তার কাছ বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে কেউ টাকা পয়সা চাওয়া হয়নি।

ঐ নিয়োগে টাকা পয়সা লেনদেনের বিষয়টি অস্বীকার করে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি আখতারুজ্জামান বলেন, নৈশ প্রহরী চানমাহমুদ তালুকদার আমরা বাসায় এসেছিলো সাক্ষরের জন্যে টাকার বিষয়ে কোনো কথা হয়নি। যদি টাকার কথা বলে থাকি তাহলে আমার বাসায় সিসি ক্যামেরা আছে সে খানেই প্রমান পাওয়া যাবে। আর এগুলো সব মিথ্যা কথা বলেছে। তাকে কখনো স্কুলে আসতে দেখেনি।


আরও খবর