Logo
শিরোনাম

গাজীপুরে মাদরাসায় ছাত্রকে বলাৎকার, ৪ শিক্ষক গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:বুধবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ নভেম্বর ২০২৩ | ৮৩৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

গাজীপুরে গাছা থানাধীন মঈনুল ইসলাম হামীয়ুস সুন্নাহ মাদরাসায় ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগ এক শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় শিক্ষককে গ্রেপ্তারে বাধা দেওয়ায় ও ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগে মাদরাসাটির প্রিন্সিপালসহ আরও দুজন শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাতে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানানো হয়। গত আট সেপ্টেম্বর গাজীপুরে গাছা থানাধীন মঈনুল ইসলাম হামীয়ুস সুন্নাহ মাদরাসায় ওই শিশুকে বলাৎকার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিরা হলেন- বলাৎকারে অভিযুক্ত শিক্ষক শান্ত ইসলাম ওরফে আ. রহমান (২২) ও আসামি আটকে পুলিশকে বাধা ও ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টাকারী মাদরাসাটির প্রিন্সিপালসহ অন্য দুই শিক্ষক।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ৮ সেপ্টেম্বর ভোর সাড়ে ৫টায় ওই মাদরাসায় ভুক্তভোগী শিশুটিকে বলাৎকার করে শিক্ষক আ. রহমান। ভুক্তভোগীর অভিযোগ আ. রহমান গত কয়েক মাস ধরে তাকে হয়রানি করছিলেন। এ ঘটনার দিন বিস্কুটের প্রলোভন নির্যাতন করে। পরে শিশুটি তার বাবাকে ঘটনাটি জানায়।

এদিকে ভুক্তভোগী বাবা মাদরাসায় প্রিন্সিপালসহ অন্য দুই শিক্ষককে জানান। তবে শিক্ষকরা বিষয়টি সমাধান করবেন বলে আশ্বস্ত করে কৌশলে কালক্ষেপণ করেন, যাতে ধর্ষণের আলামত নষ্ট হয়ে যায়। পরে গত ১২ সেপ্টেম্বর শিশুটির বাবা আবার শিক্ষকদের দ্বারস্থ হলে তারা জানায় পরীক্ষা শেষ হলে তারা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ভুক্তভোগীর বাবা কোনো প্রতিকার না পেয়ে ঘটনাটি পুলিশকে জানান। এ সংবাদ পাওয়ার পর অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করতে গেলে মাদরাসার প্রিন্সিপালসহ অন্য দুই শিক্ষক পুলিশের কাজে বাধা দেন। এ সময় ভুক্তভোগীর বাবার অভিযোগে গাছা থানায় মামলা রুজু হয়। একই সঙ্গে অভিযুক্ত শিক্ষকসহ মাদরাসার প্রিন্সিপাল ও অন্য দুই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়।


আরও খবর